শিরোপার নেশায় পেয়েছে ওকসকে

ইংল্যান্ডের প্রথম দল হিসেবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী দলের সদস্য ওকস জিততে চান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাওএএফপি

ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা, হয়তো সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তেরই স্মারক সেটি। অথচ ক্রিস ওকসের কাছে যেন সেটি ঘরের আর দশটা জিনিসের মতোই। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের মেডেলটি নিজের বাড়িতে ঝুলিয়ে রেখেছেন কম্পিউটারের পাশে। ইংল্যান্ডের প্রথম দল হিসেবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী দলের সদস্য ওকস জিততে চান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপাও। তাঁর কাছে, শিরোপা জয় আসলে নেশার মতো!

লম্বা বিরতির পর পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন বোলিং অলরাউন্ডার ওকস। গত মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। গত জুলাইয়ে অস্ত্রোপচার হয় হাঁটুতে। ওকস জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাথায় রেখেই ওই সময়ে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি।

ডেইলি মেইলকে নিজের চোট নিয়ে ওকস বলেছেন, ‘যে ধরনের ক্রিকেটই খেলি না কেন, ফিরে আসার প্রেরণা সব সময়ই ছিল। তবে বিশ্বকাপের যে প্রাপ্তির সম্ভাবনা, সেটি তো আসলে অনেক বড়। বিশ্বকাপই আসলে আমার ডেডলাইন ঠিক করে দিয়েছে। হয় তখনোই অস্ত্রোপচার করাতে হবে অথবা কখনো নয়, ব্যাপারটি এমন ছিল।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন ওকস
এএফপি

চোটের কারণে ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটের স্মরণীয় এক মৌসুমের পুরোটাই মিস করা ওকস হাতছাড়া করতে চান না বিশ্বকাপ জেতার আরেকটি সুযোগ। বিশ্বকাপ ফাইনালের ওই মেডেলটি যে তাঁকে অনুপ্রেরণা জোগায়, সেটিও স্পষ্ট ওকসের কথাতে, ‘আমি মাঝেমধ্যেই গিয়ে সেটি দেখে আসি। খুব বেশি মানুষের তো এই মেডেল নেই! আর আপনি যদি ইংলিশ হন, তাহলে তো কথাই নেই। আরেকবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরার ভাবনাটি কেমন নেশার মতো মনে হয় আমার কাছে।’

বয়স ৩৩ পেরিয়ে গেছে, তবে এখনো সব সংস্করণেই নিজেকে দেখতে চান ওকস, ‘আমি এখনো টেস্ট ক্রিকেট খেলতে মরিয়া। কখনো ভাবি না যে আমার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ। আর আমার ও স্টোকসের অবস্থানও এক নয়। সে বিশ্বমানের খেলোয়াড়, টেস্ট অধিনায়ক। ফিট থাকলে ইংল্যান্ড অবশ্যই তাকে খেলাতে চাইবে, প্রথম একাদশে জায়গাও পাবে। আমি টেস্ট দলে প্রথম নাম নই, বিশেষ করে দেশের বাইরে। ফলে আরও সময় পাব যতটা সম্ভব খেলে যেতে। অবশ্য যত দিন আমার শরীরে কুলোয় আরকি।’

২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর পরিবারের সঙ্গে ক্রিস ওকস
রয়টার্স

পাকিস্তানের বিপক্ষে সাত ম্যাচ সিরিজের দুটিতে খেলেছেন ওকস। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের প্রথম পছন্দের একাদশে জায়গা করে নেওয়ার দাবিটা আরও জোরালো করেছেন তিনি। সাদা বলে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সুখস্মৃতিই আছে। ওয়ানডেতে নিজের সেরা ৪৬ রানে ৬ উইকেটের বোলিং ফিগার তিনি গড়েছিলেন সেখানেই, ২০১১ সালে, ব্রিসবেনে।

২২ অক্টোবর পার্থে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করবে ইংল্যান্ড। গতবার নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে হেরেছিল দলটি।