আফিফের ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ইনিংসে বাংলাদেশের ১৫৮

৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আফিফবিসিবি

ওপেনিংয়ে কারা আসেন, আগ্রহ ছিল সেটি নিয়ে। চোট কাটিয়ে ফেরা লিটন দাস, নুরুল হাসান, ইয়াসির আলীর পারফরম্যান্সের দিকেও ছিল নজর। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ব্যর্থই হয়েছে, ফেরার ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন-ইয়াসিরও। নুরুল হাসান অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ৩৫ রানে রানে। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১৫৮ পর্যন্ত গেছে মূলত আফিফ হোসেনের ৫৫ বলে ৭৭ রানের ক্যারিয়ারসর্বোচ্চ ইনিংসে। ৬ষ্ঠ উইকেটে আফিফ ও নুরুল যোগ করেছেন ৮১ রান, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ। আগের যৌথ সর্বোচ্চ জুটিতেও ছিলেন নুরুল, ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যোগ করেছিলেন ৫৭ রান।

সাব্বির রহমানের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজ—এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচের ওপেনিং জুটিই আসে আবার। তবে ঠিক সফল হয়নি সেটি। দ্বিতীয় ওভারে সাবির আলীর শর্ট বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে তুলে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন সাব্বির, ৩ বল খেলেও কোনো রান করতে পারেননি তিনি।

চোট কাটিয়ে ফেরা লিটন দাস তিনে নেমে শুরুটা ইতিবাচকই করেন, সাবির আলীর পর আয়ান খানকেও চার মারেন। ১৬ বছর বয়সী অভিষিক্ত বাঁহাতি আয়ানকে সুইপ করার পর আবার স্লগ করতে গিয়ে অবশ্য বিপদ ডেকে আনেন লিটন। লেংথটা সুইপের জন্য উপযুক্ত ছিল না মোটেও, সেটিতে জোরের ওপর খেলতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন তিনি, ৮ বলে ১৩ রান করে।

শুরুতে বলের মুভমেন্টের সঙ্গে ধাতস্থ হতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল মিরাজের। জাওয়ার ফরিদকে টেনে একটি চার মেরেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তাঁর শর্ট বলেই ফিরতে হয় তাঁকে। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ক্যাচ তোলেন ১৪ বলে ১২ রান করে। নিজেই পেছন দিকে ছুটে ক্যাচ নেন ফরিদ। বাংলাদেশের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান মিলে আজ করেন মাত্র ২৫ রান।

৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশের স্কোরকার্ডের চিত্রটা বাজে হতে পারত আরও। ২ রানে দাঁড়িয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলেছিলেন আফিফ, তবে সহজ ক্যাচটি নিতে পারেননি ফরিদ। ওই ওভারে ফুললেংথের একটি বলে পাঞ্চ করে সোজা বাউন্ডারি মেরে আরব আমিরাতের আফসোস আরও বাড়ান আফিফ।

পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান যোগ করে বাংলাদেশ, তবে অন্যদিকে উইকেট পড়ে নিয়মিত বিরতিতেই। চোট কাটিয়ে ফেরা ইয়াসির আলী ৭ বলে ৪ রান করে বোল্ড হন মিয়াপ্পনের গুগলি বুঝতে না পেরে। মোসাদ্দেক নেমে আফিফকে সঙ্গ দেওয়া কাজটিই করছিলেন। মিয়াপ্পনকে টানা দুই চারের পর পরের ওভারে ইনিংসের প্রথম ছয়টি স্লগ সুইপে মারেন আফিফই।

মোসাদ্দেকের উইকেট অবশ্য চাপ আরেকটু বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশের। ১৫তম ওভারে রান আউট হতে পারতেন অধিনায়ক নুরুলও, নন স্ট্রাইক প্রান্তে থ্রোটা সরাসরি স্টাম্প ভাঙতে পারলে। সেটির মাশুলও দিতে হয় আরব আমিরাতকে। এরপর আফিফকেও আরেকটি জীবন দেয় তারা, এবার ফরিদের বলে ক্যাচ ছাড়েন আয়ান, ওই মিডউইকেটেই। এবার আফিফের রান ছিল ৬৩।

৫ উইকেটে ১০৫ রান নিয়ে ডেথ ওভার শুরু করে বাংলাদেশ, আরব আমিরাতের আলগা বোলিংয়ের সুবিধাও আদায় করেন আফিফ ও নুরুল। শেষ ৫ ওভারে আসে ৫৩ রান। আফিফ ইনিংসে ৭টি চারের সঙ্গে মারেন ৩টি ছক্কা, ২টি করে চার ও ছক্কা মারেন নুরুল।