বোলাররা লড়াই করার মঞ্চটা গড়ে দিয়েছিলেন। দরকার ছিল ব্যাটসম্যানদের রান করা। কিন্তু আরও একবার ভেঙে পড়ল সিলেট বিভাগের ব্যাটিং। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের বোলিংয়ের সামনে সিলেট তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৬ রানে অলআউট হয়েছে, তৃতীয় দিনে ঢাকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭৩ রান, যা ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় ঢাকা। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম ৩৮ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর নবম ৫ উইকেট।
ব্যাটিং–ব্যর্থতায় বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে হারের দুয়ারে দাঁড়িয়ে রাজশাহী বিভাগও। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে আজ ২ উইকেটে ৭৫ রানে দিনের খেলা শুরু করা রাজশাহীর দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৯২ রানে। সাব্বির হোসেন সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া বরিশালের বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন আরও ৪ উইকেট। তাতে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৮ রান। আজ দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বরিশাল ১১১ রান করেছে। জয়ের জন্য আগামীকাল চতুর্থ দিন বরিশালের দরকার ৫৮ রান।
জয় থেকে ৩১ রান দূরে আছে খুলনা বিভাগ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগকে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৫ রানে অলআউট করেছে খুলনা। চট্টগ্রামের হয়ে ১৩২ বলে ৮৪ রান করেছেন শামীম হোসেন। খুলনার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩২ রান। দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে খুলনার রান ১০২, চট্টগ্রামের বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ ৪ উইকেট নিয়েছেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগ ও ঢাকা মহানগরের ম্যাচটা অবশ্য জমে উঠেছে। অনিক সরকারের ৯৯ রানের পর নবীন ইসলামের অপরাজিত শতকে রংপুর তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬৪ রান করেছে। নবীন ২১৮ বল খেলে ১৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন, ১৯টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে। রানবন্যার এই ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে মহানগরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১১ রান।
বিশাল লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে মহানগরকে দারুণ শুরু এনে দেন মোহাম্মদ নাঈম ও সাদমান ইসলাম। দুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৯ রান যোগ করেন। সাদমান ৫৪ রান করে আউট হন। তিনে নামা মাহফুজুর ইসলামও (২) টিকতে পারেননি। তবে মহানগরের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন নাঈম। দিন শেষে তিনি ৯৫ বলে ৯৬ রানে অপরাজিত আছেন, ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে। তাঁর সঙ্গে ৬ রানে খেলছেন নাঈম ইসলাম। জয়ের জন্য শেষ দিন মহানগরের দরকার ২৩৫ রান, হাতে আছে ৮ উইকেট। সব মিলিয়ে রোমাঞ্চকর শেষ দিনের অপেক্ষায় থাকবে মিরপুর।