রাফি-রিজানের বোলিংয়ে আবার সমতায় বাংলাদেশ

৫ উইকেট নেন রাফিবিসিবি

দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা—সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের ফলের এ ক্রম অনুসরণ করলে চতুর্থ ম্যাচটি জেতার কথা ছিল বাংলাদেশের। সেটিই হলো। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে যুব ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে আবার সমতা এনেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

বাংলাদেশের জয়ে মূল অবদান রাফি উজ্জামানের। এ বাঁহাতি স্পিনার ১৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। সঙ্গে রিজান হোসেনের ৩ উইকেটের তোপে দক্ষিণ আফ্রিকা গুটিয়ে যায় ৩৫.২ ওভারে ১২৮ রানেই। রান তাড়ায় ৭৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ একটু নড়বড়ে হয়ে পড়লেও আশরাফুজ্জামান ও অধিনায়ক মাহফুজুর রহমানের সপ্তম উইকেটে ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১২৬ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের। ১৭ জুলাই শেষ ম্যাচে তাই নির্ধারিত হবে সিরিজের ফল। রাজশাহীতেই হবে ম্যাচটি।

আরও পড়ুন

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন পেসার রিজান। ওপেনার থেবে গাজিডে ও অধিনায়ক ডেভিড টিগারকে পরপর ২ বলে ফেরান ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। অষ্টম ওভারে তৃতীয় আঘাতটিও তিনিই করেন, এবার তাঁর শিকার জোনাথন ভ্যান জিল।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরুতেই চাপে ফেলেন রিজান
বিসিবি

৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দক্ষিণ আফ্রিকাকে একটু ধাতস্থ করে লুহান-ড্রে প্রিটোরিয়াস ও রিচার্ড সেলেটসোয়ানের চতুর্থ উইকেটে যোগ করা ৪০ রান। প্রিটোরিয়াসকে ফিরিয়ে সে জুটি ভাঙেন রাফি। দক্ষিণ আফ্রিকা এরপর আর পথ খুঁজে পায়নি, নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ৩২ রানেই শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানে থামে তাদের ইনিংস। ৩৬তম ওভারে পরপর ২ বলে ২ উইকেট নেন রাফি। তাঁর ফিগার যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ে সপ্তম।

মাঝে ধস নামার পর নিশ্চিতভাবেই বড় একটা জুটি দরকার ছিল, আশরাফুজ্জামান ও মাহফুজুর করেন সেটিই
বিসিবি

রান তাড়ায় বাংলাদেশের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের তিনজন ২০ পেরিয়ে ৩০-এর আগে থামেন, দুজন ফেরেন দুই অঙ্কের আগেই। ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৩১ রান যোগ করেন নাঈম আহমেদ ও রিজান। তবে ১৭তম ওভারের শেষ বলে নাঈম ফেরার পর একটা ধস নামে ইনিংসে। সে সময় ৬ বলের মধ্যে ১ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। নিশ্চিতভাবেই বড় একটা জুটি দরকার ছিল, আশরাফুজ্জামান ও মাহফুজুর করেন সেটিই। তাতেই নিরাপদে পার হয় দল। আশরাফুজ্জামান অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ২৫ রানে, মাহফুজুর ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ৩৯ বল খেলে।

আরও পড়ুন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এর আগে দুটি যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ, দুটিই ২০১৫ সালে এবং দুটিতেই জিতেছে তারা। সে রেকর্ড ধরে রাখতে গেলে তাই ১৭ জুলাই এবারের সিরিজের ‘অলিখিত’ ফাইনালটি জিততে হবে বাংলাদেশকে।