সেই সাংবাদিক মানহানির মামলা করবেন ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে

ঋদ্ধিমান সাহাকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করেছিলেন এক সাংবাদিকফাইল ছবি

খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য সব সময় উন্মুখ থাকেন ক্রীড়া সাংবাদিকেরা। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডগুলোর কড়াকড়ির কারণে এখন আর ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার পাওয়া সহজ কাজ নয়। কখনো কখনো সাক্ষাৎকার পেতে বেশ পটাতে হয় খেলোয়াড়দের। কিন্তু কোনো ক্রিকেটারের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য তাঁকে পটাতে না পেরে হুমকি দেওয়ার ঘটনা হয়তো ভারতেই প্রথম ঘটেছে।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন ভারতের উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। ঋদ্ধিমান ওই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেননি। ভারতের ক্রিকেটার তখন যা বলেছিলেন, তার মর্মার্থ দাঁড়িয়েছিল এ রকম—সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য ওই সাংবাদিক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তাঁকে পটানোর চেষ্টা করেছিলেন। যখন তিনি তা করতে পারেননি, হুমকি দিয়েছেন তখনই। তা–ও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায়।

আরও পড়ুন

ঋদ্ধিমানের সেই অভিযোগ নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। গতকাল ঋদ্ধিমানকে নিয়ে বসেছিল সেই কমিটি। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে পড়েন ঋদ্ধিমান। সাংবাদিকদের অনেক চাপাচাপির পরও হুমকি দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারপ্রার্থীর নাম বলেননি তিনি।

সংবাদমাধ্যমকে ঋদ্ধিমান বলেছেন, ‘আমি কমিটিকে সবকিছুই বলেছি। এই মুহূর্তে আপনাদের এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। বিসিসিআই আমাকে সভার কথা বাইরে বলতে নিষেধ করেছে। আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর তারাই দেবে।’

ঋদ্ধিমান না বললেও তাঁকে হুমকি দেওয়া সেই সাংবাদিক যে কে, তা জেনে গেছেন সবাই। সেটি তিনি নিজেই প্রকাশ করেছেন। ঋদ্ধিমান সংবাদমাধ্যমে এমন কথা বলার পর, টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ভারতের সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার। সেখানে তিনি ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন, ‘আমার আইনজীবীরা ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে যাচ্ছেন।’

ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে বোরিয়ার মানহানির মামলা করার কারণ? সেটা শোনা যাক বোরিয়ার ভিডিও বার্তা থেকে, ‘ঋদ্ধিমান হোয়াটসঅ্যাপে আমার ও তাঁর বার্তা বিনিময়ের যে স্ক্রিনশট দিয়েছেন, সেগুলো বিকৃত করা। আমার দেওয়া স্ক্রিনশটটি দেখুন আপনারা। ঋদ্ধি তাঁর স্ক্রিনশটে তারিখ মুছে দিয়েছেন। আমি অনেক বছর ধরে সাংবাদিকতা করছি। একাধিক ক্রিকেটারের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তাঁদের অনেকের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বও হয়েছে। ঋদ্ধিমানও আমার সেই বন্ধুদের একজন। তাঁর অনেক সাক্ষাৎকার নিয়েছি আমি। কিন্তু ঋদ্ধিমান আমার বার্তা বিকৃত করেছেন বলে আমি বিরক্ত হয়েছি।’

ঋদ্ধিমান সাহা
ফাইল ছবি

বোরিয়া ভিডিওতে ঋদ্ধিমান ও তাঁর নিজের স্ক্রিনশট দুটি পাশাপাশি রেখে দেখিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘ঋদ্ধি বার্তা পাঠানোর তারিখ মুছে দিয়েছেন এবং একটি মিসড কল মধ্যে জুড়ে দিয়েছেন। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন বার্তাগুলো একই দিনের। মিসড কলের সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা আর এটার আগে পাঠানো বার্তার সময় রাত ১০টা ১৯ মিনিটের। হোয়াটসঅ্যাপে আলাদা কোনো দিনে বার্তা পাঠালেই মধ্যে তারিখ আসে। আমার স্ক্রিনশট দেখুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন মানুষকে ঋদ্ধি কীভাবে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।’