ক্রিকেট ছাড়ার পর কোকেন ধরেছিলেন ওয়াসিম আকরাম

সকাল সকাল সমুদ্রের তীরে হাওয়া খেতে গেছেন ওয়াসিম আকরাম। ছবিটি দিয়ে লিখেছেন, ‘সকালবেলার ছবিই সবচেয়ে ভালো হয়।’ইনস্টাগ্রাম

আত্মজীবনীতে কত অজানা তথ্য উঠে আসে। দীর্ঘ সময় যাঁকে যেভাবে চিনে এসেছেন, আত্মজীবনী পড়ার পর অনেক সময় তাঁকে নিয়ে ধারণা পুরোপুরি পাল্টে যেতে পারে! নতুন মানুষকে আবিষ্কার করেন অনেকে!

ওয়াসিম আকরামের আত্মজীবনীর কভার
ছবি: টুইটার

নিজের আসন্ন আত্মজীবনীতে ওয়াসিম আকরাম যে বোমা ফাটিয়েছেন, তাঁকেও নতুন করে চেনার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেট অনুরাগীরা।

পাকিস্তান কিংবদন্তির আত্মজীবনীর নাম ‘সুলতান: আ মেমোইর’, বাংলায় যার মানে সুলতান: একটি স্মৃতিকথা। অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক গিডেয়ন হেইগের সহযোগিতায় লেখা বইয়ে আকরাম জানিয়েছেন, খেলোয়াড়িজীবনকে বিদায় বলার পর কোকেনে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে অবসরে যান ওয়াসিম। দেড় যুগের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারকে বিদায় বলার সময় তিনিই ছিলেন টেস্ট ও ওয়ানডের শীর্ষ উইকেটশিকারি। এখন কোচিংয়ের পাশাপাশি ধারাভাষ্যকার হিসেবেও দেখা যায় তাঁকে।

আরও পড়ুন

আকরাম মাদক নিতে শুরু করেন খেলোয়াড়িজীবনকে বিদায় বলার পর। নেশার সেই জগৎ থেকে বেরিয়েও এসেছেন ২০০৯ সালে প্রথম স্ত্রী হুমার মৃত্যুর পর। আত্মজীবনীর পাশাপাশি ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য টাইমস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও একসময় অন্ধকার জগতে পা বাড়ানোর বিষয়টি সামনে এনেছেন আকরাম।

আরও পড়ুন

আকরাম লিখেছেন, ‘পার্টি করতে খুব পছন্দ করতাম। কোনোভাবেই নিজেকে সংযত রাখতে পারতাম না। দক্ষিণ এশিয়ায় মাদক–সংস্কৃতি মানুষকে গ্রাস করে, বিপথে চালনা করে ও দুর্নীতিপরায়ণ করে তোলে। চাইলে এক রাতে দশটি পার্টি করা যায়। আমার ওপর সবকিছুর প্রভাব পড়েছিল। জীবনকে কলঙ্কিত করে তুলেছিল।’

আরও পড়ুন

আকরাম আরও লিখেছেন, ‘সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হলো, আমি পুরোপুরি কোকেননির্ভর হয়ে পড়ি। আমি এর কাছে নিরুপায় হয়ে পড়ি। ইংল্যান্ডে থাকতে পার্টি করার জন্য লাইন ধরতাম। কোকেনের ব্যবহার যতই বাড়ত, ততই মনে হতো, ফুর্তি করার সময় হয়ে এসেছে।’