সেই চারটি জয়

মাঠে থাকবে দুটি দল, কিন্তু জিতবে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা। এটাই ছিল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম ১৫টি ওয়ানডের গল্প। যা বদলে গেল ১৬তম ম্যাচে। ২০০৬ সালে বগুড়ায় বাংলাদেশ প্রথম হারাল শ্রীলঙ্কাকে। পরের ১৭ ম্যাচে এল আরও ৩টি জয়।

প্রথম জয়টির ভিত্তিটা গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। শ্রীলঙ্কাকে ২১২ রানে বেঁধে রাখার পর হাতে ৪ উইকেট রেখেই জয়। সর্বোচ্চ ৫১ রান আশরাফুলের। তবে ম্যাচসেরার ট্রফিটা ওঠে আফতাবের হাতে। বোলিংয়ে ১ উইকেটের চেয়ে যাতে বেশি ভূমিকা ছিল ২১ বলে অপরাজিত ৩২ রানের।

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের ২০ বছর পর প্রথম জয়। পরের জয়টি তিন বছর পরই। সবচেয়ে স্মরণীয়ও। ২০০৯ সালে মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের সেই ম্যাচের আগে সামনে ছিল কঠিন এক সমীকরণ। জিম্বাবুয়েকে টপকে ফাইনালে উঠতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুধু জিতলেই চলবে না, জিততে হবে বোনাস পয়েন্টসহ। কুয়াশার কারণে ৩১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে জিততে লাগত ১৪৮ রান। কিন্তু ফাইনাল নিশ্চিত করতে তা করতে হতো ২৪.৫ ওভারের মধ্যেই। বাংলাদেশ করে ফেলে ২৩.৫ ওভারেই। নায়ক সাকিব আল হাসান। ৬৯ বলে অপরাজিত ৯২ রান সম্ভবত তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারেরই সেরা ইনিংস।

২০১২ সালে তৃতীয় জয়টিও আরেকটি ফাইনালের সমীকরণ মিলিয়ে দেয়। মিরপুরে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা অলআউট ২৩২ রানে। ৫০ ওভারে ২৩৩ রানের লক্ষ্যটাকে ৪০ ওভারে ২১২ বানিয়ে দিল বৃষ্টি। ৪০ রানে নেই ৩ উইকেট, ১৩৫ রানে ৫। সেখান থেকে নাসির-মাহমুদউল্লাহর অবিচ্ছিন্ন ৭৭ রানের জুটিতে জয়।

এক বছর পর আরেকটি বৃষ্টিভেজা ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম জয়। আবদুর রাজ্জাক ৫ উইকেট নিলেও দিলশানের সেঞ্চুরি ৩০২ রান এনে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। বাংলাদেশ ১৩.৪ ওভার ব্যাটিং করার পরই বৃষ্টি। আড়াই ঘণ্টা পর আবার শুরু পাল্লেকেলের সেই ম্যাচ। ৮০ বলে ১০৫ রান করার সমীকরণটা বাংলাদেশ মিলিয়ে ফেলল এক ওভার হাতে রেখেই।