দুবাই-শারজায় এশিয়া কাপ, তবু ‘আয়োজক’ শ্রীলঙ্কা পাচ্ছে প্রায় ৬১ কোটি টাকা

সংবাদ সম্মেলনে এসএলসির দুই কর্মকর্তা অ্যাশলে ডি সিলভা (বাঁয়ে) ও মোহন ডি সিলভাছবি: টুইটার

এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা। দেশে চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনে অপারগতা প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। টুর্নামেন্টটি শ্রীলঙ্কা থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়া হয়েছে।

তবে ২৭ আগস্ট শুরু এশিয়া কাপের আয়োজকস্বত্ব এসএলসিরই আছে। এতে এশিয়া কাপ নিজেদের মাটিতে আয়োজন না করেও আয়োজক হওয়ার কারণে বেশ মোটা অঙ্কের অর্থই পাবে এসএলসি। ইএসপিএনসক্রিকইনফো জানিয়েছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছ থেকে আনুমানিক ৬৫ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬১ কোটি ৭০ লাখ টাকা) পাবে তারা।

এসএলসির সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কার মাটিতে আয়োজন করতে না পারার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে কাল বলেছেন, ‘এই মানের টুর্নামেন্টে শুধু সদস্যদেশগুলোই নয়, অন্যান্য অংশীদার যেমন সম্প্রচারক সংস্থা, স্পনসরদেরও প্রয়োজন হয়। কিন্তু জ্বালানি ও অন্যান্য সংকট মিলিয়ে (আয়োজনে) নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াই বেশি দেখা গেছে। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতিকে (টুর্নামেন্ট আয়োজনে) সহায়ক মনে করছেন না অংশীদাররা।’

সর্বশেষ এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত
ছবি: টুইটার

ভয়াবহ আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট চলছে শ্রীলঙ্কায়। জ্বালানি তেলের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। আগস্টে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় তা পিছিয়ে নভেম্বরে নেওয়া হয়েছে। তবে এই দুঃসময়েও অন্তত টাকাপয়সার দিক থেকে সুখবর পেয়েছে এসএলসি।

বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাশলি ডি সিলভা বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন। এশিয়া কাপের টিকিট বিক্রি করে যে রাজস্ব আসবে, আরব আমিরাত তা টুর্নামেন্ট আয়োজনে খরচ করবে। শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ আয়োজন করলে ‘আয়োজক ফি’ হিসেবে তারা ২৫ লাখ ডলার পেত।

টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যয় সেখান থেকে মেটাত এসএলসি। টিকিট বিক্রির টাকাটা লভ্যাংশ হিসেবে যোগ হতো। কিন্তু এশিয়া কাপ নিজেদের মাটিতে আয়োজন করতে না পারলেও টিকিট বিক্রির একটা অংশ আয়োজক ফি হিসেবে পাবে এসএলসি।

সংবাদমাধ্যমকে অ্যাশলি ডি সিলভা ব্যাখ্যা করলেন, ‘সাধারণত সম্প্রচার ও মাঠের স্বত্ব থেকে যে টাকা ওঠে, তা এসিসি নেয়। টুর্নামেন্ট শেষে তা সদস্য দেশ এবং (এশিয়া কাপে) অংশ নেওয়া দেশগুলোর মধ্যে তা ভাগ করে দেওয়া হয়। টুর্নামেন্টে কত লাভ হয়েছে, অঙ্কটা তার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, ২০ থেকে ৩০ লাখ (ডলার)। এর বাইরে বাকি তহবিল থেকে একটা অংশ আয়োজককে দেওয়া হয়। এটাই আয়োজক ফি।’

ডি সিলভা যোগ করেন, ‘এখন আরব আমিরাত শুধু টিকিট বিক্রির টাকা পাবে। টুর্নামেন্ট আয়োজনে তারা এ টাকা খরচ করবে। আমরা তবু আয়োজক ফি পাব। এর বাইরে টিকিট বিক্রি থেকে আরও ১৫ লাখ ডলার দিতে চেয়েছে আরব আমিরাত।’
এসএলসি সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা অঙ্কটা কত হতে পারে, সে বিষয়ে এসএলসি ধারণা দিয়েছে, ‘আয়োজক ফি হিসেবে আমরা ২৫ লাখ ডলার পাব। টিকিট বিক্রি থেকে পাব ১৫ লাখ ডলার। আর অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতিটি দলের মতো আমরাও ২০ লাখ ডলার পাব।’