- বাংলাদেশের ধবলধোলাই আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম
- ১৬.৫ ওভারেই জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- রিশাদের জোড়া উইকেট
- ৩ ওভারের ঝড়
- নুরুলের সর্বশেষ
- আবারও ক্যাচ মিস, এবার তানজিমের
- স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়লেন নুরুল
- বোলিংয়ে এসেই রিশাদের উইকেট
- নাসুমকে ওড়াতে গিয়ে কিং বোল্ড
- আবারও শরীফুলের বলে ক্যাচ মিস
- মেহেদী আনলেন প্রথম উইকেট
- ক্যাচ ফেললেন সাইফ
- ১৫১ রানে অলআউট বাংলাদেশ
- শেফার্ডের হ্যাটট্রিক
- তানজিদ ফিরলেন ৮৯ রানে
- টানা চতুর্থ ওভারে শেষ বলে উইকেট
- নুরুলও আউট
- সর্বোচ্চ
- রিশাদ আউট
- সাইফ ফিরলেন ছক্কার পরের বলেই
- বাংলাদেশের ১০০
- আবারও তানজিদের ক্যাচ মিস
- তানজিদের ফিফটি
- মাইলফলক
- লিটন ফিরলেন ক্যাচ দিয়ে
- পাওয়ারপ্লেতে এল ৪০ রান
- এবার রিভিউতে বাঁচলেন তানজিদ
- পারভেজকে হারাল বাংলাদেশ
- ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন তানজিদ
- ঘটনাবহুল প্রথম ওভার
- বাংলাদেশ দলে ৪ পরিবর্তন
- একাদশে কারা
- টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
- স্বাগত তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে
বাংলাদেশের ধবলধোলাই আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘরের বাইরে ৩–০ ব্যবধানে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতল এই প্রথম। এর আগে ‘অ্যাওয়েতে’ দলটির সেরা সিরিজ ছিল ২০২০ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কায় ২–০ ব্যবধানের জয়।
আজ বাংলাদেশের করা ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে ছিল। তবে আকিম অগাস্টে ও রোস্টন চেজের চতুর্থ উইকেট জুটি প্রথমে দেখেশুনে খেললেও কিছুক্ষণ পরই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়। ১৩ থেকে ১৫—এই তিন ওভারেই ৫০ রান তোলেন চেজ–অগাস্টে। দুজনে করেন ফিফটিও। ২৪ বলে ফিফটি করা অগাস্টে আর ২৮ বলে ফিফটি করা চেজ রিশাদের তিন বলের মধ্যে ফিরলেও ততক্ষণে দলের জয় মাত্র ৮ রান দূরে।
অগাস্টে–চেজের ৯১ রানের জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের কারণ হলেও বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ব্যর্থতার ভূমিকাও কম নয়। ওপেনার আমির জাঙ্গুর ১ ও ৯ রানে ক্যাচ মিস করেছেন সাইফ ও হৃদয়। জাঙ্গু শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৩৪ রান করেছেন। আর ২৭ রানে তানজিমের ক্যাচ মিস থেকে সুযোগ পাওয়া অগাস্টে করেছেন ৫০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫১ (তানজিদ ৮৯, সাইফ ২৩; শেফার্ড ৩/৩৬, পিয়েরে ২/২৩)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬.৫ ওভারে ১৫২/৫ (অগাস্টে ৫০, চেজ ৫০, জাঙ্গু ৩৪; রিশাদ ৩/৪৩, মেহেদী ১/১৮)। ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোস্টন চেজ। সিরিজ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩–০ ব্যবধানে জয়ী। ম্যান অব দ্য সিরিজ: রোমারিও শেফার্ড।
১৬.৫ ওভারেই জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯ বল হাতে রেখেই বাংলাদেশের ১৫১ রান টপকে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৭তম ওভারে তাসকিনের পঞ্চম বল লং অনে পাঠিয়ে এক রান নিয়ে ক্যারিবীয়দের জয়ের মুহূর্ত এনেছেন রোভমান পাওয়েল। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতল ৫ উইকেটে।
শুধু ম্যাচই নয়, বাংলাদেশকে ধবলধোলাইও করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের দুই ম্যাচে ১৪ ও ১৬ রানে জেতা দলটি তিন ম্যাচের সিরিজ জিতল ৩–০ ব্যবধানে।
রিশাদের জোড়া উইকেট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬ ওভারে ১৪৬/৫। লক্ষ্য: ১৫২।
জয় দেখছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ম্যাচ বাংলাদেশের হাত থেকে কার্যত বেরিয়ে গেছে। তবে শেষবেলায় দুই বলের মধ্যে দুই উইকেট নিলেন রিশাদ হোসেন। ১৬তম ওভারে তাঁর প্রথম বলে বোল্ড হয়েছেন রোস্টন চেজ (২৯ বলে ৫০), তৃতীয় বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছন আকিম অগাস্টে (২৫ বলে ৫০)।
