আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের কপিরাইট ইংল্যান্ডের নয়: গেইল

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১০০ দিন গণনা অনুষ্ঠানে ভক্তদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেন ক্রিস গেইলএএফপি

আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কোনো ‘কপিরাইট’ বা স্বত্ব ইংল্যান্ডের নেই-এমন মনে করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা ক্রিস গেইল। ক্যারিবীয় কিংবদন্তির মতে, বিগ হিটার হিসেবে তিনি ক্যারিয়ার শুরুর অনেক বছর আগে থেকেই এমন ব্যাটিং আছে। কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের অধীন ইংল্যান্ডের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো দ্রুতগতিতে টেস্ট ক্রিকেটে রান তোলা।

রাজকোটে ভারতের যশস্বী জয়সোয়ালের ব্যাটিং দেখে ইংল্যান্ড ওপেনার বেন ডাকেট বলেছিলেন, তাঁদের ব্যাটিং দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন ভারত ওপেনার। ডাকেটের এমন কথার সমালোচনাও হয়েছে এর আগে। রাজকোটে রেকর্ড ১২ ছক্কায় ২১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন জয়সোয়াল। ৪৩৪ রানের রেকর্ড ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় ভারত।

আরও পড়ুন

রাজকোটে নিজে ১৫১ বলে ১৫৩ রানের ইনিংস খেলা ডাকেট বলেন, ‘আপনি যখন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের এভাবে খেলতে দেখবেন, তখন মনেই হয়-তারা অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে বলে আমাদের একটু কৃতিত্ব নেওয়াই উচিত।’

তিনি আসার আগে থেকেই এমন ক্রিকেট ছিল, দাবি গেইলের
এএফপি

তবে ডাকেটের সে কথার সঙ্গে একমত নন গেইল। এএফপিকে এক ভিডিও কনফারেন্সে গেইল বলেছেন, ‘আক্রমণাত্মক ক্রিকেট অনেক বছর ধরেই আছে, এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্রিস গেইল পা রাখার আগেই।’

এরপর ‘ইউনিভার্স বস’খ্যাত গেইল যোগ করেন, ‘আমাদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ভিভ রিচার্ডসের মতো খেলোয়াড় ছিলেন, যাঁরা ভিতটা গড়ে দিয়েছেন আমাদের। ব্রায়ান লারা, তাঁরা সব সংস্করণেই তখন আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁদের পরিসংখ্যান দেখলে দেখবেন, কীভাবে তাঁরা ইনিংস গড়েছেন।’

আরও পড়ুন

গেইলের মতে, ‘আমার মনে হয় না সে (জয়সোয়াল) এগুলো ইংল্যান্ডের কাছ থেকে শিখেছে। সে তার কোচ ও মেন্টরের (জাওয়ালা সিং) কাছে খেলার এ ধরনের উন্নতি করেছে। সে দুর্দান্ত। দেখে মনে হয়, ছেলেটি ২০ বছর ধরে খেলছে। আমি শুধু আশা করি, সে এটি ধরে রাখতে পারবে।’

রাজকোটে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের যশম্বী জয়সোয়াল
রয়টার্স

জয়সোয়ালকে গেইল মনে করেন তাঁর সাবেক সতীর্থ শিবনারায়ণ চন্দরপলের ‘আক্রমণাত্মক সংস্করণ’। তাঁকে এভাবেই খেলতে দেওয়া উচিত বলেও মত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বেশি রানের মালিক গেইলের, ‘তার কাছ থেকে অনেক প্রত্যাশা থাকবে। তবে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ দেওয়া উচিত তাকে। সে আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়, তার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও এটি দেখা যায়। তার ধরনই এমন। তাকে বদলানোর চেষ্টা করা উচিত হবে না।’

এদিকে বার্বাডোজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১০০ দিন গণনা অনুষ্ঠানে ছিলেন গেইল। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে ২০১০ সালে এককভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।