‘ভবিষ্যতে ৫-৬টি দেশ টেস্ট খেলতে পারে’

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথছবি: এএফপি

টেস্ট ক্রিকেট ভবিষ্যতে মাত্র ৫ থেকে ৬টি দেশ খেলতে পারে বলে মনে করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। এই ৫-৬টি দেশই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলার মাধ্যমে সংস্করণটি বাঁচিয়ে রাখতে পারে বলে বিশ্বাস স্মিথের।

লর্ডস টেস্টে কাল তৃতীয় দিনে সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসকে নিজের এই ধারণার কথা বলেছেন স্মিথ। মনটা তাঁর ফুরফুরেই ছিল। কারণ এই টেস্টে ইংল্যান্ডকে তিন দিনের মধ্যে ইনিংস ও ১২ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চাপে টেস্ট ক্রিকেট হারিয়ে যেতে পারে—বহুল চর্চিত এ কথা এখনো চালু আছে। তবে স্মিথ টেস্ট ক্রিকেট হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না। সংস্করণটির ব্যাপ্তি ছোট হয়ে আসতে পারে বলে মনে করেন টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব (১০৩) করা স্মিথ। ৪১ বছর বয়সী সাবেক এই ওপেনার এখন দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগের কমিশনার। দক্ষিণ আফ্রিকার ‘টেস্ট ক্রিকেট না খেলার কোনো ইচ্ছা নেই’ বলেও জানিয়েছেন স্মিথ।

বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে ভারত টেস্ট ক্রিকেটকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল এবং এখনো সে ধারা অব্যাহত আছে
ফাইল ছবি: এএফপি

স্কাই স্পোর্টসকে স্মিথ বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে এখন শুধু আইকনিক কিংবা বড় দলগুলোই ভূমিকা রাখছে। এটা সত্যিই দারুণ ব্যাপার যে, বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারত টেস্ট ক্রিকেটকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল। তারা এখনো সে পথেই আছে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দলের কথা বললে আপনি তো ১০, ১১, ১২, ১৩, কিংবা ১৪টি দল পাবেন না। একসময় ৫ থেকে ৬টি দল হয়তো এই পর্যায়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারে।’

আইসিসির নতুন ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) নিয়ে কথা বলতে গিয়েই প্রসঙ্গক্রমে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎও এসেছে। বর্তমান চক্রের (২০১৯-২০২৩) তুলনায় আগামী চক্রে (২০২৩-২০২৭) কম টেস্ট খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৩-২০২৫ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তিন ম্যাচের কোনো টেস্ট সিরিজও রাখা হয়নি।

ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী ফোলেতসি মোসেকি জানিয়েছেন, নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ এবং টেস্ট আয়োজনে আর্থিক বিষয়াদির কারণে সূচিতে ম্যাচের সংখ্যা কমেছে। তবে এ নিয়ে হতাশ দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসএসিএ)। সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু ব্রিৎজ বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট কমে যাওয়ার কারণে আমরা হতাশ। কারণ, তরুণদের জন্য এটিই সর্বোচ্চ পরীক্ষা।’