প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগত!
অক্টোবরের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নতুন ঘটনাই। তবে কদিন পরই শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে দারুণ প্রস্তুতির মঞ্চ হতে পারে এটি।
রাউন্ড ওয়ান—পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালেও এটি মাত্র তৃতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হতে যাচ্ছে। এ ম্যাচে প্রথম আলোর সরাসরি আপডেটে আপনাকে স্বাগত!
টস
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক—নুরুল হাসান। এ লাইনেই বুঝে যাওয়ার কথা, খেলছেন না সাকিব আল হাসান।
গতকালই ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেছেন সাকিব আল হাসান, আজ খেলছেন না তিনি। পরের ম্যাচে তাঁকে পাওয়ার আশার কথা জানিয়েছেন নুরুল। টসে জিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নিয়েছেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত।
সাকিব নেই, ফিরলেন হাসান
সাকিব নেই, খেলছেন নাসুম আহমেদ। দলে ফিরেছেন পেসার হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ একাদশ
নুরুল হাসান (অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন দাস, ইয়াসির আলী, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ।
ক্রাইস্টচার্চে রোদ
এখনো বসন্ত নিউজিল্যান্ডে, গতকালও হয়েছে তুষারপাত। ম্যাচ শুরুর আগে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে অবশ্য রোদের দেখাই মিলেছে।
পাকিস্তান একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান, হায়দার আলী, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নেওয়াজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, হারিস রউফ, শাহনেওয়াজ দাহানি
তাসকিনের প্রথম ওভারে ১ রান
প্রথম বলটা ফুললেংথে করেছিলেন তাসকিন আহমেদ, সুইং-ও পেয়েছেন। লেংথ এরপর কমিয়ে ফেলেছেন। তাঁর করা প্রথম ওভারে একটি সিঙ্গেল নিতে পেরেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবর আজম খেলেছেন শেষ ৩ বল, রান করতে পারেননি।
মোস্তাফিজের ওভারে ১০
মোস্তাফিজকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে ইনিংসের প্রথম চার মেরেছেন বাবর আজম। ওই চারের সময় রানের জন্য দৌড়াতে গিয়ে ক্রিজে পড়ে চোট পেয়েছিলেন বাবর, মাঠে এসেছিলেন ফিজিও। তবে সেটি যে বাবরকে খুব বেশি সমস্যায় ফেলেনি, তার প্রমাণ পরের চারটি। যেটি এসেছে দারুণ একটি পুল শটে। প্রথম ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন ১০ রান।
রিজওয়ানকে জীবন দিলেন সাব্বির
নাসুম আহমেদের বলে শর্ট মিডউইকেটে খেলেছিলেন বাবর আজম, সিঙ্গেল নেওয়ার দিকে তেমন আগ্রহ ছিল না তাঁর। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ান পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রায় ক্রিজের মাঝামাঝি। সাব্বির রহমান বলটা ঠিকঠাক ধরে স্টাম্প ভাঙতে পারলে ফ্রেমেই থাকতেন না রিজওয়ান। সাব্বির বলটাই ধরতে পারেননি ঠিকঠাক। ১০ রানে জীবন পেয়েছেন রিজওয়ান।
চতুর্থ ওভারে চতুর্থ বোলার হিসেবে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে এনেছেন নুরুল। দ্বিতীয় বলেই তাঁর ওপর চড়াও হয়েছেন রিজওয়ান। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে লং অফের ওপর দিয়ে ইনিংসের প্রথম ছক্কাটি মেরেছেন তিনি।
আগের ওভারে আনা হয়েছিল হাসানকে। শর্ট লেংথে অফ স্টাম্পের বাইরে দুটি বলকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট ও কাভার পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছিলেন বাবর।
বাবর-রিজওয়ানের দৃঢ় শুরু
প্রথম ওভারে ১ রান দিলেও তাসকিনকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নুরুল। তাঁকে ফেরানো হয়েছে পঞ্চম ওভারে, ওই ওভারে তিনি দিয়েছেন ৭ রান। মোস্তাফিজ করেছেন পাওয়ারপ্লের শেষ ওভার। আঁটসাঁট লাইন বা ধরে রাখতে পারেননি তিনি, অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে শর্ট লেংথে পেয়ে চার মেরেছেন রিজওয়ান। প্রথম ৬ ওভারে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৪৩ রান তুলেছে বাবর-রিজওয়ান জুটি।
বাবরকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু দিলেন মিরাজ
সপ্তম ওভারে এসেই ব্রেকথ্রু দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁর লেগ-মিডলের ওপর বলটি সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছেন বাবর আজম, শর্ট ফাইন লেগে ভুল করেননি মোস্তাফিজুর রহমান। ২৫ বলে ২২ রান করে ফিরেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক, ভেঙেছে ৫২ রানের ওপেনিং জুটি।
আলগা হলো চাপ?
