কোহলির দশম শ্রেণির নম্বরপত্র: অঙ্কে খারাপ, ইংরেজিতে ভালো, ক্রিকেটে কিংবদন্তি

বিরাট কোহলিএএফপি

গত এক সপ্তাহে ভারতে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ঘটনার একটি ছিল বিরাট কোহলির অবসর। ১২ মে টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।

এর পরদিন প্রকাশিত হয় ২০২৫ সালের দশম শ্রেণির সিবিএসই (সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এক্সামিনেশন) পরীক্ষার ফল। অংশগ্রহণকারী বিবেচনায় ভারতের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা এটি। যেটিকে শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপও বিবেচনা করা হয়।

আরও পড়ুন

কোহলির অবসর ও সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল—আলোচনায় থাকা এ দুটি বিষয়কে এবার একসঙ্গে সামনে এনেছেন আইএএস কর্মকর্তা জিতিন যাদব। কোহলির সিবিএসই পরীক্ষার মার্কশিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে জিতিন লিখেছেন, পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরই সফলতা নয়, সাফল্য আসে উদ্দীপনা ও নিষ্ঠা থেকে।

কোহলি সবচেয়ে বেশি ৮৩ নম্বর পেয়েছেন ইংরেজিতে, আর সবচেয়ে কম ৫১ নম্বর গণিতে।

জিতিনের পোস্ট করা কোহলির মার্কশিটটি ২০২৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার কোহলি অবসর নেওয়ায় তাঁর ক্যারিয়ার নিয়ে চারপাশে যে বন্দনা চলছে, তাতে পরীক্ষার নম্বরপত্রকে আবারও প্রাসঙ্গিক মনে করছেন কেউ কেউ। নম্বরপত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে, ২০০৪ সালে দিল্লির এ=২ পশ্চিম বিহারে অবস্থিত স্যাভিয়র কনভেন্ট সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণির সিবিএসই পরীক্ষা দিয়েছিলেন কোহলি।

আরও পড়ুন

কোহলি সবচেয়ে বেশি ৮৩ নম্বর পেয়েছেন ইংরেজিতে, আর সবচেয়ে কম ৫১ নম্বর গণিতে। এ ছাড়া সমাজবিজ্ঞানে ৮১, হিন্দিতে ৭৫, ইন্ট্রোডাক্টরি আইটিতে ৭৪ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৫৫ নম্বর পেয়েছেন। ইন্ট্রোডাক্টরি আইটির তত্ত্বীয় অংশে পেয়েছিলেন ১৬ নম্বর, তবে ব্যবহারিকে বেশি পাওয়ায় সব মিলিয়ে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯.৮৩ শতাংশ।

কোহলির নম্বরপত্রটি পোস্ট করে আইএএস কর্মকর্তা জিতিন লিখেছেন, ‘নম্বরই যদি সবকিছু হতো, তাহলে গোটা দেশ তাঁকে অনুসরণ করত না। (সাফল্য পাওয়ার জন্য) উদ্দীপনা আর নিষ্ঠাই আসল।’