পন্ত যেভাবে প্রতি ম্যাচেই সেঞ্চুরি করতে পারেন, জানালেন অশ্বিন
এক মাস আগেও দুজন ভারতের হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন, কিন্তু ব্রিসবেনে বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় টেস্ট শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি এখন ঋষভ পন্তের সদ্য সাবেক সতীর্থ।
তবে জাতীয় দলের হয়ে একসঙ্গে ৪৪ ম্যাচ খেলায় পন্তের শক্তিমত্তা–দুর্বলতার জায়গাগুলো ভালোভাবেই জানা অশ্বিনের। সেই জানাশোনা থেকেই অশ্বিন বলেছেন, পন্তের পক্ষে সব ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা সম্ভব, যদি নিজের প্রতিভা যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন।
সিডনিতে বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির শেষ ম্যাচে দারুণ দুটি ইনিংস খেলেছেন পন্ত। ইনিংস দুটি ছিল ভিন্ন মেজাজের। প্রথম ইনিংসে ৯৮ বলে করেন ৪০ রান, দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে ৩৩ বলে করেন ৬১ রান। একই ম্যাচে পন্তের ভিন্নধর্মী ব্যাটিং দেখে অশ্বিন মোটেও বিস্মিত নন। বরং তিনি মনে করেন, ডিফেন্সের দিক থেকে পন্ত অন্যতম সেরা এবং সিডনিতে তিনি তাঁর লড়াকু মানসিকতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ২৭ বছর বয়সী উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যানকে নিয়ে অশ্বিন বলেছেন, ‘আমি একটা কথা শুনতে শুনতে বেড়ে উঠেছি “তোমাকে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” সিডনিতে সে দুই ধরনের ইনিংস খেলেছে। শরীরের সব জায়গায় বল লাগার পরও ৪০ রান করেছে। কিন্তু ওর সেই ইনিংস নিয়ে সবচেয়ে কম কথা হবে। এটা খুবই অন্যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে সে বেপরোয়া ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেছে, তা নিয়ে প্রশংসায় ভাসানো হচ্ছে। সবাই ওর প্রথম ইনিংস ভুলে গেছে এবং দ্বিতীয় ইনিংসের প্রশংসা করছে।’
পন্তের ডিফেন্স নিয়ে অশ্বিন বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে, পন্ত রক্ষণাত্মক শট খেলতে গিয়ে আউট হয় না বললেই চলে। ডিফেন্সে সে বিশ্বের অন্যতম সেরা। ডিফেন্স করা এখন চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু সে নরম হাতেই তা করে ফেলে। আমি তাকে নেটে বহুবার বল করেছি, কিন্তু আউট করতে পারিনি। বল ওর ব্যাটের কিনারায় লাগে না, সে এলবিডব্লুও হয় না। রিভার্স সুইপ-স্লগ সুইপ থেকে শুরু করে সব ধরনের শট খেলতে পারে।’
তবে অশ্বিন মনে করেন, অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলা পন্তের জন্য তাঁর সামর্থ্যের পুরোটা মেলে ধরতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘ঋষভ পন্ত এখনো তার সক্ষমতাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারেনি। সে যেসব শট খেলে, সবই খুব ঝুঁকিপূর্ণ। ওর যে রক্ষণাত্মক কৌশল, সেটার ওপর ভরসা রাখলে সে প্রতি ম্যাচেই ২০০ বল খেলবে। ব্যাপারটা হলো উপায়টা তাকেই খুঁজে বের করতে হবে। সেটা করতে পারলে প্রতি ম্যাচেই ১০০ রান করবে।’