জয়সোয়ালের সেঞ্চুরি, নতুন উচ্চতায় কোহলি, সিরিজ ভারতের
ওটনিল বার্টমানের বলে ছক্কা মারলেন বিরাট কোহলি। ফিফটি! গ্যালারি উচ্ছ্বাস বেড়ে গেল বহুগুণ। মনে মনে হয়তো একটা আফসোসও থাকল দর্শকদের—দক্ষিণ আফ্রিকা আর ক’টা রান বেশি করলে কী হতো!
আফসোসটা আসলে কোহলির জন্যই। আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা যে নিজের হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি করার সুযোগ পেলেন না। ২৭১ রান তাড়া করতে নামা ভারতের হয়ে তিনি যখন ব্যাটিংয়ে আসেন, ততক্ষণে উদ্বোধনী জুটিতে ১৫৫ রান করে ফেলেছেন রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সোয়াল।
বিশাখাপট্টনম তিন নম্বরে নামা কোহলি ৪৫ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি না করতে পারলেও একটা রেকর্ড ঠিকই নতুন করে লিখেছেন। তিন ম্যাচের সিরিজে এত দিন তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ২৮৩, দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছিলেন তা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি করেছেন ৩০২ রান।
৭৫ রান করে কেশব মহারাজের বলে রোহিত ক্যাচ তুলে দিয়ে যাওয়ার পর আর কোনো উইকেটই হারায়নি ভারত। কোহলির সঙ্গে মিলে ৮৪ বলে ১১৬ রানের জুটিতে ভারতকে ৩৯.৫ ওভারে ৯ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন জয়সোয়াল। তিন ম্যাচের সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে সিরিজটাও জিতে নিয়েছে ভারত।
দলকে জেতানোর পথে জয়সোয়াল তিনি পেয়ে গেছেন ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিও। রান তাড়ার শুরুর দিকে কিছুটা ধীরস্থিরই ছিলেন এই ভারতীয় ওপেনার, প্রথম পঞ্চাশ রান করতে তাই লেগে গিয়েছিল ৭৫ বল। পরের ৩৬ বলেই সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা জয়সোয়াল।
প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয়টিতে রেকর্ড রান তাড়ায় জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা আজ ব্যাট হাতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি। ৮৯ বলে কুইন্টন ডি ককের ১০৬ রানের ইনিংসের পরও তারা ৪৭.৫ ওভারে ২৭০ রান করে অলআউট। ডি কক ছাড়া আর কেউ ফিফটিও করতে পারেননি। ভারতের হয়ে ৪ উইকেট নেন পেসার প্রসিধ কৃষ্ণা।