স্বাগতম!
চট্টগ্রাম টেস্টে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা মাঠে গড়াবে। ৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। ১১৩ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেন লিটন দাস। অন্য প্রান্তে তাঁকে সঙ্গ দেন ৮২ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক।
দারুণ এ দুটি ইনিংস মুশফিক–লিটন এখন কতদূর টেনে নিতে পারেন, সেটাই দেখার বিষয়।
স্ট্রাইকে মুশফিক,আক্রমণে নোমান
দ্বিতীয় দিনে প্রথম ওভারটি স্পিনার নোমান আলীকে দিয়ে শুরু করেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথম বলেই স্কয়ার কাটে রান বের করার চেষ্টা করেন মুশফিক। ২ রান নিয়ে শুরুটা ভালোই করলেন মুশফিক–লিটন।
৮৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৫৫।
অন্য প্রান্ত থেকে পেসার
কাল প্রথম দিনের খেলায় ৮০ ওভার পেরিয়ে নতুন বল নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ৫ ওভার পরই প্রথম দিনের খেলা সমাপ্তির ঘোষণা দেন আম্পায়ার। অর্থাৎ বল প্রায় নতুনই ছিল।
আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুতে প্রথম ওভারে তেমন বাঁক পাননি স্পিনার নোমান আলী। অন্য প্রান্ত থেকে পেসার হাসান আলীকে দিয়ে বল করাচ্ছেন বাবর।
আউট!
নতুন বলে পেসারকে কাজে লাগানোর ফল পেল পাকিস্তান! ৮৭তম ওভারে হাসান আলীর শেষ বলটি ভেতরে ঢুকেছিল। ব্যাটে খেলতে পারেননি লিটন। এলবিডব্লুর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউ নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর।
তৃতীয় আম্পায়ার লিটনকে আউট ঘোষণা করেন। মাঠের আম্পায়ার সম্ভবত বলটা উঠেছে বেশি, এমন ভেবেই লিটনকে আউট দেননি। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লেতে দেখেছেন বল মিডল ও লেগ স্টাম্পের মাঝ বরাবর ছিল।
এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক ইনিংসের সমাপ্তি ঘটল। ২৩৩ বলে ১১৪ রান করে ফিরলেন লিটন। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই তাঁর এ আউটে খানিকটা চাপে পড়ল বাংলাদেশ। ৮৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ২৫৫।
৮ বলে ১
ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার সুযোগ ছিল লিটনের সামনে। কিন্তু হাসান আলী তাঁকে টিকতে দেননি। আজ দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৮ বল খেলে ১ রান তুলে ফিরেছেন লিটন। এর মধ্য দিয়ে পঞ্চম উইকেটে মুশফিক–লিটনের ৪২৫ বলে ২০৬ রানের জুটিও ভেঙে গেল।
অভিষিক্ত ইয়াসিরের পরীক্ষা
উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সাতে নামা ইয়াসির আলী। জাতীয় দলের হয়ে এটাই তাঁর প্রথম ম্যাচ। ৮৩ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিককে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারবেন তিনি?
দুই প্রান্ত থেকেই পেসারদের দিয়ে বল করাচ্ছেন বাবর।
ইয়াসির আলীর সমন্ধে জানতে পারেন এখানে।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৮৯ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২৫৯।
অভিষিক্ত ও অভিজ্ঞ!
ইয়াসির আলীর ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ড মুশফিকের (৭৬*)।
তবু অভিশপ্ত ‘১৪’ থাকলই!
কাল প্রথম দিনে বাংলাদেশের টপ অর্ডারে প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ১৪ রানে আউট হন—সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন। এরপর ভাবা হয়েছিল ১৪ রানের অভিশাপ হয়তো কেটেছে। ভুল!
লিটন আজ আউট হয়েছেন ১১৪ রানে!
চারে শুরু ইয়াসিরের
১৪তম ডেলিভারিতে গিয়ে রানের খাতা খুললেন ইয়াসির। সেটাও কী দর্শনীয় শটে! এখনকার অন্যতম সেরা পেসার শাহিন আফ্রিদিকে চোখজুড়ানো কাভার ড্রাইভে চার মেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের রানের খাতা খুললেন ইয়াসির। এরপর একবার তাকালেন আকাশের দিকে, যেন ধন্যবাদ দিলেন সৃষ্টিকর্তাকে।
৯২ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ২৬৬। মুশফিক অপরাজিত ৮৬ রানে। ইয়াসির ১৭ বলে ৪ রানে ধরে রেখেছেন অন্য প্রান্ত।
আউট!
ব্যাট ও প্যাডের মাঝে ফাঁকা জায়গা থাকলে যা হয়! হাসান আলীর লেংথ বল একটু ভেতরে ঢুকেছিল। ইয়াসির সামনের পায়ে খেলার চেষ্টা করলেও ব্যাট ও প্যাডের মাঝে ফাঁকা জায়গা দিয়ে বলটা ঢুকে স্টাম্প ভেঙে দেয়। দুঃখিত, স্টাম্প উপড়ে গেছে!
১৯ বলে ৪ রানে ফিরলেন ইয়াসির। অভিষেক ইনিংসটা স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে আজ ২ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন হাসান আলী।
৮৭ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিকের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
হাসানের ‘৪’ প্রীতি!
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে এখন পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের পেসার হাসান আলী।
ইয়াসির আলী, সাদমান ইসলাম ও লিটন দাস—তাঁর বলে আউট হওয়া এই তিন ব্যাটসম্যানের স্কোর যথাক্রমে ৪, ১৪ ও ১১৪!
আউট!
শতক হলো না মুশফিকের। ৯৯তম ওভারে ফাহিম আশরাফের বল মুুশফিকের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে। ২২৫ বলে ৯১ রান করে আউট হলেন মুশফিক।
পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দিয়েছিলেন মাঠের আম্পায়ার। রিভিউ নেন মুশফিক। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লেতে দেখেন বল তাঁর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গেছে।
নড়বড়ে নব্বইয়ে আউটের জ্বালা ভুলে থাকা কঠিন হবে মুশফিকের জন্য।
সকালের সেশনে এরই মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত ১৪ ওভার ব্যাট করে ২৩ তুলতে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
৯৯ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৭৬। পানি পানের বিরতি। আজ দিনের প্রথম ঘন্টা পাকিস্তানের।
উইকেটে মেহেদী হাসানের সঙ্গে যােগ দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
নড়বড়ে নব্বইয়ে মুশফিক ভালোই নড়বড়ে!
টেস্টে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হলেন মুশফিকুর রহিম। আজ তিনি ৯১ রান করে আউট হন।
২০১০ সালে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ‘নড়বড়ে নব্বই’–এর ঘরে গিয়ে আউট হন মুশফিক। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ রানে আউট হন।
২০১৩ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আউট হন ৯৩ রানে। সেটাও বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে।
২০১৮ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৯২ রানে আউট হন মুশফিক।
ওয়ানডেতে এ পর্যন্ত তিনবার ‘নড়বড়ে নব্বই’–এ গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।
চার মেরে তিন শ
জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। ১০৬তম ওভারে সাজিদ খানকে চার মেরে দলকে তিন শ রানের দেখা পাইয়ে দেন মেহেদী হাসান। অষ্টম উইকেটে এ পর্যন্ত ৪৩ বলে ২৪ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। ২২ রানে অপরাজিত মিরাজ, অন্য প্রান্তে ৭ রান নিয়ে খেলছেন তাইজুল।
বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৩০০।
আউট!
তাইজুলকে তুলে নিলেন শাহিন আফ্রিদি। উইকেটের পেছনে তাঁকে ক্যাচে পরিণত করেন শাহিন আফ্রিদি। ২৮ বলে ১১ রান করে ফিরলেন তাইজুল।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৩০৪। উইকেটে মিরাজের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ।
সাকিব যেখানে মুশফিকের পেছনে
স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা কোনোভাবেই এ তালিকায় থাকতে চান না। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে আউট হওয়ার তালিকা! খুব স্বাভাবিকভাবেই অনেক খেটে ইনিংস দাঁড় করানোর পর কে সেঞ্চুরি সুবাস নিয়ে আউট হতে চায়!
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে নড়বড়ে নব্বইয়ে গিয়ে আউট হওয়ার তালিকায় মুশফিক সবার ওপরে। ৪বার আউট হয়েছেন তিনি। ৩বার আউট হয়ে যৌথভাবে দুইয়ে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। ২বার করে আউট হয়েছেন হাবিবুল বাশার, লিটন দাস ও নাসির হোসেন।
১০ হাজার বলের বেশি!
সেঞ্চুরি না পেলেও আজ একটি মাইলফলকের দেখা পেয়েছেন মুশফিক। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আজ ১০ হাজার বল খেলার মাইলফকের দেখা পেয়েছেন তিনি।
আজ ৯১ রানে আউট হওয়ার আগে ৭৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে ১০,০২৮ বল খেলেছেন মুশফিক। ৬৪ টেস্টে ৮২৯০ বল খেলে দুইয়ে তামিম ইকবাল। ৫৮ টেস্টে ৬৩৭৯ বল খেলে তিনে সাকিব।
মুশফিক বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছেন।
টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ড ভারতীয় কিংবদন্তি এবং বর্তমানে বিরাট কোহলিদের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। ১৬৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৩১২৫৮ বল খেলেছেন তিনি।
মিরাজের লড়াই
উইকেটে এসেই ইতিবাচক ব্যাট করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাজে বলে বেশ কিছু শটও খেলেছেন। তাইজুলের সঙ্গে ২৮ রানের জুটি ভেঙে যাওয়ার পর আবু জায়েদকে নিয়ে লড়াই করছেন এ স্পিন অলরাউন্ডার। ৬ চারে ৬৪ বলে ৩৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন তিনি।
বাংলাদেশ ১১৩ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ৩২৪।
ক্যাচ শেখালেন আবু জায়েদ!
আউট হওয়ার পর আবু জায়েদ হয়তো ভাবছেন, বলটা তিনি না খেললেই পারতেন! হাসান আলীর বাউন্সার জোর করে ব্যাটে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ শিখিয়ে আউট এ পেসার। ১৯ বলে ৮ রান করে আউট হলেন তিনি।
বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ৩৩০। উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে শেষ ব্যাটসম্যান ইবাদত হোসেন।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অলআউট
কাল প্রথম দিনের খেলা শেষে হাসান আলী বলছিলেন, বাংলাদেশকে আজ ৩৫০ রানের মধ্যে অলআউট করতে চান। তাঁর কথাই সত্যি হলো এবং তাতে হাসানের অবদানই সবচেয়ে বেশি! বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৫১ রানে ৫ উইকেট নিলেন পাকিস্তানের এ পেসার।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১১৪.৪ ওভারে ৩৩০ রানে অলআউট। ১১৫তম ওভারে টানা দুই বলে আবু জায়েদ ও ইবাদত হোসেনকে তুলে নেন হাসান আলী। এর মধ্য দিয়ে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
৮৫ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আজ ২৯. ৪ ওভার ব্যাট করে ৭৭ রান তুলতে বাকি ৬ উইকেট হারায় মুমিনুল হকের দল।
খেলায় এখন মধ্যাহৃভোজ বিরতি। তার আগে দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে অলআউট হলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এই সংগ্রহে স্বস্তি পাওয়ার কথা। কাল প্রথম দিনে প্রথম সেশনে ৪৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে সংগ্রহটা তিন শ–র ওপাশে দেখা স্বস্তিরই। পঞ্চম উইকেটে মুশফিক–লিটনের ৪২৫ বলে ২০৬ রানের জুটি এই সংগ্রহের ভিত।
সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। ১১৪ রানে আউট হন তিনি। ৯১ রানে আউট হন মুশফিক।
৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
পাকিস্তানের হয়ে ৫১ রানে ৫ উইকেট নেন হাসান আলী। ২টি করে উইকেট শাহিন আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফের।
সুইং পাচ্ছেন আবু জায়েদ
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে পাকিস্তান। মধ্যাহৃভোজ বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনে ওপেন করতে নেমেছেন আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিক।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ওভারটি করেন পেসার আবু জায়েদ। নতুন বলে সুইং পাচ্ছেন তিনি। প্রথম ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৪ রান তুলেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৩০ রানে অলআউট হয়।
অন্য প্রান্ত থেকে ইবাদত
নতুন বলে দুই প্রান্ত থেকেই পেসারদের দিয়ে বল করাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। এক প্রান্তে আবু জায়েদ, অন্য প্রান্তে ইবাদত হোসেন। নিজের প্রথম ওভারটি মেডেন নিলেন ইবাদত।
পাকিস্তান বিনা উইকেটে ৪ রান তুলেছে।
আবিদ–শফিকের ভালো শুরু
১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২৮ রান তুলেছে পাকিস্তান। ২২ রানে অপরাজিত আবিদ আলী। অন্য প্রান্তে ৬ রানে ব্যাট করছেন টেস্টে অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিক।
এ পর্যন্ত তিন বোলার ব্যবহার করেছেন মুমিনুল। দুজন পেসার—আবু জায়েদ ও ইবাদত এবং স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিন বোলারের কেউ–ই সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।
বোলাররা ক্লান্ত?
