বিপিএলের টাকার ভাগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও

বিপিএল ট্রফিপ্রথম আলো

শুধু দিয়েই গেলাম, কিছু তো পেলাম না! ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা যেমন বিপিএলের সব আসরেই এমন দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন, একইভাবে তাঁদের বিরুদ্ধেও অনেক রকম বকেয়ার অভিযোগ থাকে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের। তবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল মনে করছে, আসন্ন দ্বাদশ আসরে অন্তত ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দীর্ঘশ্বাস ফেলার কোনো সুযোগ থাকবে না।

আজ বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান সেরকমই জানালেন। গভর্নিং কাউন্সিলের এক সভার পর প্রথম আলোকে তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘এই প্রথম বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আমরা লভ্যাংশ দেব। টুর্নামেন্টের গ্রাউন্ড রাইটস, টিকিট ও মিডিয়া রাইটস বিক্রির আয় থেকে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ সব ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।’

সভায় পাঁচ বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ফিও নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ২ কোটি টাকা, পরের বছর থেকে প্রতি আসরে সেটি বাড়বে মোটের ওপর ১৫ শতাংশ করে। এভাবে একেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ৫ বছরে ফি বাবদ দিতে হবে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকার মতো।

ইফতেখার রহমান জানিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার আবেদন করার সময়ই প্রথম মৌসুমের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ ২ কোটি টাকা জমা দিতে হবে বিপিএলের অ্যাকাউন্টে। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান ফ্র্যাঞ্চাইজি না পেলে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আবেদন করে ফ্র্যাঞ্চাইজি পেয়ে যাওয়ার পর যেন কেউ টাকা নিয়ে টালবাহানা না করতে পারে, সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গভর্নিং কাউন্সিল।

আরও পড়ুন

এ ছাড়া ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দিতে হবে ১০ কোটি টাকা। প্রতি আসরে এই টাকা দিতে হবে ৬ মাসের জন্য। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড়দের ঠিকভাবে পারিশ্রমিক না দিলে ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা থেকে বিসিবি তা শোধ করবে বলে জানিয়েছেন গভর্নিং কাউন্সিল সচিব।

এবারের বিপিএল শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ১৯ ডিসেম্বর, ফাইনাল হতে পারে ১৬ জানুয়ারি। নতুন–পুরোনো মিলিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে হবে এবারের আসর।

আরও পড়ুন