ফাইনালের আগে শ্রীলঙ্কার বড় দুঃসংবাদ

চোটে পড়ায় আগামীকাল এশিয়া কাপ ফাইনালে খেলতে পারবেন না মহিশ তিকশানাছবি : এসএলসি

আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে বড় দুঃসংবাদ পেল শ্রীলঙ্কা। চোটের কারণে কলম্বোর প্রেমাদাসায় কাল খেলতে পারবে না মহীশ তিকশানা। বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘অঘোষিত সেমিফাইনালে’ হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান এই স্পিনার। আজ এক বিবৃতিতে তাঁর না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের সেই ম্যাচ চলাকালে দেখা যায়, তিকশানা দুজনের সহযোগিতা মাঠের বাইরে যাচ্ছেন। তখনই তিকশানার ফাইনালে খেলা নিয়ে শঙ্কা জাগে। স্ক্যান রিপোর্ট হাতে আসার পর শঙ্কাটাই সত্যি হয়েছে। জানা গেছে, তিকশানা হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের মাত্রা গ্রেড-২ পর্যায়ের।

এসএলসি বিবৃতিতে লিখেছে, ‘স্ক্যানের মাধ্যমে মহীশ তিকশানার পেশিতে আঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তিকশানা হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে ফিরে আসবেন।’

এসএলসির চিকিৎসা কমিটির প্রধান অধ্যাপক অর্জুনা ডি সিলভা বলেছেন, ‘এমআরই স্ক্যানে চোট স্পষ্ট দেখা গেছে; যদিও তিকশানা ঠিক আছেন। তিনি হাঁটাচলা করতে পারছেন। খুব একটা ব্যথা নেই। অবশ্যই তিনি বিশ্বকাপের আগেই পুরোপুরি সেরে উঠবেন। সত্যি বলতে, সামনে যদি বিশ্বকাপ না থাকত, তাহলে আমরা যে করেই হোক আগামীকালের ম্যাচে তাঁকে খেলানোর চেষ্টা করতাম। তবে আমরা ঝুঁকি নিতে চাই না।’

আরও পড়ুন

তিকশানার জায়গায় ফাইনালের দলে শাহান আরাচচিগেকে ডাকা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে এসএলসি। ২৭ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডারের গত জুলাইয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষেক হয়েছে। এখন পর্যন্ত খেলা দুটি ওয়ানডেতেই ভালো করেছেন। একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েই করেছেন ফিফটি। বোলিংয়েরও সুযোগ পেয়েছেন একবার। ৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট।

তিকশানার জায়গায় দলে জায়গা পেয়েছেন শাহান আরাচচিগে
ছবি : আইসিসি

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গে না পারলেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে শ্রীলঙ্কা। ছিটকে পড়ার আগে টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট নেন তিকশানা। এ বছর ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও তিনি (১৫ ম্যাচে ৩১ উইকেট)।

২০০৮ এশিয়া কাপ ফাইনালে রহস্যময় স্পিনার অজন্তা মেন্ডিসের জাদুতে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আগামীকালের ফাইনালে আরেক রহস্যময় তিকশানার না থাকাটা তাই ভারতের জন্য আশীর্বাদস্বরূপই বলা যায়।