বাংলাদেশের কাছে হেরে বাংলাদেশকেই ছুঁয়েছে পাকিস্তান
আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। ম্যাচটিতে যারা হারবে, তারা আবার এককভাবে বিব্রতকর পরিসংখ্যানের শীর্ষে উঠে যাবে।
যাক, বাংলাদেশ তাহলে আবার সঙ্গী পেল! যে দলকে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে, সেই পাকিস্তান দল এখন বাংলাদেশ সফর করছে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। তিন ম্যাচের সিরিজে লিটন দাসের দল এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। এই ম্যাচ হেরেই বাংলাদেশকে ছুঁয়েছে পাকিস্তান।
কীসে? ২০২৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারার বিব্রতকর রেকর্ডে। গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ ২০২৫ সালের ২১ জুলাই পর্যন্ত তিন সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশিবার পরাজিত হয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান, ৩৭টি করে। তবে পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। তাই শতকরা পরাজয়ের হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থাই বাজে।
এই সময়ে বাংলাদেশ হেরেছে নিজেদের ৫৯.৬৭% ম্যাচ, পাকিস্তান হেরেছে ৫৮.৭৩% ম্যাচ। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ফেরার পর নিজেদের মাঠে পাকিস্তানে বিপক্ষে সিরিজে এগিয়ে গেলেও এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, গত দেড় বছর লিটন, মিরাজ, নাজমুল, মুশফিক, মোস্তাফিজ, তাসকিনরা আন্তর্জাতিক আঙিনায় কতটা বাজে সময় পার করেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি হার
* ২০২৪ সাল থেকে
দুঃসময় পিছু না ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজও যেন পাল্লা দিয়ে হারছে। নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হওয়ার পর আজ পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতেও হেরেছে ক্যারিবীয়রা। তাতে ২০২৪ সাল থেকে দলটির হারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬টি।
২০২৪ সাল থেকে এ মাসের শুরু পর্যন্ত পাকিস্তানের হারের সংখ্যাই ছিল সবচেয়ে বেশি, ৩৬টি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে গত ৮ জুলাই শেষ ওয়ানডেতে হেরে পাকিস্তানের সমান ৩৬টি হার হয় বাংলাদেশের। একই ভেন্যুতে ১০ জুলাই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে পাকিস্তানকে টপকেও যায়। তবে মিরপুরে কাল ৭ উইকেটে হেরে আবার বাংলাদেশকে স্পর্শ করে পাকিস্তান।
এই সময়ে পাকিস্তান একটি ম্যাচ টাইও করেছে, গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। দুই দলের স্কোর সমান হওয়ার পর সুপারে ওভারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। তবে মূল ম্যাচের ফলটাই যেহেতু মুখ্য, তাই সেটিকে হার হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।
১ জানুয়ারি ২০২৪ থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারা শীর্ষ ১০ দলের মধ্যে শতকরা পরাজয়ের হিসাবে সবচেয়ে বাজে অবস্থা জিম্বাবুয়ের। দলটি এই সময়ে ৫১ ম্যাচের মধ্যে ৩১টিতে হেরেছে, যা মোট ম্যাচের ৬০.৭৮%।
এই সময়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানরা ৬৬ ম্যাচ খেলে হেরেছে ২৫টিতে। এই তালিকার শীর্ষ দশে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকাও আছে। প্রোটিয়ারা ৫৪ ম্যাচের মধ্যে ২৪ বার পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। ম্যাচটিতে যারা হারবে, তারা আবার এককভাবে বিব্রতকর পরিসংখ্যানের শীর্ষে উঠে যাবে।