চাপ বাড়ছিল, ডট বলের চাপ। বড় শটের চেষ্টায় থাকা শান মাসুদ ব্যর্থ হচ্ছিলেন। নাসুম আহমেদ এরপরই শানকে লেগ স্টাম্পের বাইরের একটি ডেলিভারি উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। শান তাতে পেলেন চার রান। পরের ২ বলে অবশ্য ২টি সিঙ্গেলের বেশি দেননি নাসুম।
পাকিস্তান ৯ ওভারে ৬০/১।
১০ ওভারে ৭১/১
রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া, বাবরের উইকেট, চাপ ধরে রাখতে না পারা—বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রথম ১০ ওভারের চিত্রটা এমন। দশম ওভারে মিরাজকে লং অনের ওপর দিয়ে একটি ছয় মেরেছেন শান মাসুদ। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান তুলেছে পাকিস্তান।
উইকেটে শুরুতে হয়তো পেসারদের জন্য একটু সহায়তা ছিল, তবে প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদের পর সেটি কাজে লাগাতে পারেননি কেউ। আপাতত বল ব্যাটে আসছে বেশ ভালোভাবেই।
মাসুদকে ফেরালেন নাসুম
শুরুতে বড় শটের চেষ্টায় ব্যর্থ, এরপর একটু ধাতস্থ হয়ে ‘স্বাভাবিক’ ব্যাটিং করে সফলও হয়েছিলেন শান মাসুদ। তবে গিয়ার বদলানোর চেষ্টায় ফিরতে হলো তাঁকে। নাসুমকে জায়গা বানিয়ে লং অনের দিকে খেলতে গিয়ে আউটসাইড-এজড হয়েছেন এ বাঁহাতি, শর্ট থার্ডম্যানে দুবারের চেষ্টায় ক্যাচ নিয়েছেন হাসান।
মাসুদ ফিরেছেন ২২ বলে ৩১ রান করে। ৯৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।
এর আগে ওই হাসানকে সফট হ্যান্ডে খেলে থার্ডম্যান দিয়ে একটি চার মেরেছিলেন মাসুদ, ওই ওভারের শেষ বলে পুল করে মেরেছিলেন আরেকটি।
এরপর জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন, তাঁকে অনুসরণ করেছিলেন ১২তম ওভারে নিজের প্রথমটি করতে আসা মোসাদ্দেক হোসেন। মাসুদ সেবার ১ রানের বেশি পাননি। শেষ বলে আবার একই কাজ করলেন মাসুদ, এবার মোসাদ্দেক তাঁকে অনুসরণ করতে গিয়ে করলেন লেগ স্টাম্পের বাইরে। সেটিতে হয়েছিল চার।
‘বিশৃঙ্খলা’
ওভার শেষ করে চলেই গিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। স্কোরবোর্ড অবশ্য বলছিল, হয়েছে ৫ বল। ভুল বুঝতে পেরে মোসাদ্দেককে ফিরিয়ে আনলেন আম্পায়াররা। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে হাঁটু গেড়ে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন নতুন ব্যাটসম্যান হায়দার আলী।
ওভারের শুরু হয়েছিল রিজওয়ানের ভুলে। ডাবলস নিয়েছিলেন, তবে প্রথম রানের সময় ক্রিজের ভেতরে ঠিকঠাক নেননি ব্যাট। তাতে কাটা গেছে একটি রান।
ওই ওভারেই ১০০ ছুঁয়েছে পাকিস্তান।
পরের ওভার করতে এসেছিলেন নাসুম। আম্পায়ারের কাছে ক্যাপ, সানগালস জমাও দিয়েছিলেন। এরপর সিদ্ধান্ত বদলালেন নুরুল, বোলিংয়ে আনলেন তাসকিনকে।
হ্যাগলি ওভালে আপাতত কেউই নিজেদের কাজ নিয়ে নিশ্চিত নন বলে মনে হচ্ছে।
হায়দার ক ইয়াসির ব তাসকিন
ইয়র্কার, বাউন্সার, উইকেট।
ভালো বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন তাসকিন আহমেদ। পুল করেছিলেন হায়দার আলী। মিডউইকেটে ইয়াসির আলী নিয়েছেন ভালো একটি ক্যাচ। হায়দার আলী ফিরেছেন ৬ বলে ৬ রান করে।
এর আগে তাসকিনের ইয়র্কার প্রায় পরাস্ত করেছিল রিজওয়ানকে। আম্পায়ারের নট আউটের সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিল বাংলাদেশ, তবে আল্ট্রা এজে দেখা গেছে, বল লেগেছিল রিজওয়ানের ব্যাটের গোড়ায়।
রিজওয়ানের আরেকটি ফিফটি
