৩-১ করে ফেলল বাংলাদেশের যুবারা

দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচটা মাত্র ২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশের যুবারা। একদিনের বিরতিতে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে কক্সবাজারে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবাদের ২৬ রানে হারিয়ে ৭ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-১ করে ফেলল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বাংলাদেশের দেওয়া ২০৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়া যুবারা। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে যা একটু লড়াই চালিয়েছেন পিটার উইলিয়াম। ৯৯ রানে ৬ উইকেটে হারানোর পর সপ্তম উইকেটে লেসেগোকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন উইলিয়াম। এটিই দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সর্বোচ্চ জুটি। এ জুটি ভাঙেন নাজমুল হোসেন। ফেরার আগে লেসেগোর সংগ্রহ ১৯ রান। এরপর সাইফুদ্দিনের বলে সর্বোচ্চ ৮০ রান করে উইলিয়াম ফিরলে কার্যত শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। তবে প্রোটিয়ারা অলআউট হয়নি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৮০ রান। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলাররা ছিলেন ভীষণ মিতব্যয়ী। তাঁদের কিপটে বোলিংয়েই জিতেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফুদ্দিন, নাজমুল ও মোসাব্বেক হোসেন।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করা বাংলাদেশ যুবাদের ভালো শুরু এনে দেন সাইফ হাসান ও পিনাক ঘোষের উদ্বোধনী জুটি। এ জুটিতে আসে ৭২ রান। সাইফের ৪১, পিনাকের ৪২ ও নাজমুলের ৪৫ রানের সুবাদে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দিলেও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সংগ্রহটা শেষ পর্যন্ত ২০৬ রান। শেষ ৪৬ রানেই পড়েছে বাংলাদেশের ৫ উইকেট। বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে বাংলাদেশে ওই সংগ্রহটায় অনেক বড় হয়ে যায় প্রোটিয়াদের কাছে। দক্ষিণ আফ্রিকা যুবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন গ্লোভার, ২টি নিয়েছেন ফক্সক্রফট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯: ৫০ ওভারে ২০৬ / ১০ (সাইফ ৪১, পিনাক ৪২, নাজমুল ৪৫; গ্লোভার ৩ / ৪৭, ফক্সক্রফট ১ / ২৯)।
দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯: ৫০ ওভারে ১৮০ / ৯ (উইলিয়াম ৮০; মোসাব্বেক ২ / ১৯, নাজমুল ২ / ১৯, সাইফউদ্দিন ২ /৭)।
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জয়ী ২৬ রানে।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাজমুল হোসেন।