- স্বাগত
- টসে জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান
- বাংলাদেশ একাদশে কারা
- পাকিস্তান একাদশে কারা
- মাঠ কেমন, বাউন্ডারি কেমন
- দুই কোচের নতুন শুরু
- প্রথম ওভারেই সাইমকে ফেরালেন মেহেদী
- ফখরও আউট
- মাইলফলক
- শরীফুলের খরুচে ওভার
- দুই ওভারে ৩১
- পাওয়ার প্লেতে পঞ্চাশ পার পাকিস্তানের
- সাকিব–তামিমে হারিস–শিকার!
- সালমানের ফিফটি
- হাসানের ফুল টসে ফিরলেন সালমান
- রিশাদের প্রথম উইকেট
- দুটি ভালো ওভার
- খুশদিল স্টাম্পড!
- খরুচে রিশাদ
- পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৭
- পারভেজ ফিরলেন দ্বিতীয় ওভারে
- এবার আউট তানজিদ
- পাওয়ারপ্লে কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ
- হারের ব্যবধান কমাতে খেলছে বাংলাদেশ
- রউফের ওভারে দুই ছক্কা লিটনের
- বাংলাদেশের রান ১০০ ছুঁতেই আউট লিটন
- উইকেট–উৎসবে মেতেছেন পাকিস্তানের স্পিনাররা
- আসা–যাওয়ার মিছিলে এবার রিশাদ
- ৫ উইকেটে হাসানের প্রত্যাবর্তন, পাকিস্তানের জয়
- সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
স্বাগত
বাংলাদেশ–পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি সিরিজের সরাসরি ধারাবিবরণীতে সবাইকে স্বাগত। আজ তিন টি–টোয়েন্টির প্রথমটি। বাংলাদেশ দল সর্বশেষ টি–টোয়েন্টি খেলেছে চলতি মাসেই, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে যে সিরিজটি শেষ হয়েছে ২–১ ব্যবধানের হারে। আর পাকিস্তান সর্বশেষ বিশ ওভারের ম্যাচ খেলেছে গত মার্চে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই সিরিজে পাকিস্তান হেরেছিল ৪–১ ব্যবধানে।
নিজেদের সর্বশেষ সিরিজে হেরে যাওয়া দুই দল এবার মুখোমুখি হারের যন্ত্রণা ভোলার অভিযানে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান
টসে জিতেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা। ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন তিনি। আগে ব্যাটিংয়ের কারণ হিসেবে ভালো সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
মজার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, টসে জিতলে তিনি ফিল্ডিংই নিতেন। যার অর্থ দাঁড়ায়, দুই অধিনায়কেরই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশে কারা
গত ২১ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি–টোয়েন্টির একাদশই রেখে দিয়েছে বাংলাদেশ।
তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, লিটন দাস (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান, জাকের আলী, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম।
পাকিস্তান একাদশে কারা
সম্প্রতি শেষ হওয়া পিএসএলে সবাই ভালো খেলেছেন, যে কারণে ১৬ জন থেকে ১১ বাছাই করতে কষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস, সালমান আগা (অধিনায়ক), হাসান নওয়াজ, শাদাব খান, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ।
মাঠ কেমন, বাউন্ডারি কেমন
টিভি সম্প্রচারের পিচ রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাহোরে আজ তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত কয়েক দিন ধরে উইকেটে সূর্যের আলো পড়েছে। সদ্য সমাপ্ত পিএসএলে মোট ১৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে আজকের উইকেটে ম্যাচ হয়েছে মাত্র দুটি।
বাউন্ডারির দূরত্ব উইকেটের সোজাসুজি দুই প্রান্তে ৬৩ মিটার করে। অফ সাইডেও ৬৩ মিটারই। তবে অন সাইডে ৬৯ মিটার।
পিএসএলে এ মাঠে হওয়া সর্বশেষ ৬ ম্যাচের ৪টিতেই তাড়া করে জেতা দল জিতেছে। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দলের গড় রান ১৯১।
দুই কোচের নতুন শুরু
পাকিস্তানের প্রধান কোচ হিসেবে মাইক হেসনের প্রথম ম্যাচ এটি। আবার বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে এটি শন টেইটেরও প্রথম ম্যাচ।
