১০২ ম্যাচ পর তাঁর কথা মনে পড়ল দলের
ডেভন থমাস যখন এর আগে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেন, তখনো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শুরুই হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা তখনো ছিল একটি। পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তখন নির্বাসনে।
সেই থমাস যখন আরেকটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামলেন, দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে ক্যারিবীয়-বিপ্লব ঘটানো দলের একটা বড় অংশেরই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ। পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে, নিরাপত্তার কারণে সফর বাতিল করেছে দুটি দল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আবার ফিরেও এসেছে। থমাসের ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও চতুর্থ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলে ফেলেছে ১০২টি ম্যাচ!
নিজের দুটি ম্যাচের মাঝে দলের এতগুলো ম্যাচ না খেলা—আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ রেকর্ডটা এখন থমাসেরই। সর্বশেষ রেকর্ডটাও ছিল এক ক্যারিবীয় ক্রিকেটারেরই। এ বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ফেরার আগে ফিডেল এডওয়ার্ডস তাঁর সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিটি খেলেছিলেন ২০১২ সালে।
এডওয়ার্ডসের অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছিল ৮৫টি টি-টোয়েন্টি।
থমাসের টি-টোয়েন্টির এখন পর্যন্ত ‘সংক্ষিপ্ত’ ক্যারিয়ারটা অবশ্য নিয়মিত হয়নি কখনোই। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে দেশের মাটিতে অভিষেক হয়েছিল, তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিন বছরের বেশি সময় পর—সেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই ঢাকায়।
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে থমাসকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও এক বছরের বেশি সময়। আর এবার তো অপেক্ষা করলেন প্রায় ৯ বছরই।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচের হিসাবে এ লম্বা বিরতির রেকর্ডের তালিকায় থমাস ও এডওয়ার্ডসের পর আছেন দুজন ইংলিশ। জো ডেনলি ২০১০ সালের পর খেলেছিলেন ২০১৮ সালে, মাঝে ইংল্যান্ড খেলেছিল ৭৯টি টি-টোয়েন্টি। আর লিয়াম প্লাঙ্কেট ২০০৬ সালের পর খেলেছিলেন ২০১৫ সালে, ৭৪ ম্যাচ ‘বিরতি’ দিয়ে।
টেস্টে ম্যাচের হিসাবে এ রেকর্ডটা ইংল্যান্ড অফ স্পিনার গ্যারেথ ব্যাটির। গ্যাটির সপ্তম ও অষ্টম টেস্টের মাঝে ইংল্যান্ড খেলেছিল ১৪২টি টেস্ট। ১০০ টেস্ট বিরতি দিয়ে আরেকটি টেস্ট খেলার রেকর্ড আছে আরও চারজনের—ইংল্যান্ডেরই মার্টিন বিকনেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্লয়েড রেইফার, পাকিস্তানের ইউনিস আহমেদ ও ইংল্যান্ডের ডেরেক শ্যাকলটনের।
ওয়ানডেতে রেকর্ডটা নিউজিল্যান্ডের জেফ উইলসনের। ১৯৯৩ থেকে ২০০৫ সালের ভেতর তাঁর চতুর্থ ও পঞ্চম ওয়ানডের মাঝে নিউজিল্যান্ড ২৭১টি ম্যাচ খেলে ফেলেছিল। এ তালিকায় উইলসনের পরে আছেন রেইফার, দক্ষিণ আফ্রিকার এরল স্টুয়ার্ট, শ্রীলঙ্কার দিলহারা লকুহেটিগে ও ডেনলি।