‘ভারতে সাফল্য পেতে হেইডেনকে নকল করো’

২০০১ সালের ভারত সফরে ১০৯.৮০ গড়ে ৫৪৯ রান করেছিলেন হেইডেনফাইল ছবি

গত গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন ট্রাভিস হেড। সেই অ্যাশেজে ৪টি ম্যাচ খেলে দুটি শতক ও একটি অর্ধশতকসহ ৫৯.৫০ গড়ে সিরিজে সর্বোচ্চ ৩৫৭ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান। কিন্তু এরপর উপমহাদেশে দুটি সিরিজে তেমন কিছুই করতে পারেননি হেড। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই দুই সিরিজে পাঁচ টেস্টে ১৫.১৭ গড়ে করেছেন ৯১ রান। সর্বোচ্চ রান ২৬।

আগামী বছর ভারত সফরে যাবে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে টেস্ট সিরিজ নিয়েই বেশি দুশ্চিন্তা দলটির। ২০০৪ সাল থেকে ভারতে যে মাত্র একটি টেস্ট জিতেছে তারা। ভারত সফরের আগে অ্যালান বোর্ডার তাই ট্রাভিস হেডকে উপমহাদেশের স্পিনিং কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার
ছবি: টুইটার

টেস্ট ক্রিকেটে ৫০.৫৬ গড়ে ২৭টি শতকসহ ১১১৭৪ রান করেছেন অ্যালান বোর্ডার। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়কের রেকর্ড এশিয়াতে এক কথায় অনন্য। এশিয়াতে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সব মিলিয়ে ২২টি টেস্ট খেলেছেন বোর্ডার। ৩৯ ইনিংসে ৫৪.৫১ গড়ে ৬টি শতকসহ ১৭৯৯ রান করেছেন তিনি। ভারতে ৯ টেস্টে ৫১–এরও বেশি গড়ে ২টি শতকসহ করেছেন ৭৬৬ রান।

সব মিলিয়ে উপমহাদেশ, বিশেষ করে ভারতে টেস্ট খেলা নিয়ে বোর্ডারের পরামর্শের মূল্য আছে। বোর্ডার অবশ্য তাঁর নিজের মতো খেলার পরামর্শ হেডকে দেননি। ভারতে সাফল্য পেতে হলে তিনি হেডকে পরামর্শ দিয়েছেন ম্যাথু হেইডেনকে নকল করার জন্য।

আরও পড়ুন
ট্রাভিস হেড কি পারবেন ভারতে সফল হতে?
ছবি: এএফপি

হেডকে সবার আগে স্পিন বল খেলা, বিশেষ করে সুইপ শট খেলা আরও ভালোভাবে শিখতে হবে বলে মনে করেন বোর্ডার, ‘স্পিনিং উইকেটে ব্যাটিং করা নিয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। কীভাবে সুইপ খেলতে হয়, বিশেষ করে কীভাবে ভালো সুইপ করা যায়; এটা শিখতে হবে তাকে। তাকে পায়ের ব্যবহারটা শিখতে হবে।’

এটা বলার পর তিনি হেইডেনের প্রসঙ্গ টেনেছেন। ২০০১ সালের ভারত সফরে ১০৯.৮০ গড়ে ৫৪৯ রান করেছিলেন হেইডেন। সেই সিরিজে সুইপ শটটা খুব ভালোভাবে খেলেছেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে টেনে বোর্ডার বলেছেন, ‘হেইডেন অসাধারণ এক উদাহরণ। সুইপ শট খেলায় সে দারুণ উন্নতি করেছিল। এটা কঠিন এক শট। কারণ, ভুল করলেই বল প্যাডে লাগবে। আর এখন তো ডিআরএস আছে।’

আরও পড়ুন