আরেকটি ম্যাচ, রিজওয়ানের আরেকটি ফিফটি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পাকিস্তান ব্যাটসম্যান পেলেন সর্বশেষ ৮ ইনিংসে ষষ্ঠ ফিফটি। আজ মাইলফলকে যেতে তাঁর লেগেছে ৩৮ বল।
১৬ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ৩ উইকেটে ১১৬ রান।
মোস্তাফিজের ওভারে ১৬
রিজওয়ান, ইফতিখার, রিজওয়ান—মোস্তাফিজের ওভারে এসেছে তিনটি চার। মোটামুটি নির্বিষ বোলিংয়ের ফলটা ভোগ করতে হয়েছে মোস্তাফিজকে।
এবং ক্রিজে আবার পড়ে গেছেন রিজওয়ান। আজ একাধিকবার দেখা গেল এ দৃশ্য।
হাসানের স্লোয়ারে ফিরলেন ইফতিখার
হাসানের ব্যাক অফ দ্য হ্যান্ড স্লোয়ারে বড় শট খেলতে গিয়েছিলেন ইফতিখার আহমেদ। মিডউইকেটকে পার করাতে পারেননি। প্রথম বলে চারের পর দ্বিতীয় বলে ক্যাচ তুলে ফিরে গেছেন তিনি। মোস্তাফিজের ১৬ রানের ওভারের পর হাসান উইকেটে পেয়েছে, তবে ওভারে এসেছে ১২ রান।
আসিফকে ফেরালেন তাসকিন
একদিকে রিজওয়ান টিকে আছেন, তবে অন্যদিকে পাকিস্তান ব্যাটসম্যানরা ফিরে যাচ্ছেন একের পর এক। সর্বশেষ ফিরলেন আসিফ আলী। তাসকিন আহমেদের বাউন্সারে ক্যাচ তুলে ফিরেছেন তিনি। ১ ওভার বাকি থাকতে সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৪ রান।
রিজওয়ান ৭৮*, পাকিস্তান ১৬৭/৫
মোস্তাফিজ শেষ করেছেন দুই ফুলটসে, এর মধ্যে একটিতে হয়েছে ছয়। শেষ ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন ১৩ রান, ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৮ রান। ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়েছেন হাসানও, তবে একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
২০ ওভারে পাকিস্তান ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান তুলেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৫০ বলে অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংসে। পাকিস্তানের ইনিংসের মূল কারিগর ছিলেন তিনিই, শুধু রান করা নয়, উইকেট ধরে রাখার কাজও করেছেন।
বাবর আজমের সঙ্গে রিজওয়ানের ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরুই পেয়েছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশ অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটের দেখা পেয়েছে।
শেষ ৪ ওভারে ৫১ রান তুলেছে পাকিস্তান।
ওপেনিং মিরাজ-সাব্বিরই
এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষেও ওপেন করেছিলেন সাব্বির রহমান ও মেহেদী মিরাজ। আজও এসেছেন তাঁরাই। মিরাজ প্রথম ২ ওভারে বাউন্ডারির দেখা পাননি, মোহাম্মদ ওয়াসিমকে পুল করে একটি চার মেরেছেন সাব্বির।
স্ট্যাটস অ্যালার্ট
পাকিস্তানের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত দুটি টি-টোয়েন্টি জিতেছে বাংলাদেশ, দুটিতেই পরে ব্যাটিং করে। তবে কোনোবারই লক্ষ্য ১৪২ রানের বেশি ছিল না। ২০১৫ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের দেওয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ পেরিয়েছিল ২২ বল বাকি রেখে।
রউফকে মিরাজের ছক্কা
ফ্রন্ট ফুট সরিয়ে নিয়ে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা! হারিস রউফকে দারুণ একটি শটে ইনিংসের প্রথম ছয়টি মেরেছেন মিরাজ। রউফ অবশ্য পরের তিন বলই করেছেন ডট। ৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২৪।
মিরাজের উইকেটে ভাঙল জুটি