প্রথম ওভারেই সাইমকে ফেরালেন মেহেদী
পাকিস্তান: ১ ওভারে ৫/১।
ম্যাচের তৃতীয় বলেই উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। অফ স্পিনার মেহেদী হাসানের বলে তাঁরই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সাইম আইয়ুব (১ বলে ০)। নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হারিস। ওভারের শেষ বলে চার মেরেছেন তিনি। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ফখর জামান।
ফখরও আউট
পাকিস্তান: ২ ওভারে ৯/২।
ম্যাচের অষ্টম বলে দ্বিতীয় উইকেটও পেয়ে গেল বাংলাদেশ। শরীফুল ইসলামের ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ফখর জামান (৪ বলে ১ রান)। রিভিউ নেওয়ারও সাহস করেননি ফখর। নতুন ব্যাটসম্যান সালমান আগা।
মাইলফলক
শরীফুলের খরুচে ওভার
পাকিস্তান: ৪ ওভারে ২৮/২।
প্রথম তিন ওভারে পাকিস্তানের রান উঠেছে ২ উইকেটে ১২। তবে চতুর্থ ওভারেই সেটা এক লাফে ২৮ রানে পৌঁছেছে। শরীফুলকে প্রথম দুই বলে চার আর তৃতীয় বলে ছক্কা মেরেছেন মোহাম্মদ হারিস।
দুই ওভারে ৩১
পাকিস্তান: ৫ ওভারে ৪৩/২।
মেহেদী হাসানের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বেরিয়েছে ১৫ রান। তিনটি চার হয়েছে। সব কটিই মেরেছেন সালমান আগা। সর্বশেষ দুই ওভারে এসেছে ৩১ রান।
পাওয়ার প্লেতে পঞ্চাশ পার পাকিস্তানের
পাকিস্তান: ৬ ওভার শেষে ৫২/২।
প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১২ রান উঠলেও পরের তিন ওভারে ৪০ রান তুলে নিয়েছেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আগা। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন মেহেদী হাসান ও শরীফুল ইসলাম। তবে দুজনই দুই ওভারে ২০ রান খরচ করেছেন। উইকেট না পেলেও হাসান মাহমুদ ২ ওভারে দিয়েছেন ১১ রান।
সাকিব–তামিমে হারিস–শিকার!
পাকিস্তান: ৭ ওভারে ৫৮/৩।
হারিস থেকে মিলল মুক্তি! পাওয়ার প্লের পর প্রথম ওভারে বল হাতে নিয়েছেন তানজিম হাসান। সাকিব ডাকনামের এই বোলারের তৃতীয় বল বাউন্ডারি ওড়াতে গিয়ে লং অনে তানজিদ হাসানের (তামিম) ক্যাচ হয়েছেন হারিস। আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করে গেছেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান হাসান নওয়াজ।
সালমানের ফিফটি
পাকিস্তান: ১০ ওভার শেষে ৯৭/৩।
শুরুতে দুই ওপেনারকে হারালেও ভালোভাবেই ধাক্কা সামলে উঠেছে পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম অর্ধেকে ৯৭ রান তুলেছে স্বাগতিকেরা। নিজের প্রথম ওভারে মোহাম্মদ হারিসকে আউট করা তানজিম পরের ওভারে দিয়েছেন ১৬ রান। তাঁকে টানা তিন বলে ৬, ৪, ৪ মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা (২৯ বলে ৫২)।
হাসানের ফুল টসে ফিরলেন সালমান
পাকিস্তান: ১২ ওভারে ১১৮/৪।
অবশেষে থামল সালমান–ঝড়। ১২তম ওভারের শেষ বলে হাসান মাহমুদের ফুল টসে কাভারে তানজিদের ক্যাচ হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। সালমানকে ফিরিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশ দলে। ৩৪ বলের ইনিংসে ৮টি চার আর ১ ছক্কায় ৫৬ রান করেছেন সালমান।
নতুন ব্যাটসম্যান শাদাব খান।
রিশাদের প্রথম উইকেট
পাকিস্তান: ১৪ ওভারে ১৩৯/৫।
ঘটনাবহুল একটি ওভারই করলেন রিশাদ হোসেন। প্রথম বলে ছক্কা, পরের বলে চার। ব্যাটসম্যান হাসান নওয়াজ তৃতীয় বলও তুলে খেললেন। কিন্তু ক্যাচ নিতে পারলেন না ফিল্ডার পারভেজ হোসেন।
তবে চতুর্থ বলে রিশাদের হাতেই ক্যাচ দিলেন নওয়াজ (২২ বলে ৪৪)। নতুন ব্যাটসম্যান খুশদিল শাহ শেষ দুটি বল খেলে রান নিতে পারেননি।
দুটি ভালো ওভার
পাকিস্তান: ১৬ ওভারে ১৫০/৫।
দুই সেট ব্যাটসম্যান সালমান আগা ও হাসান নওয়াজকে ফিরিয়ে ম্যাচে দুটি ভালো ওভার কাটিয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়া এ দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর ১৫ ও ১৬তম ওভারে মাত্র ১১ রান নিতে পেরেছে পাকিস্তান।
খুশদিল স্টাম্পড!
পাকিস্তান: ১৭ ওভার শেষে ১৫৮/৬।
টানা দুই ওভারে বাউন্ডারি হয়নি। খুশদিল শাহ তাই শামীম হোসেনকে প্রথম বলেই ওড়াতে চেয়েছিলেন। বল বল মিস করে হয়ে গেলেন স্টাম্পড (১০ বলে ৫)। নতুন ব্যাটসম্যান ফাহিম আশরাফ।
খরুচে রিশাদ
পাকিস্তান: ১৮ ওভারে ১৭৭/৬।
নিজের চতুর্থ ওভারে ১৯ রান দিয়েছেন রিশাদ। সব মিলিয়ে চার ওভারে ৫৫। এটি টি–টোয়েন্টিতে তাঁর সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের একটি। এর আগে গত বছরের অক্টোবরের ভারতের বিপক্ষে দিল্লিতে ৪ ওভারে ৫৫ রানে দিয়েছিলেন। তবে সেবার ৩ উইকেট পেলেও এবার উইকেট ১টি।
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৭
পাকিস্তান ইনিংস
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৭ (ফখর ১, সাইম ০, হারিস ৩১, সালমান ৫৬, নওয়াজ ৪৪, শাদাব ৪৮, খুশদি ৫, ফাহিম ১১*, হাসান ১*; মেহেদী ১/৩৬, শরীফুল ২/৩২, হাসান ১/২৪, তানজিম /২২, রিশাদ ১/৫৫, শামীম ১/৩১)।
স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চেয়েছিল পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০১ রান করতে পেরে খুশিই থাকার কথা স্বাগতিকদের। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিএসএলের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে আগে ব্যাট করা দল গড়ে ১৯১ রান করে তুলেছিল। পাকিস্তানের রানও এর আশপাশেই আছে।
আবার এই মাঠে হওয়া পিএসএলের সর্বশেষ ৬ ম্যাচের ৪টিতেই জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। বাংলাদেশ সেটা পারে কি না কিছুক্ষণ পরই বোঝা যাবে।
ম্যাচের শুরুটা ভালো ছিল বাংলাদেশেরই। প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই মেহেদী ও শরীফুল ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও ফখর জামানকে। তবে তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হারিসকে নিয়ে ধাক্কা সামাল দেন সালমান আগা। ৪৮ রানের জুটি গড়ে হারিস ফেরার পর সালমানের সঙ্গে আরেকটি বড় জুটি গড়ে ওঠে হাসান নওয়াজ। সদ্য সমাপ্ত পিএসএলে টুর্নামেন্টসেরা হওয়া এই ব্যাটসম্যান একের পর বাউন্ডারিতে পাকিস্তানের রান দ্রুত এক শর ওপরে নিয়ে যান।
তবে দুই ওভারের মধ্যে নওয়াজ ও সালমান দুজনই ফিরলে পাকিস্তানের রানের গতি কিছুটা ধীর হয়ে পড়ে। শেষ দিকে আবার পাকিস্তানের রানের চাকা সচল করেন শাদাব খান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। তবে সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিংটা করেছেন শামীম হোসেন। খণ্ডকালীন এই স্পিনার ১ উইকেট নেওয়ার পথে ৪ ওভারে দেন ৩১ রান। অন্য সব বোলার ওভারপ্রতি ৮ বা তার বেশি রান খরচ করেছেন।
পারভেজ ফিরলেন দ্বিতীয় ওভারে
বাংলাদেশ: ২ ওভারে ১৪/১।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। হাসান আলীর বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছেন পারভেজ হোসেন। নিজের প্রথম বলে চার মেরেছিলেন পারভেজ, পরের তিন বলে ডট। পঞ্চম বলে আউট।
নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
এবার আউট তানজিদ
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ৩৭/২
বাংলাদেশের দুই ওপেনারই ডাগআউটে ফিরে গেলেন। পারভেজের পর আউট হলেন তানজিদ। হাসান আলীর ওভারে টানা দুই বলে চার মেরেছিলেন তানজিদ। মারতে চেয়েছিলেন ওভারের শেষ বলটাও। কিন্তু ফিরতে হলো বোল্ড হয়ে।
তানজিদ আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তাওহিদ হৃদয়।
পাওয়ারপ্লে কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে ৪৫/২
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান রেট তরতরিয়ে বাড়ছে। পাওয়ারপ্লের সুবিধা যে কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। তানজিদ আউট হওয়ার পর ২ ওভারে মাত্র ৮ রান যোগ করতে পেরেছেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি।
হারের ব্যবধান কমাতে খেলছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৭৫/২
