আফিফদের ছয় ঘণ্টা ব্যাটিংয়ের পরামর্শ সিডন্সের

বিসিবির ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সফাইল ছবি: প্রথম আলো

সিরিজের আগে স্লোগান ছিল ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের ম্যাচে তাতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ব্যাটসম্যানরা খুব একটা সফল হননি। সফরকারীরা যেখানে টেস্ট মেজাজে খেলে ৭ উইকেটে ৪২৭ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল, সেখানে আফিফ হোসেনের দল প্রথম ইনিংসে দ্রুত রান নিতে গিয়ে ৬৭.৪ ওভার ব্যাটিং করে অলআউট হয়ে যায় মাত্র ২৬৪ রানে।

আরও পড়ুন

প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ ‘এ’ দল অবশ্য ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ড্র করতে পেরেছে। তাতে সিলেটের বৃষ্টিরও যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। আগামীকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২ নম্বর মাঠে দুই দল মুখোমুখি হবে সিরিজের দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে। সেখানে দলের ব্যাটসম্যানের কাছে আরও পরিণত ব্যাটিং দেখতে চান ‘এ’ দলের কোচ জেমি সিডন্স

বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলছেন আফিফ হোসেন
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের কাছে সে প্রত্যাশার কথাই জানান এই অস্ট্রেলীয় কোচ, ‘আমরা ভালোভাবে ডিফেন্ড করতে চাই, ধৈর্য ধরতে চাই। আমি চাই ব্যাটসম্যানরা ছয় ঘণ্টা ব্যাটিং করুক। দ্রুত ৩০-৪০ রান করে আউট হতে দেখতে চাই না। ওরা দিনের শেষে স্টাম্প তুলে ফেলা পর্যন্ত ব্যাটিং করুক এবং পরের দিনও ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকুক। কোচ ও অধিনায়কের ইনিংস ঘোষণা করার সুযোগ তৈরি হোক। চার দিনের ক্রিকেট তো এটাই! অল্প রানে অলআউট হওয়া নয়।’

আরও পড়ুন

প্রথম ম্যাচের আগে ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা লাল বলে খেলার যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাননি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষ হওয়ার দুই দিনের মাথায় ৬ টেস্ট ক্রিকেটারে সাজানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সে সমস্যাটা থাকছে না। লাল বলের ক্রিকেটে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এ কয়দিনে যথেষ্ট সময় পেয়েছে আফিফের দল। দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে লাল বলে খেলার অভ্যস্ততা ফিরে এসেছে বলে আশা সিডন্সের, ‘ওদের দেখেই বোঝা গেছে ওরা অনেক বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলে এসেছে। আশা করি, এই ম্যাচে ওরা মানিয়ে নেবে।’

অবশ্য সিডন্সের প্রশংসা পাচ্ছেন প্রথম ম্যাচে খেলা তিন পেস বোলার। মুশফিক হাসান, রিপন মণ্ডল ও রেজাউর রহমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ভালো লেগেছে কোচের, ‘পেসাররা যেভাবে বল করেছে, তাতে আমি খুবই খুশি। আমি অবাক হয়েছি ওদের ভালো জায়গায় বল করার ধারাবাহিকতা দেখে। ভাগ্য খারাপ যে আমরা কয়েকটা এলবিডব্লু পাইনি। আমরা হয়তো পরের ম্যাচে আরও কয়েকজন পেসারকে দেখবে। আশা করি, ওরাও ভালো করবে।’

আরও পড়ুন

সিডন্সের করণীয় তালিকায় আছে বোলারদের ব্যাটিং–সামর্থ্য দেখার বিষয়টিও। জাতীয় দলের সঙ্গে থাকার সময় নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাজ করতেন। ‘এ’ দলেও সেটি অব্যাহত রাখতে চান তিনি, ‘একজন ব্যাটসম্যানকে ভালো ব্যাটসম্যান বানাতে অনেক সময় লাগে। একজন বোলারকে ব্যাটসম্যান বানাতে আরও অনেক বেশি সময় লাগে। আমি এখন শুরু করছি, আশা করছি দুই বছরের মাথায় এই বোলারদের সহজে আউট করা যাবে না। আমাদের শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে ১০০ রান করতে হবে। আশা করি, এটা নিয়ে এইচপি, অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ ও ১৯–এ কাজ হবে। বোলারদের ব্যাটিং করতে হবে।’