- লিটন যা বললেন
- জীবন পেলেন তানজিদ
- তানজিদের ফিফটি
- সফট ডিসমিস্যাল
- এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
- সিরিজ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৩৩ রান
- যেভাবে উইকেট নিলেন মোস্তাফিজ
- শামীমের উইকেট
- আবার মেহেদী
- ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার ৬৬
- তৃতীয় উইকেট পেলেন মেহেদী
- পাওয়ার প্লেতে ৪০
- মেহেদীর আরও এক উইকেট
- ৩ সুযোগ হাতছাড়া
- দ্বিতীয় উইকেট এনে দিলেন মেহেদী
- উইকেট এল প্রথম ওভারে
- টস দুর্ভাগ্য!
- সাড়ে তিন বছর পর টি–টোয়েন্টিতে চান্ডিমাল
- বাংলাদেশ দলে মিরাজের বদলে মেহেদী
- টসে জিতে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা
- তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে স্বাগত
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১৩২/৭ (নিশাঙ্কা ৪৬, শানাকা ৩৫*, কামিন্দু ২১; মেহেদী ৪/১১, শামীম ১/১০, মোস্তাফিজ ১/১৭, শরীফুল ১/৫০)। বাংলাদেশ: ১৬.৩ ওভারে ১৩৩/২ (তানজিদ ৭৩*, লিটন ৩২, হৃদয় ২৭*; কামিন্দু ১/২১, তুষারা ১/২৫)। ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী। সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ২–১ ব্যবধানে জয়ী।
লিটন যা বললেন
এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় অর্জন। এর আগে এখানে সিরিজ জিতিনি, এই জয় বাংলাদেশকে অনুপ্রাণিত করবে।লিটন দাস
৮ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৩৩ রানের লক্ষ্য হেসেখেলে ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ। স্পিনার তিকশানার করা ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন তাওহিদ হৃদয়। তিনি অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ২৭ রানে। এই জয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজ ২–১ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ।
প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার মাটিতেও এটি বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়।
বল হাতে যে জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্পিনার মেহেদী হাসান। ৪ ওভারে ১১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট, যা তাঁর ক্যারিয়ারসেরা।
ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তানজিদ হাসান। ৪৭ বলে ক্যারিয়ারসেরা ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন এই ওপেনার। মেরেছেন ছয়টি ছক্কা।
ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান। সিরিজসেরা হয়েছেন লিটন দাস।
জীবন পেলেন তানজিদ
ব্যক্তিগত ৬০ রানে কামিন্দুর বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তানজিদ। তবে এক্সট্রা কাভারে দাঁড়ানো ফিল্ডার তিকশানা সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন। জীবন পেয়ে এই ওভারের শেষ বলেই ছক্কা মেরেছেন তানজিদ।
বাংলাদেশের রান ১৩ ওভারে ২ উইকেটে ১১১ রান।
তানজিদের ফিফটি
২৭ বলে ফিফটি পেয়েছেন তানজিদ। এই ইনিংস খেলার পথে ছক্কা মেরেছেন ৫টি, চার একটি। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তানজিদের পঞ্চম ফিফটি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম।
সফট ডিসমিস্যাল
টানা দ্বিতীয় ফিফটির পথে এগোচ্ছিলেন লিটন। ২৫ বলে ৩২ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন। এমন সময়ে কামিন্দু মেন্ডিসের একটি নিরীহ বলে সুইপ করে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন লিটন।
বাংলাদেশ: ৯ ওভারে ৭৬/২
এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ১ উইকেট ৬৩। ইনিংসের প্রথম বলে পারভেজের উইকেট হারালেও সাবলীল ক্রিকেট খেলছেন লিটন ও তানজিদ। যেটাকে বলে ‘লো রিস্ক, হাই বেনিফিট’ কৌশল।
