আমি কোনো দিন বলিনি ‘শিখছি’: লিটন
বাংলাদেশ হারলেই ক্রিকেটারদের মুখে শোনা যায়, ‘আমরা এখনো শিখছি’। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে হাসিঠাট্টা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে একটা শব্দ এখন প্রায় প্রবাদে পরিণত—‘আমরা শিখছি’।
হারলেই ক্রিকেটারদের মুখে শোনা যায় এ শেখার কথা। প্রশ্ন উঠেছে বারবার—টেস্ট খেলতে শুরু করার ২৫ বছর পরও শেখা কি শেষ হলো না? এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলে হাসিঠাট্টা।
তবে আজ চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ‘শেখা’ প্রসঙ্গে ভিন্ন সুর শোনা গেল টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাসের কণ্ঠে। বললেন, ‘আমি তো কোনো দিন বলি নাই (শেখার কথা)। এটার উত্তর আমার কাছে নাই। যদি আমি বলতাম শিখছি বা নতুন কোনো ধারাবাহিকতা তৈরি করতে যেতাম, তাহলে হয়তো এই উত্তর দিতে পারতাম।’
তবে এরপর লিটন বলেছেন, ‘একেকজনের একেক ধরনের চিন্তাভাবনা থাকে (শেখার বিষয়ে)। আমার মনে হয়, বাংলাদেশ দল অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে, এখন যেসব খেলোয়াড় খেলছে—আশা করব যে তারা প্রত্যাশার প্রতিদান দেবে।’
শেখার প্রসঙ্গে ভিন্ন কথা বলার পাশাপাশি লিটন মনে করিয়ে দিলেন, টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ আসলে খারাপ করছে না। সর্বশেষ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে চারটি ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ হয়েছিল ৭ নম্বর। এর মধ্যে তিনটি জয় এসেছে দেশের বাইরে।
তবু আফসোস রয়ে গেছে। ঘরের মাঠে আরও দুটি ম্যাচ জিততে পারলে অবস্থানটা আরও ভালো হতে পারত। লিটনের কণ্ঠেও শোনা গেল সেই আক্ষেপ, ‘বাংলাদেশের জন্য ৩-৪–এ থাকা টেস্টে বিশাল অর্জন। সব সময় চ্যাম্পিয়নের চিন্তা করলে হবে না। আমাদের ওই জিনিসটা কখনো ছিল না, আমরা তো কখনো ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলোকে নিয়মিত হারাতে পারিনি। তারপরও আপনি যখন এভাবে ৩-৪–এ থাকেন, মানে বড় কিছুই করেছেন।’
লিটনের অধিনায়কত্বে টি-টোয়েন্টিতে দারুণ সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে-বিদেশে টানা চারটি সিরিজ জিতেছে দল। তবে ওয়ানডেতে চিত্রটা উল্টো—টানা চার সিরিজ হারের পর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অবশেষে জয় পেয়েছে তারা।
এ প্রসঙ্গেও বাস্তববাদী লিটন, ‘টি-টোয়েন্টিটা দিন দিন ভালো হচ্ছে আমাদের। যদিও আমাদের অতীত খুব একটা ভালো ছিল না এই সংস্করণে। সেখান থেকে মোটামুটি অনেকখানি এগোনোর চেষ্টা করছি। ওয়ানডেতে আমাদের অতীত ভালো ছিল, ওখান থেকে দিন দিন আরও এগোনো উচিত ছিল। আমরা সবাই মিলে এটা নিয়ে চিন্তা করছি। কীভাবে (পরিস্থিতি) ওভারকাম করা যায়, এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’