‘আঘাত পাওয়া মহিষকে হালকা করে দেখো না,’ ইংল্যান্ডকে নিয়ে ডাচ কোচ

অনুশীলনে বেন স্টোকসএএফপি

বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় নিচের দিকে তাকালে অদ্ভুত লাগতে পারে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ৭ ম্যাচে ১ জয় ও ৬ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে। নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের মতো দল তাদের চেয়ে ওপরে। তাই বলে ডাচরা কি ইংল্যান্ডকে খাটো চোখে দেখতে পারে? কখনোই না। নেদারল্যান্ডসের সহকারী কোচ রায়ান ফন নিকার্ক সে পথেই হাঁটলেন না। আগামীকাল ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আগে নিকার্ক মনে করিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্রচলিত কথা—‘আঘাত পাওয়া মহিষকে কখনো হালকা করে দেখো না।’

জাতিতে দক্ষিণ আফ্রিকান নিকার্ক ইংল্যান্ড কতটা ভয়ংকর দল—তা বোঝাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবাদটি টেনেছেন সংবাদ সম্মেলনে। ইংল্যান্ডের সেরা পারফরম্যান্সের মুখোমুখি হতে হবে এমন প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছে নেদারল্যান্ডস দল। পুনেতে আগামীকাল দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে ডাচদের পক্ষ থেকে এসেছিলেন নিকার্ক। বিশ্বকাপে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস।

আরও পড়ুন

প্রচণ্ড বাজে ফর্মের মধ্য দিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড দল নেদারল্যান্ডসের সমান ম্যাচও জিততে পারেনি। কিন্তু নিকার্ক সমীহই করছেন জস বাটলারদের দলকে, ‘ইংল্যান্ড বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আমি মনে করি, যেটা করার দরকার, তারা সেটাই করবে। যতটা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার ততটা প্রস্তুতিই নেবে ইংল্যান্ড।’

নিকার্ক এরপর বুঝিয়ে বলেন, ‘আমি যেখানে থেকে এসেছি, দক্ষিণ আফ্রিকা—সেখানে লোকমুখে প্রচলিত একটি কথা হলো, আঘাত পাওয়া মহিষকে কখনো হালকা চোখে দেখো না। আর আমাদের জায়গা থেকে ইংল্যান্ড বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। তারা কেমন খেলছে সেটি অপ্রাসঙ্গিক। কারণ, তারা যেকোনো সময় অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করতে পারে। আমরা এমন কিছুর মুখোমুখি হওয়ারই প্রস্তুতি নিচ্ছি—সম্ভাব্য সেরা ইংল্যান্ড।’

অনুশীলনে ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস
এএফপি

ইংল্যান্ড যেহেতু টানা চার ম্যাচ হেরেছে আর বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়েও নেই, তাই বাটলার-জনি বেয়ারস্টোরা তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারবেন বলেই মনে করছেন অনেকে। কিন্তু নিকার্ক ঠিক উল্টোটা মনে করেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রচলিত প্রবাদটি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আঘাত পাওয়া মহিষ যেমন মরিয়া থাকে পাল্টা আক্রমণ করতে, ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়েরাও এর অন্যথা করবে না বলে মনে করেন নিকার্ক।

নেদারল্যান্ডসের সামনে সেমিফাইনালে ওঠার দুয়ার বন্ধ। তবে অন্য একটি সুযোগ আছে। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ ৮ দলের মধ্যে থাকতে পারলে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ মিলবে। এই প্রসঙ্গে নিকার্ক বলেছেন, ‘টুর্নামেন্ট (বিশ্বকাপ) শুরুর সময় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কথা কেউ ভাবেনি। গত দুই বছরে আমাদের দলটা বেশ বেড়ে উঠেছে। আমাদের কাছে সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হোক চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কিংবা সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই।’

আরও পড়ুন

ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ফিল্ডিং কোচ কার্ল হপকিন্স। তিনি জানিয়েছেন, মাত্র এক ম্যাচ জিতলেও তাঁদের দল ঘুরে দাঁড়াতে চায়, ‘সত্যি বলতে ইংল্যান্ডের হয়ে খেললে অগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বলে কিছু নেই। খেলোয়াড়েরা জিততে মুখিয়ে আছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে হাতে থাকা দুই ম্যাচই জেতা প্রয়োজন।’
৭ ম্যাচে ২ জয় ও ৫ হারে মোট ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৯–এ নেদারল্যান্ডস। ইংল্যান্ড ১০ম দল।