দুই পেসার আবু জায়েদ ও ইবাদত এ পর্যন্ত ৬ ওভার করে বল করেছেন। তাইজুল ইসলাম করেছেন ৪ ওভার। এই তিন বোলারের বিপক্ষে আক্রমণাত্বক কোনো শট এখনো খেলেননি পাকিস্তানের দুই ওপেনার। স্বাভাবিক ক্রিকেটই খেলছেন তাঁরা। কিন্তু বোলারদের শরীরী ভাষা দেখে মনে হচ্ছে, ক্লান্তি ভর করেছে। মাঠে ফিল্ডারদের মধ্যে তেমন কথাবার্তাও নেই। এভাবে খুব সহজেই চাপ কাটিয়ে উঠবে পাকিস্তান।
১৭ ওভার শেষে পাকিস্তান বিনা উইকেটে ৪২।
আবু জায়েদের জায়গায় মিরাজ
এবার দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনার। তাইজুল ইসলাম ১৭তম ওভার শেষ করার পর অন্য প্রান্তে আবু জায়েদের জায়গায় অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে এনেছেন মুমিনুল। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান উইকেটে থাকতে ডানহাতি অফ স্পিনারকে দিয়ে বল করানো সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বেশ বিরল দৃশ্য। অবশ্য টেস্ট ক্রিকেট বলেই হয়তো দেখা যাচ্ছে, যেহেতু খেলাটা রান কম দেওয়ার নয়, উইকেট নেওয়ার।
ছক্কা!
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে প্রথম ছক্কাটা এসেছে আবিদ আলীর ব্যাট থেকে। ২২তম ওভারে দ্বিতীয় ছক্কা এনে দিলেন আব্দুল্লাহ শফিক। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ডাউন দ্য উইকেট এসে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন তিনি। সুন্দর শট!
পাকিস্তান ২২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫৩। আবিদ আলী ৩২ রানে অপরাজিত। ২১ রানে অন্য প্রান্তে ব্যাট করছেন শফিক। দুজনেই দেখেশুনে খেলছেন। তাতে হতাশ হচ্ছেন বাংলাদেশের বোলাররা।
পঞ্চম বোলার কে?
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত চার বোলার ব্যবহার করেছে—আবু জায়েদ, ইবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এ চারজনই দলের নিয়মিত বোলার। কিন্তু তাঁদের ২৫ ওভার পর্যন্ত ব্যবহার করেও পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙা যায়নি। পঞ্চম বোলার হিসেবে কাকে ব্যবহার করবেন মুমিনুল? তিনি নিজেই কি হাত ঘোরাবেন?
