ফাইনালের জন্য বিয়ে পিছিয়েছেন, বাবাকে পাঠিয়েছেন ব্যাচেলর পার্টিতে, তারপর...
সবকিছু ঠিকঠাক। বিয়ের পাত্রী প্রস্তুত। দুই পরিবারও প্রস্তুত। শুধু পাত্র নেই! পাত্র কোথায়? তিনি খেলছেন এসএ টোয়েন্টির ফাইনাল। তিনি যে বিয়ে করবেন না, তা নয়। তবে ফাইনালের জন্য আসতে দেরি হবে তাঁর।
তাই শনিবারের বিয়ে নিয়ে গেছেন রোববারে। ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার ডেভিড বেডিংহামের। এসব করলেন যে ফাইনালের জন্য, সেটি অবশ্য হেরেই গেছেন। কাল মুম্বাই কেপটাউনের কাছে ফাইনালে ৭৬ রানে হেরে গেছে তাঁর দল সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ।
এই হারে অবশ্য বেডিংহামের স্ত্রীর খুশি হওয়ার কথা! ফাইনালের জন্য এমনিতেই এক দিন দেরি হয়েছে, সঙ্গে ফাইনালের উদ্যাপনের জন্য যদি আরও দেরি হয় তাহলে তো বিপদ! এমন শঙ্কা কিন্তু তাঁর স্ত্রীর ছিল, সেটা বেডিংহামই জানিয়েছেন। সেই শঙ্কা থেকে ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন বেডিংহামের বন্ধু ও তাঁর ভাই। যাদের কাজই ছিল কালক্ষেপণ না করে বেডিংহামে বিয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া।
আমার স্ত্রী আসলে চেয়েছিল, আমরা যেন ফাইনালে না উঠি। তারপর যখন ফাইনালে উঠেই গেলাম, সে আমাকে বলল, ঠিক আছে এখন যেহেতু ফাইনালে উঠেছ, আশা করি সেটা জিতবে এবং তারপর বিয়েতেও আসবে
বেডিংহামের ভাই আর বন্ধু তাকে নিতে এসেছেন। তাঁর বাবা কী করেছেন, জানেন? ছেলের পরিবর্তে তিনি যোগ দেন ব্যাচেলর পার্টিতে। এই সব তথ্য বেডিংহাম দিয়েছিলেন ফাইনালের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রডকাস্টিং চ্যানেল সুপারস্পোর্টে।
বেডিংহাম তখন ফাঁস করে দেন, তাঁর হবু স্ত্রী চাইতেনই না তিনি যেন ফাইনালে ওঠেন, ‘আমার স্ত্রী আসলে চেয়েছিল, আমরা যেন ফাইনালে না উঠি। তারপর যখন ফাইনালে উঠেই গেলাম, সে আমাকে বলল, ঠিক আছে এখন যেহেতু ফাইনালে উঠেছ, আশা করি সেটা জিতবে এবং তারপর বিয়েতেও আসবে।’
নিজের বাবার ব্যাচেলর পার্টিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বেডিংহাম বলেছেন, ‘আশা করছি ছেলেরা (বেডিংহামের বন্ধুরা) তাঁকে ভালোভাবে গ্রহণ করবে। আশা করছি, তিনি ঠিকভাবে পোশাক-আশাক পরে যাবেন। তবে আমি নিশ্চিত মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে না।’
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিন মিস করে খেলা ফাইনালে তিনি করেছেন ৫ রান। ১৮২ রানের লক্ষ্যে তারা গুটিয়ে গেছে ১০৫ রানে।
ফাইনাল হেরে মন খারাপের আসলে সুযোগ নেই বেডিংহামের। বিয়ের আগে মন খারাপ করে থাকলে কী চলে!