রউফকে যেভাবে খেলেছিলেন, ওয়াসিমকেও সেভাবেই খেলতে গিয়েছিলেন মিরাজ। তবে ব্যাক অফ আ লেংথের বলে টাইমিং করতে পারেননি সেভাবে, বল গেছে স্কয়ার লেগে আসিফ আলীর হাতে। ১১ বলে ১০ রান করে ফিরলেন মিরাজ, সাব্বিরের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটিতে আজ উঠেছে ২৫ রান।
সাব্বির ১৮ বলে ১৪
হারিস রউফের গতি বুঝেই উঠতে পারেননি সাব্বির রহমান। লেগ সাইডে খেলতে গিয়েছিলেন, বল উঠে গেছে খাড়া ওপরে। এর আগে তাঁর বলে একটি ক্যাচের সুযোগ ঠিকঠাক নেননি দাহানি, হারিস এবার নিজেই নিয়েছেন ক্যাচ। সাব্বির ফিরেছেন ১৮ বলে ১৪ রান করে।
২ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে পাওয়ারপ্লে শেষ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ৫০
আফিফ হোসেনের বিপক্ষে রিভিউ হারিয়েছে পাকিস্তান। কট বিহাইন্ডের আবেদন করা হলেও সাড়া দেননি আম্পায়ার, আল্ট্রা এজেও ছিল না কিছু।
শাদাব খানের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে এরপর ছয় মেরেছেন আফিফ।
অষ্টম ওভারে উঠেছে ১৩ রান, বাংলাদেশ পেরিয়েছে ৫০ রান।
১০ ওভারে ৬৪/২
প্রথম ১০ ওভারে পাকিস্তান ২ উইকেটে তুলেছিল ৭১ রান। বাংলাদেশের এ পর্যায়ে স্কোর ২ উইকেটে ৬৪ রান। মিরাজ, সাব্বিরের ফেরার পর এখন পর্যন্ত পুনর্গঠনেই ব্যস্ত লিটন ও আফিফ, ২৫ বলে দুজনের জুটিতে উঠেছে ২৭ রান।
লিটনের দুই চার
দুটি স্লগ সুইপ, খুব ভালো টাইমিং নয়, তবে দুটিতেই চার পেলেন লিটন দাস। নেওয়াজের করা ১১তম ওভারে এলো ১০ রান। দুই প্রান্তেই স্পিনার বোলিং করছেন, প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়েছিলেন নেওয়াজ।
ফিরলেন লিটন
আগের ওভারে এমন দুটি স্লগ সুইপে চার পেয়েছিলেন লিটন দাস, এবার ধরা পড়লেন হায়দার আলীর হাতে। স্কয়ার লেগে প্রথমে বল থামানোর পর সেটি নিয়েছেন হায়দার। আফিফের সঙ্গে লিটনের জুটি থামল ফিফটির পরপরই। ২৬ বলে ৩৫ রান করে থেমেছেন লিটন।
আগের ওভারে শাদাবকে টেনে ছক্কা মেরেছিলেন লিটন। পরে ওই ওভারেই আফিফের বিপক্ষেই দ্বিতীয় রিভিউটিও হারিয়েছে পাকিস্তান। এবার শাদাব খানের বলে হয়েছিল এলবিডব্লুর আবেদন। বল ব্যাটে লাগেনি, হয়তো স্টাম্পেও হিট করত, তবে সেটি পড়েছে লেগ স্টাম্পের বাইরে।
মোসাদ্দেক গোল্ডেন ডাক
‘একটি উইকেটে দুটি আসে’।
নেওয়াজের বলে পেছনের পায়ে ভর দিয়ে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। আম্পায়ারের এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন, তবে কাজে আসেনি সেটি। মোসাদ্দেক গোল্ডেন ডাক, চাপ আরেকটু বাড়ল বাংলাদেশের। পরপর দুই বলে দুই উইকেট নেই, নেওয়াজ হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। নুরুল হাসানের জন্য স্লিপেও আনা হয়েছিল ফিল্ডার, যদিও হ্যাটট্রিক পাননি নেওয়াজ।
ওভারের শেষ বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মেরেছেন আফিফ। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন নেওয়াজ।
আফিফও আউট!
টানা দুই ওভারে তিন উইকেট!
আগের ওভারে টানা দুই বলে ফিরেছেন লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন। পরের ওভারে (১৪তম) ক্যাচ তুলে আউট হলেন আফিফ হোসেনও। শাহনেওয়াজ দাহানিকে মিড অফে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন আফিফ। ২৩ বলে ২৫ রান করে ফিরলেন।
বাংলাদেশ ১৪ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৯৯। জয়ের জন্য ৩৬ বলে দরকার ৬৯।
নুরুল হাসানও ফিরলেন!
