‘পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ শুধু আফগানিস্তান নয়, চেন্নাইয়ের দর্শক–মাঠকর্মীও’
ওয়ানডেতে আফগানিস্তান কখনো পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি। দুই দলের ৭ দেখায় প্রতিবারই জিতেছে পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্বকাপে আজ বাবর আজমরা যখন হাসমতউল্লাহ শহীদিদের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষায়, তখনকার ম্যাচ–পূর্ব আবহে একপেশে ভাব নেই। আফগানিস্তানও জিততে পারে, এমনকি ফেবারিটও হতে পারে, আলোচনা আছে পাকিস্তানের সাবেকদের মধ্যেই।
তবে শোয়েব আখতারের মতে, পাকিস্তানের এই ম্যাচ আফগানিস্তান ছাড়িয়েও বড় কিছু। প্রতিপক্ষ শুধু হাসমতউল্লাহরা নন, চেন্নাইয়ের দর্শক আর মাঠকর্মীরাও।
এবারের আসরে পাকিস্তান, আফগানিস্তান দুই দলই চারটি করে ম্যাচ খেলেছে। পাকিস্তান নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর শেষ দুই ম্যাচে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেছে। আর আফগানিস্তান হেরেছে চার ম্যাচের তিনটিতেই, জিতেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দুই প্রতিবেশী দেশের লড়াইটা আজ চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে, যে মাঠ ভারতের স্পিনবান্ধব উইকেটগুলোর অন্যতম।
সেমিফাইনালের সম্ভাবনা ভালোভাবে টিকিয়ে রাখতে পাকিস্তানের আজ জয় দরকার।
ম্যাচটি ঘিরে এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শোয়েব। সাবেক এই ক্রিকেটার ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এটা শুধু পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ নয়—এটি পাকিস্তান বনাম দর্শক, এটি পাকিস্তান বনাম মাঠকর্মী। আমাদের জন্য কঠিন ম্যাচ। আফগানিস্তান কঠিন দল। তারা ছোট বা পিষ্ট করার দল নয়।’
ক্যাপশনেই স্পষ্ট, আফগানিস্তান ম্যাচের গ্যালারিকে বাবররা নিজেদের পক্ষে পাবেন না বলে মনে করেন শোয়েব। ভিসা–জটিলতার কারণে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে পাকিস্তান থেকে যাওয়া কোনো সমর্থককেই গ্যালারিতে পায়নি পাকিস্তান। পরে অল্প কয়েকজন যেতে পারলেও গ্যালারিতে তাঁদের নানাভাবে হেনস্তা করার খবর এসেছে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আর ভারতের মাটিতে পাকিস্তানের তুলনায় আফগানিস্তানের সমর্থক বেশি, যা আজ চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দেখা যেতে পারে।
আর মাঠকর্মীরা পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠার কারণ, তাঁরাই উইকেট বানানো ও পরিচর্যার কাজ করেন। আফগানিস্তান স্পিন–নির্ভর দল। দিল্লিতে ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে হারানোর পথে ৮ উইকেটই তুলে নিয়েছিলেন মুজিব উর রেহমান, রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবিরা। এখন চেন্নাইয়ে স্পিন–বান্ধব উইকেটে এই স্পিন–ত্রয়ী আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন, যার অন্যতম সহায়ক হিসেবে থাকছে মাঠকর্মীদের ভূমিকা।
৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে এ বিষয়ে দর্শক ও মাঠকর্মীদের পাশাপাশি আফগানিস্তান নিয়েও কথা বলেন শোয়েব, ‘আফগানিস্তান কোনোভাবেই ছোট দল নয়। ওদের সহজেই টপকে যাওয়া যাবে না। ওরা এমন দল নয়, (যাদের জয়কে) অঘটন বলা যাবে। এই দল পাকিস্তানেরই সমান। তাদের সব ধরনের স্পিনার আছে। পাকিস্তানকে এ নিয়ে সমস্যায় ফেলতে পারে।’
ম্যাচটি পাকিস্তানের চেয়ে আফগানিস্তানের বেশি অনুকূলে বোঝাতে গিয়ে শোয়েব বলেন, ‘অনেকগুলো বিষয় আফগানিস্তানের পক্ষে। যেমন দর্শক সমর্থন ওদের দিকে থাকবে। মাঠও ওদের সহায়তা করবে। পিচও ভালো। আমার মনে হয়, উইকেট হবে স্পিন–বান্ধব। বোলিং দিনে করুক বা রাতের আলোয় করুক, ওদের স্পিনারদের অনুকূলে থাকবে।’