৭ ছক্কায় ইয়াসিরের ১৪৩, জোড়া সেঞ্চুরিতে জয় ব্রাদার্সের

ধানমন্ডি স্পোর্টিংয়ের বড় ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির আলী।সংগৃহীত
ইয়াসির আলীর ব্যাটে বড় রান পায় ধানমন্ডি ক্লাব। এরপর তারা হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের মাহফিজুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। মিরপুরে অগ্রণী ব্যাংককে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

মাহফিজুল-মিজানুর জুটিতে ব্রাদার্স

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৮৮ রান করেছিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। তবে এই স্কোরটাকেও একদম সহজ বানিয়ে ফেলেছেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের মাহফিজুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান।

দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে শূন্য রানে ফিরে যান ব্রাদার্সের ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন। এরপর ২৫০ রানের জুটি গড়েন মাহফিজুল ও মিজানুর। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৯ বলে ১৩৬ রান করে মিজানুর রিটায়ার্ড হার্ট হলে এই জুটি ভাঙে।

১২৭ বলে ১১৩ রান করা মাহফিজুল বোল্ড হন রহিম আহমেদের বলে। শাইনপুকুর হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৯৬ বলে ৯৫ রানও করেন এই রহিমই। ৭ বল আগেই ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় ব্রাদার্স।

গাজী গ্রুপের জয়

আগের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে ১০ উইকেটে হেরে যাওয়া গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে। ভালো শুরুর পরও অগ্রণী ব্যাংককে ২১৬ রানে অলআউট করে তারা। এরপর দলটি জয় পেয়েছে ৪ উইকেটে।

শুরুতে ব্যাট করতে নামা অগ্রণী ব্যাংকের দুই ওপেনার ব্যর্থ হওয়ার পর হাল ধরেন ইমরুল কায়েস ও অমিত হাসান। ৬১ বলে ৫০ রান করে ইমরুল ও ১১১ বলে ৮৯ রান করে অমিত ফিরে গেলে পরের ব্যাটসম্যানরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। গাজী গ্রুপের আবদুল গাফফার তিন এবং তোফায়েল আহমেদ ও মুকিদুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট।

৬১ বলে ৫০ রান করেন ইমরুল কায়েস।
সংগৃহীত

রান তাড়ায় নেমে ৪ বলে শূন্য রান করে আউট হয়ে যান গাজী গ্রুপের ওপেনার এনামুল হক। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ডাক মেরে ফেরার পর দলকে টেনে নেন সাদিকুর রহমান ও তোফায়েল আহমেদ।

৬৪ বলে ৫২ রান করে রবিউল হকের বলে তোফায়েল ক্যাচ তুলে দিলে এই জুটি ভেঙে যায়। সাদিকুরও অবশ্য সেঞ্চুরি তুলতে পারেননি, রুয়েল মিয়ার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯৬ বলে ৮৯ রান করেন তিনি। এরপর দলকে টানেন শামসুর রহমান, ৭৭ বলে ৩৮ রান করে আউট হন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য গাজী গ্রুপের দরকার কেবল ৮ রান।

আরও পড়ুন

ইয়াসিরের সর্বোচ্চ ইনিংস

১২১ বলের ইনিংসে ৭ চার ও সমান ছক্কায় ১৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির আলী। লিস্ট-এ ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় শতকের দিন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানও করে ফেলেছেন তিনি। তাঁর এমন দুর্দান্ত ইনিংসের সঙ্গে মঈন খানের ৬৩ বলে ৬২ ও জিয়াউর রহমানের ১৮ বলে ৪০ রানে ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রানের বড় সংগ্রহ পায় ধানমন্ডি ক্লাব।

আফিফ–সাইফ জুটিতে জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
সংগৃহীত

বড় রান তাড়ায় নেমে ২৬ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এরপর অবশ্য সাইফ হাসান ও আফিফ হোসেন মিলে দলের আশা বাঁচিয়ে রাখেন। ১৭২ রানের জুটি গড়েন তাঁরা।

তবে সাইফ হাসান ১১২ বলে ৯৫ ও আফিফ হোসেন ৯৬ বলে ৯৮ রানে আউট হলে দলের বাকিরা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। রেজাউর রহমানের ৩৯ বলে ৪৯ রান কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রানে থামে রূপগঞ্জ।