চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও হাইব্রিড মডেলে খেলা হচ্ছে দুবাইয়েও। টুর্নামেন্টের বাকি সাত দল যখন এক শহর থেকে আরেক শহরে ভ্রমণ করছে, ভারত তখন বেশ আরামেই আছে। রোহিত–কোহলিদের ম্যাচগুলোই যে শুধু দুবাইয়ে হচ্ছে!
এক ভেন্যুতে সব ম্যাচ হওয়ায় ভারতীয় দলকে ভ্রমণ ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে না। এ কারণে সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিয়েছে, পিচ সম্পর্কেও স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে গেছে। এটা ভারতকে বিশাল সুবিধা দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্যাট কামিন্স।
অ্যাঙ্কেলের চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কামিন্স। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টিভেন স্মিথ। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রেকর্ড লক্ষ্য তাড়া করে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টির কারণে আজ অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।
সম্প্রতি কন্যাসন্তানের বাবা হওয়া কামিন্স পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ওপর নজর ঠিকই রাখছেন। তাঁর মনে হচ্ছে, ভারত এই টুর্নামেন্ট থেকে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে।
ইয়াহু অস্ট্রেলিয়াকে ৩১ বছর বয়সী তারকা বলেছেন, ‘টুর্নামেন্ট এগিয়ে যাচ্ছে, এটা ভালো ব্যাপার। কিন্তু ভারত একই মাঠে সব ম্যাচ খেলায় স্পষ্টতই বিশাল সুবিধা পাচ্ছে। তারা এমনিতেই খুব শক্তিশালী দল, তার ওপর এক ভেন্যুতেই সব ম্যাচ খেলে বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে।’
রাজনৈতিক বৈরিতায় পাকিস্তানে দল পাঠায়নি ভারত সরকার। এদিকে পাকিস্তান সরকারও যেকোনো মূল্যে নিজেদের দেশে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত সমাধান হয়ে আসে হাইব্রিড মডেল। এই মডেল অনুযায়ী ভারত নিজেদের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে খেলছে, বাকিরা পাকিস্তানে। একই গ্রুপে পড়ায় স্বাগতিক পাকিস্তানকেও দুবাইয়ে গিয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সবার আগে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে ভারত। রোববার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে রোহিতের দল। সেই ম্যাচের জয়ী দল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।
তবে ফল যা–ই হোক, সেমিফাইনালেও ভারতের প্রতিপক্ষকে দুবাইয়ে যেতে হবে। এমনকি রোহিত–কোহলিরা ফাইনালে উঠলেও লাহোরের পরিবর্তে দুবাইয়ে খেলা হবে। নিজেদের মতো করে সূচি করায় ভারত যে আক্ষরিক অর্থেই সুবিধা পাচ্ছে, কামিন্সের এমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
চোটের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে কামিন্স বলেছেন, ‘বাড়িতে দারুণ সময় কাটছে, সবকিছু ঠিকঠাক চলছে এবং পুনর্বাসনে অ্যাঙ্কেলের পরিচর্যাও ভালোভাবে চলছে। এ সপ্তাতেই আমি দৌড়ানো এবং বোলিং শুরু করব।’
আইপিএল দিয়ে ফেরার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন কামিন্স, ‘আগামী মাসে আইপিএল আছে, এরপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। সামনে অনেক কিছু অপেক্ষা করছে।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় কামিন্সের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ১ লাখ ৩০ হাজার ভারতীয় সমর্থককে স্তব্ধ করে দিতে চান। কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া বিপুলসংখ্যক দর্শককে স্তব্ধ করে দিয়েছে তো বটেই, ভারতের কোটি কোটি মানুষকে কাঁদিয়েছেও।