সিঙ্গেল নিচ্ছেন, এক রানকে দুই করার টেষ্টা করছেন। সঙ্গে বাউন্ডারিও আদায় করে নিচ্ছেন লিটন ও তানজিদ।
লিটন ২২ বলে ২৯, তানজিদ ১৯ বলে ৩৩ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন।
টিপিকাল তুষারা
নতুন বলে তুষারা ফুল লেংথেই বল করেন। পারভেজও হয়তো প্রস্তুত ছিলেন। তবে বলের লাইন মিস করেছেন এই ওপেনার। তাতে বল লেগেছে তাঁর পেছনের পায়ে। এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত দিতে খুব একটা দেরি করেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েছেন পারভেজ। বাঁচতে পারেননি। বল আঘাত হানে লেগ স্টাম্পে।
বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৮।
সিরিজ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৩৩ রান
ইনিংসের শেষ ওভারে শরীফুলের ওপর একটি ঝড়ই বয়ে গেল। বাঁহাতি এই পেসার ২০তম ওভারে দিয়েছেন ২২ রান। শানাকা তাঁর বলে দুটি চারের সঙ্গে মেরেছেন দুটি ছক্কাও, যার একটি ১০২ মিটারের। তাতে শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলতে পেরেছে।
অবশ্য শ্রীলঙ্কাকে ১৩২ রানে আটকাতে পেরে খুশিই হওয়ার কথা লিটনদের। টি–টোয়েন্টিতে এই রান তো আর বড় কোনো সংগ্রহ নয়।
শ্রীলঙ্কা বড় সংগ্রহ তুলতে পারেনি স্পিনার মেহেদী হাসানের কারণে। ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ১৭, উইকেট নিয়েছেন একটি।
যেভাবে উইকেট নিলেন মোস্তাফিজ
মিড অফ–মিড অন ত্রিশ গজের ভেতরে ছিল। জেফরি ভ্যান্ডারসের পরিকল্পনা তাই ঠিকই ছিল। তিনি মোস্তাফিজের করা বলটি মিড অফে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। তবে মোস্তাফিজের স্লোয়ারে ধরা পড়লেন তানজিম হাসানের হাতে।
শ্রীলঙ্কা: ১৮ ওভারে ১০৫/৭।
শামীমের উইকেট
শ্রীলঙ্কা: ১৪ ওভারে ৯২/৬
তানজিমের আগের ওভারের প্রথম দুই বলে মেরেছিলেন চার, ছক্কা। চাপ কাটিয়ে উঠার আভাসও মিলছিল তাতে। তবে পরের ওভারের প্রথম বলেই তাঁকে আউট করেছেন শামীম হোসেন। তাঁকে রিভার্স সুইপ করে খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো তানজিমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ বলে ২১ রান করা কামিন্দু।
আবার মেহেদী
শ্রীলঙ্কা: ১১ ওভারে ৬৬/৫
নিজের স্পেলের শেষ ওভারটি করতে এসেও উইকেট পেয়েছেন মেহেদী। শ্রীলঙ্কার হয়ে একপ্রান্ত আগলে থেকে ৩৯ বলে ৪৬ রান করে নিশাঙ্কাকে ফিরিয়েছেন। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়েছেন। ইনিংসের ১১তম ওভার করতে এসে উইকেট মেডেন দিয়েছেন মেহেদী। ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেলেন।
১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার ৬৬
শ্রীলঙ্কা: ১০ ওভারে ৬৬/৪
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয়েছে। চাপ ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে শরীফুল–মেহেদীর পর শামীম–রিশাদের বিপক্ষেও আক্রমণাত্মক হতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। বাকি সময়েও বাংলাদেশের বোলাররা এই চাপ ধরে রাখতে পারেন কি না, সেটিই এখন দেখার।
তৃতীয় উইকেট পেলেন মেহেদী
শ্রীলঙ্কা: ৮ ওভারে ৫১/৪
তৃতীয় উইকেট পেলেন মেহেদী। এবার চারিত আসালাঙ্কাকে বোল্ড করেছেন। অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে পড়া বল টার্ন করে ভেতরে ঢুকে। ৮ বলে ৩ রান করে ফিরেছেন আসালাঙ্কা।
পাওয়ার প্লেতে ৪০
শ্রীলঙ্কা: ৬ ওভারে ৪০/৩
প্রথম ওভারের শুরুটা ভালোই করেছিল শ্রীলঙ্কা। এতটুকু পর্যন্তই। ওই ওভারের শেষ বলে শরীফুল উইকেট নেওয়ার পর থেকেই চাপে আছে শ্রীলঙ্কা। দুই উইকেট পেয়েছেন মেহেদী হাসান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪০ রান তুলেছে স্বাগতিকরা, হারিয়েছে ৩ উইকেট।
মেহেদীর আরও এক উইকেট
মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন। শুরুতেই তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস। প্রতিদানও ভালোভাবেই দিয়েছেন মেহেদী। ৫ বলে ৪ রান করা দিনেশ চান্ডিমালকে ফিরিয়ে দলকে তৃতীয় উইকেট এনে দিয়েছেন।
৩ সুযোগ হাতছাড়া
শ্রীলঙ্কা: ৩ ওভারে ২৮/২
শুরুটা হয়েছিল দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে। রান আউটের আবেদন ছিল। যদিও স্টাম্প ভাঙার আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন পাতুম নিশাঙ্কা। শরীফুলের পরের ওভারটিও হলো ঘটনাবহুল। তৃতীয় বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছিলেন নিশাঙ্কা। বৃত্তের ভেতর থেকে উল্টো দিকে অনেকটা দৌড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত বল ধরতে পারেননি তানজিম। এক বল পর শর্ট থার্ডম্যানে ঝাঁপিয়েও বল হাতে রাখতে পারেননি মোস্তাফিজ।
দ্বিতীয় উইকেট এনে দিলেন মেহেদী
শ্রীলঙ্কা : ২ ওভারে ২১/২
দ্বিতীয় উইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না বাংলাদেশকে। এবার উইকেট এনে দিয়েছেন একাদশে ফেরা মেহেদী হাসান। দ্বিতীয় ওভার করতে এসে প্রথম ৪ বলে ৫ রান দেওয়ার পর তাঁর করা পঞ্চম বলে স্লিপে দাঁড়ানো তানজিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরেছেন কুশল পেরেরা।
উইকেট এল প্রথম ওভারে
শুরুটা হয়েছিল বাউন্ডারিতে। পরের বলে এসেছে তিন রান। তৃতীয় বলের পর আম্পায়ারকে তাঁর ঘড়ি খুলতে বলেন কুশল মেন্ডিস, সেটির আলো প্রতিফলিত হয়ে লাগছিল লঙ্কান ব্যাটসম্যানের চোখে। পরের বলে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়েও চার ঠেকানো যায়নি।
ঘটনাবহুল ওভারের শেষ বলে উইকেট পেয়েছেন শরীফুল ইসলাম। ফ্লিক করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪ বলে ৬ রান করা মেন্ডিস।
টস দুর্ভাগ্য!
সাড়ে তিন বছর পর টি–টোয়েন্টিতে চান্ডিমাল
বাংলাদেশ দলের মতো শ্রীলঙ্কাও একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে। আভিস্কা ফার্নান্দো ও চামিকা করুনারত্নের জায়গায় এসেছেন দিনেশ চান্ডিমাল ও কামিন্দু মেন্ডিস। এর মধ্যে চান্ডিমাল আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ফিরলেন প্রায় সাড়ে তিন বছর পর। ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান সর্বশেষ খেলেছিলেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ দলে মিরাজের বদলে মেহেদী
বাংলাদেশ দল আজকের ম্যাচে দুটি পরিবর্তন এনেছে। মেহেদী হাসান মিরাজের জায়গায় এসেছেন মেহেদী হাসান। আর মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিনের জায়গায় ঢুকেছেন তানজিম হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, শরীফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা
টসে জিতেছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিত আসালঙ্কা। আগের দুই ম্যাচে টসে জিতলেও ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন তিনি, তবে এবার নিলেন ব্যাটিং।
তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে স্বাগত
বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কা টি–টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সবাইকে স্বাগত। এটি শুধু টি–টোয়েন্টি সিরিজেরই শেষ ম্যাচ নয়, শ্রীলঙ্কা সফরেই বাংলাদেশ দলের শেষ ম্যাচ।
দুই টেস্টের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। তিন ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে হেরে ২–১ ব্যবধানে হার ওয়ানডে সিরিজও। এবার টি–টোয়েন্টিতেও একই সমীকরণ। প্রথম দুই ম্যাচ দুই দলই একটি করে ম্যাচ জেতায় আজ কলম্বোর ম্যাচটি হয়ে উঠেছে সিরিজ–নির্ধারক। আর বাংলাদেশের জন্য শ্রীলঙ্কা সফরে একমাত্র সিরিজজয়ের সুযোগও।