বৃষ্টি থামিয়ে দিল ব্রাদার্সকে, জিতেছে ধানমন্ডি–গাজী গ্রুপ
বৃষ্টিতে থেমে গেল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ–ব্রাদার্স ইউনিয়নের রোমাঞ্চকর সমাপ্তির ম্যাচ। বৃষ্টি আইনে জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ। দিনের অন্য দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে ধানমন্ডি ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
জমে ওঠা ম্যাচে বৃষ্টিতে জয় লিজেন্ডসের
ব্রাদার্স ইউনিয়নের দরকার ৮ বলে ১৮ রান। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের দরকার ১ উইকেট। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এমন রোমাঞ্চকর সমাপ্তির দিকে গড়ানো ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত শেষই হতে পারল না। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আকাশে মেঘের ঘনঘটা আগে থেকেই। ঝোড়ো হাওয়ায় তড়িঘড়ি মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই দলকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির বেরসিক বৃষ্টি। ম্যাচ শেষ সেখানেই।
বৃষ্টি রোমাঞ্চ থেমে যাওয়া ম্যাচটিতে ডিএলএস পদ্ধতিতে ১০ রানের জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ। ১০ ম্যাচে ৬ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগ খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। দুই জয় পাওয়া ব্রাদার্স এখনো আছে অবনমন অঞ্চলে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করে রূপগঞ্জ। দলটির পক্ষে ৭৯ বলে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন সৌম্য সরকার। ৫৫ বলে ৫৯ রান আসে মাহমুদুল হাসানের ব্যাট থেকে। ব্রাদার্সের ইয়াসির আরাফাত নেন তিন উইকেট।
রান তাড়ায় নেমে ব্রাদার্সের শুরুটা ভালো না হলেও শেষ দিকে মাইশুকুর রহমান ও সুমন খান লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মাইশুকুর ৩২ বলে ৪৬ রান করে আউট হওয়ার পর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন সুমন। খেলা বন্ধ হওয়া ৪৯তম ওভারের প্রথম দুটি বলেও তানজিম হাসানকে চার মারেন তিনি। ২৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকা সুমনের জন্য তাই বৃষ্টিটা বাড়তি আফসোসই হয়ে এসেছে। এর আগেই অবশ্য ব্রাদার্সের শরিফুল ইসলাম ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ছয় উইকেট।
সুপার লিগের আশা বাঁচিয়ে রাখল ধানমন্ডি ক্লাব
নাসির হোসেনের ফেরার ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্স জয় পেয়েছিল। ওই ম্যাচে ভালো করতে না পারলেও আজ রান পেয়েছেন, তবে হেরে গেছে তার দল। রূপগঞ্জকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সুপার লিগের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ধানমন্ডি ক্লাব।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা রূপগঞ্জের হয়ে ফিফটি করেন দেড় বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আগের ম্যাচেই ফেরা নাসির। ৮৪ বলে ৭৭ রান করে ফজলে মাহমুদের বলে আউট হন তিনি। এ ছাড়া ২৮ বলে ৪৮ রান করেন আরিফুল হক।
রান তাড়ায় ধানমন্ডিকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক নুরুল হাসান। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে অবশ্য তিনি আউট হয়ে যান। ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৯৫ বলে ৯৭ রান করেন নুরুল। অধিনায়কের বিদায়ের পর দলকে জয়ের বাকি পথটুকু টেনে নেন ইয়াসির আলি—৪০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন তিনি।
১০ ম্যাচে চার জয়ে পয়েন্ট টেবিলের আটে থাকলেও এখনো সুপার লিগের দৌড়ে টিকে আছে ধানমন্ডি। ১০ ম্যাচে দুই জয় নিয়ে তাদের ঠিক পরেই আছে রূপগঞ্জ।
গাজী গ্রুপের বড় জয়
আগের ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সের কাছে হেরে যাওয়া গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স আবারও ছন্দে ফিরেছে। বিকেএসপিতে আজ তারা ১৭০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ৩০২ রানের বড় সংগ্রহ পায় গাজী গ্রুপ। পরে ওই রান তাড়ায় নেমে ৩১.৫ ওভারে ১৩২ রানে অলআউট হয় পারটেক্স।
গাজী গ্রুপের হয়ে তিন নম্বরে খেলতে নেমে ৯০ বলে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চাশতম সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা এনামুল। এ ছাড়া ৬৫ বলে ৬৪ রান আসে সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে। শামীম মিয়া করেন ৫৩ বলে ৫৩ রান।
রান তাড়ায় নেমে পারটেক্সের ওপেনার আদিল ৮৫ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই সুবিধা করতে পারেননি। গাজী গ্রুপের শামীম মিয়া, ওয়াসি সিদ্দিকী ও তোফায়েল আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন।