স্মৃতির অতল থেকে বিরল সব কীর্তি তুলে আনা প্রথম টেস্টটি ড্র হয়েছিল। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করেছিল জিম্বাবুয়ে। সেই বুলাওয়েতেই দ্বিতীয় টেস্টে আর লড়াই করতে পারেনি স্বাগতিকেরা। বাঁহাতি স্পিনার গুড়কেশ মোতির বলে হাঁসফাঁস করে তিন দিনের মধ্যেই দলটি হেরেছে ইনিংস ও ৪ রানে। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজটা ১-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে ৭ উইকেট নেওয়া মোতি আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ম্যাচে ৯৯ রানে ১৩ উইকেট নিয়ে রেকর্ডও গড়েছেন মোতি। টেস্টে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান স্পিনারদের ম্যাচসেরা বোলিং ও পেস-স্পিন মিলিয়ে তৃতীয় ম্যাচসেরা বোলিং। মোতি ভেঙেছেন সনি রামাধিনের রেকর্ড। ১৯৫০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অফ স্পিনে ১৫২ রানে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন রামাধিন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও এটি টেস্টে ম্যাচসেরা বোলিং। আগের রেকর্ড ছিল মুত্তিয়া মুরালিধরনের, ২০০২ সালে ১১৫ রানে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান স্পিন জাদুকর।
টেস্টে ক্যারিবীয়দের ম্যাচসেরা বোলিং
বোলার বিপক্ষ ভেন্যু সাল
১৪/১৪৯ মাইকেল হোল্ডিং ইংল্যান্ড ওভাল ১৯৭৬
১৩/৫৫ কোর্টনি ওয়ালশ নিউজিল্যান্ড ওয়েলিংটন ১৯৯৫
১৩/৯৯ গুড়কেশ মোতি জিম্বাবুয়ে বুলাওয়ে ২০২৩
১৩/১২১ শ্যানন গ্যাব্রিয়েল শ্রীলঙ্কা সেন্ট লুসিয়া ২০১৮
১২/১২১ অ্যান্ডি রবার্টস ভারত চেন্নাই ১৯৭৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৭ রান করতে হতো জিম্বাবুয়ের। স্বাগতিকেরা ৪৭.৩ ওভারে অলআউট হয় ১৭৩ রানে। ইনোসেন্ট কাইয়া ও ক্রেগ আরভিন ছাড়া প্রতিরোধ গড়তে পারেননি অন্য কেউ। চারে নামা অধিনায়ক আরভিন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৭২ রান। ওপেনার কাইয়া করেছেন ৪৩। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
৮ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনটা শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কাল থামে ২৯২ রানে। জিম্বাবুয়ের পেসার ভিক্টর নিয়াউচি ৫৬ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।