টানা ১৭ জয়ে লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসে চতুর্থ সেরা আবাহনী, বিশ্ব রেকর্ডও দূরে নয়

দুই মৌসুম মিলিয়ে টানা ১৭টি ম্যাচ জিতেছে আবাহনীফেসবুক/আবাহনী

১৬ ম্যাচে ১৬ জয়। অবিশ্বাস্য কীর্তিটা আবাহনীর। এমন অজেয় হয়ে উঠেই ঢাকাই ক্রিকেটের শীর্ষ লিগে ২৩তম শিরোপা জিতেছে দলটি। ২০১৩-১৪ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথম দল হিসেবে মৌসুমের সব ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হলো আবাহনী।

এবার ১৬ ম্যাচেই জয় পাওয়া আবাহনী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ হেরেছে ২০২২-২৩ মৌসুমে সুপার লিগে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে। ২০২৩ সালের ১০ মে বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কাছে ডিএলএস নিয়মে ৬ উইকেটে হেরেছিল দলটি। ওই হারের তিন দিন পর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ‘ফাইনালে’ শেখ জামালকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী।

সেই শুরু, এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর ম্যাচ মানেই ফলের ঘরে বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম। ২০২২-২৩ মৌসুমের শেষ ম্যাচটি ও গতকাল শেষ হওয়া মৌসুমের ১৬—টানা ১৭ ম্যাচ জিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের টানা জয়ের রেকর্ডেও সেরা চারে উঠে এসেছে আবাহনী।

আরও পড়ুন

টানা ১৭ ম্যাচজয়ী আবাহনী আগামী মৌসুমটা শুরু করবে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার হাতছানি নিয়েই। আর ৫টি ম্যাচ জিতলেই যে বিশ্ব রেকর্ড! ২০০৩ সালে যে রেকর্ডটা গড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সর্বজয়ী ওয়ানডে দলটি। সে বছর বিশ্বকাপ জয়ের পথে সব কটি ম্যাচ জেতা রিকি পন্টিংয়ের দল ১১ জানুয়ারি থেকে ২৪ মে পর্যন্ত টানা ২১টি ওয়ানডে জিতেছিল।

২০০৩ বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। ওই বছর টানা ২১টি ওয়ানডে বা লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া
এএফপি

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে টানা জয়ের রেকর্ডে শীর্ষ সাতে অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আর কোনো আন্তর্জাতিক দল নেই। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়া ভাঙে ট্রান্সভালের রেকর্ড। ১৯৮৩-৮৪ থেকে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা ২০টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ জেতে ট্রান্সভাল। ট্রান্সভালের সেই দলে ছিলেন জিমি কুক, গ্রায়েম পোলকের মতো কিংবদন্তিরা।

আরও পড়ুন

টানা জয়ের এই রেকর্ডে এরপরই আছে শ্রীলঙ্কার সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের নাম। ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ থেকে ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মৌসুম মিলিয়ে টানা ১৮টি ম্যাচ জেতে দলটি। টানা জয়ের ধারাবাহিকতায় ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ মৌসুমে শ্রীলঙ্কার প্রিমিয়ার লিমিটেড ওভার টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় এসএসসি নামেও সুপরিচিত ক্লাবটি। ২০১৯-২০ মৌসুমে শ্রীলঙ্কা আর্মি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত না হলে টানা ২০টি ম্যাচও হয়তো জিতে যেত এসএসসি। পরিত্যক্ত সেই ম্যাচের পরের ম্যাচটিও জিতেছিল দলটি। তবে এরপর চিলাউ মেরিয়ানস ক্রিকেট ক্লাবের কাছে হেরে ভাঙে এসএসসির অপরাজিত থাকার সেই ধারা।

শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব
ফেসবুক

এসএসসির পরেই অবস্থান আবাহনীর। এরপর টানা ১৬ জয় নিয়ে যৌথভাবে পাঁচে আছে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্য দল ও পাকিস্তানের অ্যালাইড ব্যাংক লিমিটেড।

লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে টানা জয়

আরও পড়ুন

স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টির রেকর্ড কোন দলের

ছেলেদের ২০ ওভারের স্বীকৃতি ক্রিকেটে টানা জয়ের রেকর্ড পাকিস্তানের শিয়ালকোট স্ট্যালিয়নসের। ২০০৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২৫টি ম্যাচ জেতে দলটি।

২০১৪ আইপিএল জয়ী কলকাতা নাইট রাইডার্স
বিসিসিআই

টানা ১৫ জয় নিয়ে এরপরই আছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্য দল। ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ১৫ ম্যাচ জেতে দলটি। ১৪ জয় নিয়ে এরপরই আছে ভারতের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স। ২০১৪ সালে আইপিএল জয়ের পথে শেষ ৯টি ম্যাচ জেতা কলকাতা ওই বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে প্রথম পাঁচটি ম্যাচ জয়ের পর ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে যায়।

আরও পড়ুন