সেই অভিষেকের ‘সঙ্গী’কেই শততম ম্যাচে পাচ্ছে বাংলাদেশ

আজ শততম টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামছে বাংলাদেশছবি: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট টুইটার

হারারেতে আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে চারটায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি হবে বাংলাদেশের ১০০তম ম্যাচ।

এই লগ্নে উঠে আসতে পারে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের স্মৃতি। শুধু সাকিব আল হাসানই বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্মৃতি বর্তমান দলের বাকি সতীর্থদের বলতে পারবেন।

সে ম্যাচে দলের ৪৩ রানের জয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২৬) করেছিলেন সাকিব। সাকিবই সে ম্যাচে খেলা দলের একমাত্র সদস্য হিসেবে টিকে আছেন শততম ম্যাচের দলে।

২৮ নভেম্বর, ২০০৬। বাংলাদেশ সফরে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়ে ৪৩ রানে হারে জিম্বাবুয়ে। শততম ম্যাচেও প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েই!

কাকতালীয় বিষয়, প্রায় ১৫ বছর আগের সেই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সঙ্গে জিম্বাবুয়েরও অভিষেক ঘটেছিল। ব্রেন্ডন টেলর সে ম্যাচে খেলেছিলেন। এবারের তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে টেলর বিশ্রাম না পেলে প্রথম ম্যাচে খেলা দুই দলের দুই প্রতিনিধি হিসেবে সাকিবের সঙ্গে থাকতেন টেলর।

টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল

এই এক যুগেরও বেশি সময়ের ব্যবধানে জিম্বাবুয়ের চেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এ সময়ে অবশ্য জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে। এর মধ্যেই ৮৫ ম্যাচে ১৯ জয় তুলে নিয়েছে আফ্রিকার দেশটি। বাংলাদেশ একই সময়ে ৯৯ ম্যাচে ৩২ জয়ের দেখা পেয়েছে। এ পর্যন্ত ন্যূনতম ১০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে আটটি দল।

আজ সে তালিকায় একই সঙ্গে দুটি দল নাম লেখাবে—বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ২০০৮ সালে এ সংস্করণে অভিষিক্ত আইরিশরা।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে। ১৩ ম্যাচে ৯ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছে ১২টি করে ম্যাচ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ জয় পেলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতেছে মাত্র ২ ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১ ম্যাচে এসেছে ৪ জয়। ভারতের বিপক্ষে সমানসংখ্যক ম্যাচে এসেছে মাত্র ১ জয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ম্যাচ খেলে এখনো জয়বঞ্চিত বাংলাদেশ।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ ম্যাচ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ ম্যাচ খেলেও এখনো জয়ের খাতা খোলা সম্ভব হয়নি।

জয়সংখ্যা বিবেচনায় এ সংস্করণে বাংলাদেশের সহজ প্রতিপক্ষ যথাক্রমে জিম্বাবুয়ে (৯), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৫), শ্রীলঙ্কা (৪), আয়ারল্যান্ড (৩), আফগানিস্তান (২), পাকিস্তান (২) ও নেদারল্যান্ডস।

বাংলাদেশ ১টি করে ম্যাচ জিতেছে ভারত, কেনিয়া, নেপাল, ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। অবশ্য ভারত বাদে বাকি চার দলের সঙ্গেই এ পর্যন্ত একটি করে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ।

এই ৯৯ ম্যাচের মধ্যে দেশের মাটিতে ৩৯ ম্যাচে ১৭ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি ২২ ম্যাচেই হার। ৩৪টি ‘অ্যাওয়ে (প্রতিপক্ষের মাঠ) ম্যাচ’-এ জয় ১০টি, ২৩ হার এবং ফল হয়নি একটি ম্যাচে। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ২৬ ম্যাচ খেলে ৫ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০ হার এবং ফল দেখেনি একটি ম্যাচ।