৩ ওভারের ঝড়
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৫ ওভারে ১৪৩/৩। লক্ষ্য: ১৫২।
১৩ থেকে ১৫—এই তিন ওভারে রীতিমতো ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান রোস্টন চেজ ও আকিম অগাস্টে। রিশাদের ১৩তম ওভার থেকে ২১, নাসুমের ১৪ ওভার থেকে ১৪ আর তাসকিনের ১৫তম ওভার থেকে ১৫ রান—তিন ওভারে ৫০ রান নিয়েছে উইন্ডিজ।
তাতে ১২ ওভার শেষের ৯৩/৩ স্কোর ১৫ ওভার শেষে ১৪৩/৩। ফিফটি করেছেন অগােস্ট, চেজ দুজনই।
নুরুলের সর্বশেষ
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে থাকা প্রথম আলো প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, স্ট্রেচারে শুইয়ে মাঠ থেকে বের করে নেওয়া নুরুল হাসানকে ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, নুরুল অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়েছেন।
আবারও ক্যাচ মিস, এবার তানজিমের
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩ ওভারে ১১৪/৩। লক্ষ্য: ১৫২।
ম্যাচে তৃতীয়বারের মতো ক্যাচ মিস করলেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এবার অগাস্টের ক্যাচ ফেলেছেন বদলি ফিল্ডার তানজিম হাসান।
১৩তম ওভারে রিশাদের দ্বিতীয় বলে কাভারে ক্যাচ দেন অগাস্টে। নিতে পারেননি তানজিম। ২৭ রানে বেঁচেছেন অগাস্টে। ক্যাচ মিসের ঠিক পরের দুই বলেই ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ক্যাচ দেওয়ার আগের বলেও মেরেছেন।
সব মিলিয়ে, চার বলের মধ্যে তিন ছক্কাসহ ২০ রান নিয়েছেন অগাস্টে। তাতে ম্যাচে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ আলগা হয়ে গেল অনেকটাই। রিশাদের ওভার থেকে বেরিয়েছে ২১ রান।
স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়লেন নুরুল
স্ট্রেচারে শুইয়ে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নুরুল হাসানকে। এমনিতে উইকেটকিপার হলেও লিটন দাস গ্লাভস হাতে দাঁড়ানোয় আজ তিনি ফিল্ডার। পানি পানের বিরতি শেষে এগারতম ওভারের খেলা শুরু হওয়ার এক বল পরই মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। মনে হচ্ছিল, পায়ে টান পড়েছে, ভর করে দাঁড়াতে পারছেন না। প্রথমে লিটন–জাকেররা, এরপর ফিজিও এসে বসেন তাঁর পাশে। এরপর স্ট্রেচার এনে তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১১ ওভারে ৮২/৩। লক্ষ্য: ১৫২।
বোলিংয়ে এসেই রিশাদের উইকেট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৮ ওভারে ৫৫/৩। লক্ষ্য: ১৫২।
অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসেই তৃতীয় বলে উইকেট নিলেন রিশাদ হোসেন। উইকেটটাও মূল্যবান। দুবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেছিলেন আমির জাঙ্গু। সেই জাঙ্গুই পড়েছেন এলবিডব্লুর ফাঁদে। ২৩ বলে ৩৪ রান করেছেন জাঙ্গু।
নতুন ব্যাটসম্যান আকিম অগাস্টে, সঙ্গে রোস্টন চেজ।
নাসুমকে ওড়াতে গিয়ে কিং বোল্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৬ ওভারে ৩৭/২। লক্ষ্য: ১৫২।
বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন ব্রেন্ডন কিং। নাসুমের ডেলিভারিটি ছিল সোজা স্টাম্পে। ব্যাট মিস করেই বল স্টাম্পে। বাংলাদেশ পেল দ্বিতীয় উইকেট।
ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে কিং ফিরলেন ৭ বলে ৮ রান করে। তবে অন্য প্রান্তে থাকা জাঙ্গু রীতিমতো ঝোড়ো–মেজাজে। দুবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া এই বাঁহাতি তাসকিনের আগের ওভার থেকে নিয়েছেন তিন চার এক ছয়ে ১৮ রান।
আবারও শরীফুলের বলে ক্যাচ মিস
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪ ওভারে ১৫/১। লক্ষ্য: ১৫২।
আবারও দুুর্ভাগা শরীফুল ইসলাম। এবার তাঁর বলে জাঙ্গুর ক্যাচ মিস করেছেন তাওহিদ হৃদয়।
ওপরে উঠে যাওয়া বল হৃদয় মিড অফ থেকে পেছনে গিয়ে নাগালে পেয়েছিলেন। দুই হাতই ছিল বলের নিচে। কিন্তু হাতে জমাতে পারেননি। ৯ রানে ‘দ্বিতীয় জীবন’ পেলেন জাঙ্গু। এর আগে ১ রানে শরীফুলের বলে ক্যাচ তুলে বেঁচেছিলেন সাইফের হাত থেকে।
মেহেদী আনলেন প্রথম উইকেট
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩ ওভারে ৬/১। লক্ষ্য: ১৫২।
প্রথম উইকেটের জন্য অপেক্ষার অবসান। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিলেন মেহেদী হাসান।
তাঁর বল এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে অ্যালিক অ্যাথানেজ মিস করেছেন। উইকেটকিপার লিটন স্টাম্পিং করতে দেরি করেননি। ৮ বলে ১ রান করেছেন অ্যাথানেজ। ৬ রানে প্রথম উইকেট হারাল উইন্ডিজ।
ক্যাচ ফেললেন সাইফ
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২ ওভারে ৫/০। লক্ষ্য: ১৫২।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারত বাংলাদেশ। শরীফুলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল আমির জাঙ্গুর ব্যাট ছুঁয়ে প্রথম স্লিপে গেছে। কিন্তু সেখানে দাঁড়ানো সাইফ ছিলেন অপ্রস্তুত। হাত দিয়ে বল ঠেকানোর চেষ্টায় দেখা গেছে তাঁকে। শুরুতেই সুযোগ হারাল বাংলাদেশ।
১৫১ রানে অলআউট বাংলাদেশ
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫১।
১৪২ রানে নবম উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদের ছক্কা আর একটি করে ডাবলস ও সিঙ্গেলের সৌজন্যে দেড় শ পেরিয়েছে দলের স্কোর। তাসকিন অবশ্য শেষ বলে দুই রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটেছে অলআউট হিসেবে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল শুরুতে উইকেট না হারিয়ে শেষের দিকে ঝড় তোলা। সেই লক্ষ্য সফলও বলা যায়। ১৪ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশ হারিয়েছিল মাত্র ২ উইকেট, স্কোরবোর্ডে ছিল ৯৯ রান। কিন্তু ১৫তম ওভারে দলীয় ১০৭ রানে সাইফ হাসান আউট হলে পরের ব্যাটসম্যানেরা শুধু আসা–যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। অন্তত একটি করে উইকেট পড়েছে প্রতি ওভারেই।
তানজিদ ২০তম ওভার পর্যন্ত টিকে থাকায় রানের গতি কিছুটা সচল ছিল। ১২ রানে শেফার্ডের বলে হোল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া তানজিদ শেষ পর্যন্ত একই বোলার–ফিল্ডারদের সৌজন্যে ৮৯ রানে আউট হয়েছেন। এ ছাড়া সাইফের ২৩ বাদে অন্য কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেননি।
শেফার্ড অবশ্য তানজিদের আগের বলে নুরুল আর পরের বলে শরীফুলকে আউট করে হ্যাটট্রিকও পূর্ণ করেছেন।
উইকেট হাতে রেখেও বাংলাদেশ শেষ দিকে বড় সংগ্রহ গড়তে না পারায় হতাশই হওয়ার কথা। আপাতত লক্ষ্য, বোলিংটা ভালো করে সিরিজের ফল ২–১ বানানো।
বাংলাদেশ ইনিংস
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫১ (তানজিদ ৮৯, সাইফ ২৩; শেফার্ড ৩/৩৬, পিয়েরে ২/২৩)।
শেফার্ডের হ্যাটট্রিক
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৪২/৯।
তানজিদকে আউট করার পরের বলে শরীফুলকে বোল্ড করেছেন রোমারিও শেফার্ড। এর আগে নিজের আগের ওভারের শেষ বলে নুরুলকে আউট করেছিলেন তিনি।
তানজিদ ফিরলেন ৮৯ রানে
বাংলাদেশ: ১৯.১ ওভারে ১৪২/৮।
সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো তানজিদ আউট ৮৯ রানে। ২০তম ওভারের প্রথম বলে শেফার্ডের বলে মিড অফে হোল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। তৃতীয় ইনিংসের তৃতীয় ওভারে একই বোলারের বলে একই ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছিলেন ১২ রানে।
তানজিদ ৬২ বলে ৯ চার আর ৪ ছক্কায় ৮৯ রান করেছেন।
টানা চতুর্থ ওভারে শেষ বলে উইকেট
বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ১৪২/৭।
টানা চার ওভারে শেষ বলে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারে রিশাদ, ১৭তম ওভারে নুরুল, ১৮তম ওভারে নাসুমের পর ১৯তম ওভারে জাকের।
অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা–যাওয়া দেখছেন তানজিদ। ১৯তম ওভার শেষে তিনি ৮৯ রানে অপরাজিত।
নুরুলও আউট
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ১২৬/৫।
একের পর এক উইকেট পড়ছেই। এবার আউট নুরুল হাসান। শেফার্ডের বল লং অনের ওপর দিয়ে পার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে দাঁড়ানো পাওয়েলের কাছে গিয়েছে সেটি। এ নিয়ে টানা তিন ওভারে তিন উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করেছেন নুরুল।
নতুন ব্যাটসম্যান নাসুম আহমেদ।
সর্বোচ্চ
রিশাদ আউট
বাংলাদেশ: ১৬ ওভারে ১১৮/৪।
দ্রুত রান তোলার যে পরিকল্পনা থেকে রিশাদকে আগে নামানো হয়েছে, তা সফল হয়নি। বাঁহাতি স্পিনার পিয়েরের বল তুলে মারতে গিয়ে মিস করেছেন। আম্পায়ার এলবিডব্লু দিতে সময় নেননি। ১৬তম ওভারের শেষ বলে বাংলাদেশ হারাল চতুর্থ উইকেট। ৩ বলে ৩ রান করেছেন রিশাদ।
নতুন ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান।
সাইফ ফিরলেন ছক্কার পরের বলেই
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ১০৯/৩।
হোল্ডারের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরেছেন সাইফ। কোমর–উচ্চতার বল পুল শটে বাউন্ডারি পার করেছেন তিনি।
কিন্তু পরের বলেও একই চেষ্টা করতে গিয়ে সফল হননি। স্কয়ার লেগে অগাস্টের সহজ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন। সাইফ ফিরলেন ২২ বলে ২৩ রান করে। ভাঙল তানজিদের সঙ্গে তাঁর ৪৩ বলে ৬৩ রানের জুটি।
নতুন ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেন।
বাংলাদেশের ১০০
বাংলাদেশ: ১৪.২ ওভারে ১০০/২।
১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বল, অর্থাৎ ইনিংসের ৮৬তম বলে ১০০ রানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে তানজিদ ও সাইফ। দুজনই অষ্টম ওভার থেকে ব্যাট করছেন।
হাতে উইকেট রেখে শেষ দিকে ঝড় তোলাই যে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের লক্ষ্য, সেটি স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে।
আবারও তানজিদের ক্যাচ মিস
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ৯০/২।
দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন তানজিদ। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লং অনে তাঁর ক্যাচ মিস করেছেন রোভমান পাওয়েল। ৫৭ রানে ব্যাট করছিলেন তানজিদ।
এর আগে ১২ রানে থাকতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছিলেন হোল্ডারের মিসে।
তানজিদের ফিফটি
বাংলাদেশ: ১১ ওভারে ৭৯/২।
হাজার রানের পর এবার আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তানজিদ। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে শেফার্ডের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৫০–এ পৌঁছেছেন এই বাঁহাতি। এটি তানজিদের দশম ফিফটি।
পঞ্চাশ ছোঁয়ার কিছুক্ষণ আগে ৩৩ রানে পৌঁছে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে দ্রুততম এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন তিনি।
মাইলফলক
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ১০০০ রানে পৌঁছেছেন তানজিদ। চার অঙ্কে পৌঁছাতে লাগল ৪২ ইনিংস। আগের দ্রুততম ছিল তাওহিদ হৃদয়ের ৪৫ ইনিংসে এক হাজার।
লিটন ফিরলেন ক্যাচ দিয়ে
বাংলাদেশ: ৮ ওভারে ৪৫/২।
অধিনায়কের উইকেটও হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। খারি পিয়েরের বলে মিডউইকেট বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন দাস (৯ বলে ৬ রান)। জায়গায় দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন মোতি।
নতুন ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান। সিরিজের প্রথম দুই টি–টোয়েন্টিতে তিনি নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে। আজ চার নম্বরে।
পাওয়ারপ্লেতে এল ৪০ রান
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে ৪০/১।
পাওয়ারপ্লেতে বাংলাদেশের রান খুব বেশি হয়নি। ৬.৬৬ হারে উঠেছে ৪০ রান। উইকেটও অবশ্য রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। আউট হয়েছেন শুধু পারভেজ হোসেন (১০ বলে ৯)।
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ২২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর বড় জুটি গড়ার চেষ্টায় আছেন তানজিদ ও লিটন। তানজিদের রান ২০ বলে ২৬, লিটন ৬ বলে ৫।
এবার রিভিউতে বাঁচলেন তানজিদ
বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ৩৩/১।
আরও একবার রিভিউ। আবারও সিদ্ধান্ত তানজিদের পক্ষে।
হোল্ডারের বলে বাঁহাতি এ ওপেনারকে এলবিডব্লু আউট দিয়েছেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। রিভিউ নেন তানজিদ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার রিভিউ হলো তানজিদের বিপক্ষে। ম্যাচের প্রথম বলে আম্পায়ার তাঁকে আউট না দিলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিভিউ নিয়েছিল। তখনও বল লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল। এ ছাড়া ক্যাচ দিয়েও বেঁচেছেন একবার।
পারভেজকে হারাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ২৮/১।
আগের ওভারে ক্যাচ তুলেও বেঁচে গিয়েছেন তানজিদ হাসান। তবে পারভেজ হোসেন বাঁচলেন না। চতুর্থ ওভারে রোস্টন চেজের প্রথম বলেই শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। সহজেই নিয়েছেন গুড়াকেশ মোতি। পারভেজ ১০ বলে ১ ছক্কায় করেছেন ৯ রান।
নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস। প্রথম বলেই উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে লং অনের দিকে খেলেছেন। পেয়েছেন ৪ রান। পরের চার বলে অবশ্য মোটে ২ রান এসেছে।
ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন তানজিদ
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে ২২/০।
তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ‘নতুন জীবন’ পেয়েছেন তানজিদ হাসান। শেফার্ডের বলে মিড অফে জেসন হোল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি।
তবে সোজা আসা বলটি মুঠোয় রাখতে পারেননি হোল্ডার। ১২ রানে বাঁচলেন তানজিদ।
ঘটনাবহুল প্রথম ওভার
বাংলাদেশ: ১ ওভারে ৮/০।
জেসন হোল্ডারের করা প্রথম ওভারে একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
প্রথম বলে তানজিদ হাসানের বিপক্ষে এলবিডব্লু চেয়ে রিভিউ নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করায় সেটা সফল হয়নি।
পরের বলে তানজিদ এক রান নেওয়ার জন্য দৌড়েছিলেন। অর্ধেক পথ পারও হয়ে গেছেন। তবে নন স্ট্রাইকে থাকা পারভেজের অনড় অবস্থানের কারণে ফিরে যেতে হয়েছে।
তৃতীয় ও চতুর্থ বলে হয়েছে বাউন্ডারি। একটি অফসাইডে, একটি লেগ সাইডে।
বাংলাদেশ দলে ৪ পরিবর্তন
বাংলাদেশ আগের ম্যাচের দল থেকে চারটি পরিবর্তন এনেছে। বাদ পড়েছেন তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান।
তাঁদের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান, শরীফুল ইসলাম ও পারভেজ হোসেন। এর মধ্যে নুরুল হাসান সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন।
একাদশে কারা
বাংলাদেশ দল: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, নুরুল হাসান, জাকের আলী, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল: ব্রেন্ডন কিং, অ্যালিক অ্যাথানেজ, আকিম অগাস্টে, রোস্টন চেজ (অধিনায়ক), আমির জাঙ্গু, রোভমান পাওয়েল, জেসন হোল্ডার, গুড়াকেশ মোতি, রোমারিও শেফার্ড, আকিল হোসেন ও খারি পিয়েরে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সিরিজে প্রথমবারের মতো টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। বেছে নিয়েছেন আগে ব্যাটিং।
বাংলাদেশ আগের দুই ম্যাচে ব্যাট করেছিল পরে। দুটিতেই রান তাড়ায় ব্যাটসম্যানেরা হতাশায় ডুবিয়েছেন। আজ তাঁদের চ্যালেঞ্জটা স্কোরবোর্ডে ভালো সংগ্রহ গড়ার।
স্বাগত তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে
বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি–টোয়েন্টির সরাসরি ধারাবিবরণীতে আপনাদের স্বাগত।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সিরিজের আগের দুই ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। আজ একই মাঠে শেষ টি–টোয়েন্টি লিটন দাসের দলের জন্য ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াই।
ম্যাচের তাৎক্ষণিক ঘটনাপ্রবাহ, তথ্য ও পরিসংখ্যান জানাতে আপনাদের সঙ্গে আছি মো. আনোয়ার হোসেন।