এদিক বিচারে নিয়মিত এই চার বোলারের ওপর দায়িত্ব অনেক বেশি। কিন্তু ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে বোলিংয়ে বৈচিত্র না থাকায় ভুগছেন চার বোলারই।
পাকিস্তান ২৫ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৭২। আবিদ আলী ৪৭ রানে অপরাজিত। ২৫ রানে অন্য প্রান্তে ব্যাট করছেন শফিক। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে ২৫৮ রানে পিছিয়ে পাকিস্তান।
আবিদের অর্ধশতক
২৮তম ওভারে মেহেদী হাসানের বলে ২ রান নিয়ে অর্ধশতকের দেখা পান আবিদ আলী। ৮৫ বলে ৫১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন এ ওপেনার। শফিক অন্য প্রান্তে ২৭ রানে অপরাজিত।
পাকিস্তান ২৮ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৭৮।
দ্বিতীয় সেশনও পাকিস্তানের
আজ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম দুই সেশন পাকিস্তানের। প্রথম সেশনে মাত্র ৭৭ রান দিয়ে বাকি ৬ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে অলআউট করেন পাকিস্তানের বোলাররা। এরপরই মধ্যাহৃভোজ বিরতিতে যায় দুই দল।
চা বিরতির আগে দ্বিতীয় সেশনে ২৯ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৭৯ রান তুলেছে পাকিস্তান। উইকেটে জমে গেছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলী (৫২*) ও আব্দুল্লাহ শফিক (২৭*)।
এদিকে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হককে উইকেট ফেলতে মাথা চুলকাতে হচ্ছে। নিয়মিত চার বোলার ব্যবহার করেও পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে সেভাবে বিপদে ফেলতে পারেননি তিনি। দলে আর কোনো নিয়মিত বোলার নেই। অর্থাৎ, পঞ্চম বোলার হিসেবে খন্ডকালীন কারও হাতে বল তুলে দিতে হবে। এসব দিক বিচারে বেশ বিপদেই আছে বাংলাদেশ। কেননা, বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার মতো বোলার না থাকলে অবশ্য এটাই বাস্তবতা।
সাকিব আল হাসানের অভাব টের পাচ্ছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের চোটও নিশ্চয়ই মনে পড়ছে টিম ম্যানেজমেন্টের?
ওপেনিং জুটিতে ১০০
পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিক স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছেন। বাংলাদেশের বোলাররা তাঁদের কোনোরকম ঝুঁকিতে ফেলতে পারছেন না। ৩৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১০০ রান তুলেছে পাকিস্তান। ৬৮ রানে অপরাজিত আবিদ আলী। অন্য প্রান্তে ৩২ রানে ব্যাট করছেন শফিক।
ওভারপ্রতি ২.৭০ করে রান তুলছে পাকিস্তান। প্রতিপক্ষের রানরেট তিনের নিচে রাখতে পারাই যা একটু সাফল্য বাংলাদেশের বোলারদের।
স্বচ্ছন্দে খেলে যাচ্ছে পাকিস্তান
৪৪ ওভার শেষ। এখনও পাকিস্তানি ওপেনারদের ওপর ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ পাননি তাইজুল-মিরাজরা। বিনা উইকেটে ১১৩ রান তুলেছে তাঁরা। আবদুল্লাহ শফিক ও আবিদ আলী অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ৪০ ও ৭৩ রানে।
বোলিংয়ে মুমিনুল!
উইকেট পড়ছে না। নিয়মিত চার বোলারকে ব্যবহার করেও পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ভাঙতে পারছে না বাংলাদেশ। উপায় না পেয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল চলে এলেন বোলিংয়ে।
৫০তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে এসে ২ রান দেন মুমিনুল। পাকিস্তান বিনা উইকেটে ১২৮ রান তুলেছে। ৮৪ রানে অপরাজিত আবিদ আলী। ৪৪ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছেন শফিক।
শফিকের অর্ধশতক
টেস্ট অভিষেকে নিজের প্রথম ইনিংসেই অর্ধশতক তুলে নিলেন আব্দুল্লাহ শফিক। ৫৪তম ওভারে মুমিনুলকে ছক্কা মেরে অর্ধশতক তুলে নেন এ ওপেনার।
পাকিস্তান ৫৪ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১৪৪। অন্য প্রান্তে ৯২ রানে অপরাজিত আবিদ আলী।
দুই ওভার আগে শেষ হলো দ্বিতীয় দিনের খেলা
নির্ধারিত সময়ের আগেই দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হলো। বিনা উইকেটে ১৪৫ রান তুলেছে পাকিস্তান। ১০ উইকেট হাতে রেখে ১৮৫ রানে পিছিয়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে আবিদ আলীর কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ৯২ রানে অপরাজিত আছেন এই ওপেনার। তাঁর সঙ্গী আবদুল্লাহ শফিক অপরাজিত আছেন ৫২ রানে।
চার বোলার নিয়ে নামা বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ কোনো দাগ কাটতে পারেনি। আবু জায়েদ, ইবাদত, তাইজুল ও মিরাজ পাকিস্তানের রানরেট শুধু ৩-এর নিচে রাখিতে পেরেছেন। অধিনায়ক মুমিনুল হকও এসেছিলেন বোলিংয়ে। ৩ ওভারে ১২ রান দিয়েছেন অধিনায়ক।