১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে নুরুল হাসানকে তুলে নিলেন লেগ স্পিনার শাদাব খান। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন। ৯ বলে ৮ রানে ফিরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাংলাদেশ ১৫.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১০১।
রইল বাকি তিন!
ব্যাটে লাগলে কট বিহাইন্ড হবেন, না লাগলে এলবিডব্লু—তাসকিন আহমেদের পরিস্থিতি ছিল এমন। তবুও রিভিউটা নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত হলেন এলবিডব্লুই। ওয়াসিমের বলে আউট হওয়ার আগে ৮ বলে ২ রান করে ফিরলেন তিনি।
রইল বাকি দুই!
ইয়র্কার। ইয়র্কার। উইকেট। উইকেট। তাসকিন এলবিডব্লু, রিভিউয়ের কারণে তাতে একটু সময় লেগেছে। নাসুমের ক্ষেত্রে সেটি লাগল না। ওয়াসিমের ইয়র্কারে স্টাম্প হারিয়েছেন নাসুম। নেওয়াজের মতো তিনিও দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সামনে। তবে ওয়াসিম সুযোগ হারিয়েছেন ডাউন দ্য লেগে ওয়াইড করে।
পরের বলে আবার এলবিডব্লুর আবেদন হয়েছিল, তবে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউও বাকি নেই পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
সাকিব আল হাসান খেললেন না। মোস্তাফিজুর রহমান খরুচে বোলিং করলেন। ফিল্ডিংয়ে সুযোগ হাতছাড়া হলো। মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমানের ওপেনিং জুটিতেই ভরসা রাখল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে খেই হারাল এরপর তারা।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে আদতে টি-টোয়েন্টিতে কিছুই বদলাল না বাংলাদেশ দলের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৭ রান তাড়ায় বাংলাদেশ থেমেছে ৮ উইকেটে ১৪৬ রানেই। ২১ রানে হেরেছে তারা।
মিরাজ ও সাব্বিরের ওপেনিং জুটি তেমন কিছু করতে পারেনি, এ নিয়ে চার ম্যাচে তাদের জুটিতে উঠেছে ১৯, ১১, ২৭ ও ২৫ রান। আজ মিরাজের পর সাব্বিরও ফেরার পর লিটন দাস ও আফিফ হোসেন একটু চেষ্টা করেছিলেন। দুজনের ৫০ রানের জুটি একটু আশাও জুগিয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে অসময়ে ফিরে গেছেন লিটন, এরপর খেই হারিয়েছে বাংলাদেশও।
মোহাম্মদ নেওয়াজের পরপর ২ বলে লিটন ও মোসাদ্দেককে হারানোর চাপ আর সামাল দিতে পারেনি বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন, নুরুল হাসানরাও কিছু করতে পারেননি। শেষদিকে টেল-এন্ডারদের নিয়ে ব্যাটিং করতে হয়েছে ইয়াসির আলীকে, তবে ততক্ষণে প্রয়োজনীয় রান রেট চলে গেছে নাগালের বাইরেই। ইয়াসির অপরাজিত থেকেছেন ২১ বলে ৪২ রান করে। আরেকবার তুলে দিয়েছেন প্রশ্নটা, তাঁদেরকে ঠিক পজিশনে খেলানো হচ্ছে আদতেই?
বাংলাদেশের তুলনায় অবশ্য আজ বেশ আঁটসাঁট বোলিং করেছে পাকিস্তান, পেসাররা উইকেটের বাউন্স কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন। নেওয়াজ শুধু রান আটকে রাখেননি, এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু।
এর আগে পাকিস্তান ১৬৭ রান পর্যন্ত গেছে রিজওয়ানের ৫০ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ অবশ্য পেয়েছিল ব্রেকথ্রু দেখা, নাহলে পাকিস্তানের স্কোর হতে পারত আরও বড়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১৫-২০ রান কম করার আফসো করতে হয়নি বাবর আজমদের।
আগামীকালই স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে পাকিস্তান। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ৯ অক্টোবর, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ রিজওয়ান
৫০ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন রিজওয়ান।
‘আমরা সবকিছু সরল রাখতে চেয়েছি। ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটটি ভালো ছিল। ভালো খেলার পরও আমাদের মনে হয়েছিল ১৫-২০ রান কম করেছি। তবে বোলাররা ভালো করেছে। আমি কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করি, বাকিটা আল্লাহর ওপর। এখানে কোনো কোনো দিকে বাউন্ডারি বেশ বড়। তবে বল বিচার করে খেলেছি। পরিকল্পনা ছাড়া সবই কঠিন।’—বলেছেন রিজওয়ান।