আস্কিং রান রেট ১২ পেরিয়ে গেছে। অথচ বাংলাদেশ এগোচ্ছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। যেন হারের ব্যবধান কমাতে খেলছেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। শেষ ৫ ওভারে দুজন নিতে পেরেছেন ৩৫ রান।
রউফের ওভারে দুই ছক্কা লিটনের
বাংলাদেশ: ১১ ওভারে ৯২/২
কিছুটা হাত খুলে খেলতে শুরু করেছেন লিটন দাস। বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক হারিস রউফের ওভারে মেরেছেন দুই ছক্কা। ইনিংসের ১১তম ওভারে এসেছে ১৭ রান। জয়ের জন্য ৮ ওভারে দরকার আরও ১১০ রান।
বাংলাদেশের রান ১০০ ছুঁতেই আউট লিটন
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ১০০/৩
শাদাব খানের ওভারে ছক্কা মেরেছিলেন লিটন। সেই শটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০০ ছুঁয়েছিল। কিন্তু শাদাবের পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন লিটন। ভাঙল তাঁর সঙ্গে হৃদয়ের ৬৩ রানের জুটি।
উইকেট–উৎসবে মেতেছেন পাকিস্তানের স্পিনাররা
বাংলাদেশ: ১৪ ওভারে ১১৮/৫
১০০/২ থেকে ১০৮/৫–এর দলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের স্পিনাররা যেন উইকেট–উৎসবে মেতেছে। ৯ বলের মধ্যে পড়েছে ৩ উইকেট। লিটনকে শাদাব আউট করার পর খুশদিল শাহ এসেই ফিরিয়েছেন হৃদয়কে। তাতে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক আগা সালমান। তিনি নিজের দ্বিতীয় বলেই আউট করেছেন শামীম হোসেনকে।
এরপর জাকের আলী ও রিশাদ হোসেন মিলে যোগ করেছেন ১০ রান।
আসা–যাওয়ার মিছিলে এবার রিশাদ
বাংলাদেশ: ১৬ ওভারে ১২৬/৬
দুদিন আগেই এই মাঠে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পিএসএল শিরোপা জিতেছেন রিশাদ হোসেন। একই মাঠে আজ দেশের হয়ে রিশাদের দিনটা বড্ড বাজে কাটল। বল হাতে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৫৫ রান। এবার ব্যাট হাতে মাত্র ৪ রান করে ফিরলেন। শাদাবের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন তাঁরই হাতে।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ৪ ওভারে ৭৬ রান।
৫ উইকেটে হাসানের প্রত্যাবর্তন, পাকিস্তানের জয়
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৬৪ অলআউট
এই ম্যাচের আগে পাকিস্তানের জার্সিতে হাসান আলীকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল গত বছরের মে মাসে। ঠিক এক বছর পর জাতীয় দলে ফেরাটা ৫ উইকেট নিয়ে রাঙিয়ে রাখলেন হাসান। বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের পর জাকের আলী, তানজিম হাসান ও শরীফুল ইসলামকেও নিজের শিকার বানালেন। টি–টোয়েন্টিতে এটিই তাঁর ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।
প্রথম টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৩৭ রানে হারাল পাকিস্তান।
সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান
তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকেরা ৭ উইকেটে ২০১ রান করেছিল। লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে কখনোই মনে হয়নি তারা জেতার জন্য খেলছে। শেষ পর্যন্ত ৪ বল বাকি থাকতেই অলআউট হলো ১৬৪ রানে।
তানজিদ হাসানের ঝোড়ো শুরুর পর লিটন দাসের ৪৮ আর জাকের আলী ৩৬ রান শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমাল। বাংলাদেশের শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
লাহোরেই আগামী শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি। খেলা শুরু রাত ৯টায়, টস হবে রাত সাড়ে ৮টায়। সেই ম্যাচের সরাসরি ধারাবিবরণী নিয়ে আবার হাজির হবে প্রথম আলো। ততক্ষণ পর্যন্ত বিদায়!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৬৪/১০ (লিটন ৪৮, জাকের ৩৬, তানজিদ ৩১; হাসান ৫/৩০, শাদাব ২/২৬)। পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৭ (সালমান ৫৬, শাদাব ৪৮, হাসান ৪৪, শরীফুল ২/৩২, শামীম ১/৩১)। ফল: পাকিস্তান ৩৭ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শাদাব খান। সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে।