২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘গায়ের রং বা ধর্মের কারণে কি কেউ কম গুরুত্বপূর্ণ’—গাজা প্রসঙ্গে খাজার প্রশ্ন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গাজা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন উসমান খাজাএএফপি

গায়ের রং বা ধর্মের কারণে কেউ কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েন কি না, গাজায় ইসরায়েলের হামলা প্রসঙ্গে এমন প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার উসমান খাজা। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে এসব কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ান এ ব্যাটসম্যান।

খাজা যে ভিডিও শেয়ার করেছেন, তাতে কথা বলতে দেখা যায় ইউনিসেফের বৈশ্বিক মুখপাত্র জেমস এল্ডারকে। গাজা ছেড়ে যাওয়া কয়েকটি পরিবারকে পেছনে রেখে এল্ডার বলেন, ‘আমি যখন ইউক্রেনে ছিলাম, এ রকম অনেক পরিবার পালাতে বাধ্য হয়েছিল। বিশ্ব হৃদয় উন্মুক্ত করে দিয়েছিল তাদের জন্য। এখন বুঝতে পারছি না কেন বিশ্ব চোখ বন্ধ করে আছে।’

খাজা সেই ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দারুণ একটা প্রশ্ন। লোকের কি এখন নিরীহ মানুষ হত্যার ব্যাপারে কিছু যায় আসে না, নাকি তাদের গায়ের রঙের কারণে তারা কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে; নাকি তারা যে ধর্মের অনুসারী সে কারণে?’

এরপর খাজা বলেছেন, ‘যদি আপনি সত্যিই বিশ্বাস করে থাকেন, “আমরা সবাই সমান”, তাহলে এ ব্যাপারগুলো অপ্রাসঙ্গিক হওয়া উচিত নয়।’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘গাজা’, ‘মানবতা’, ‘সাম্য’, ‘সব জীবনেরই মূল্য আছে’—এ শব্দগুলো লেখেন তিনি।

শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে এর আগে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। গত ১০ অক্টোবর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের পর রিজওয়ান এক্সে লেখেন, ‘এটা (জয়) গাজায় আমাদের ভাইবোনদের জন্য।’ ফিলিস্তিনের প্রতি পরে সংহতি জানান তখনকার পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও।

আরও পড়ুন

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে সেদিন থেকে গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে তারা। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সর্বশেষ গত বুধবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় চারজন মারা গেছেন, যাঁদের মধ্যে দুজন কিশোর। ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর এ অঞ্চলে অন্তত ২৬৩ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রশাসন, যেটি গত বছর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ জন মারা যান, যাঁদের বেশির ভাগ সাধারণ নাগরিক। ইসরায়েলের দাবি, সে সময় ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় মারা যান প্রায় ১৭ হাজার ২০০ মানুষ। হামাসের দাবি, নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

আরও পড়ুন