অধিনায়ক হয়ে স্মিথের আবারও ‘ব্রেন ফেড’

রিভিউই নিলেন না স্মিথফাইল ছবি

অধিনায়কত্বের দায়িত্ব কাঁধে নিলেই কী যেন হয় স্টিভ স্মিথের। ২০১৭ সালের কথা মনে আছে? ওই যে ভারত সফরে বেঙ্গালুরু টেস্টে এলবিডব্লু হওয়ার পর ড্রেসিং রুমের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘রিভিউ নেবেন কিনা’। তিনি সেই সিরিজে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। ব্যাপারটি নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছিল। মাঠেই ভারতের সে সময়ের অধিনায়ক বিরাট কোহলি আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ তুলেছিলেন। আম্পায়ারও তাতে সায় দিয়েছিলেন। পরে স্মিথ স্বীকার করেছিলেন, তাঁর ওই মুহূর্তে ‘ব্রেন ফেড’ হয়েছিল।

২০২৩ সালে এসে আবারও কি ব্রেন ফেড স্মিথের? প্যাট কামিন্সের জায়গায় ইন্দোরে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়ে শুরুতেই রিভিউ নেওয়া নিয়ে হাসির পাত্র স্মিথ। টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া ভারতের অধিনায়ককে প্রথম ওভারেই দুইবার ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল। মিচেল স্টার্কের বলে আবেদন হয়েছিল রোহিতের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন যেন রিভিউ নিলেন না স্মিথ। রিভিউ নিলে দুইবারই রোহিতের বিরুদ্ধে যেতে পারত টিভি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।

শুরুতে মিচের স্টার্কের বল রোহিতের ব্যাট ঘেঁষে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসে। শব্দও শোনা গিয়েছিল। কট বিহাইন্ডের আবেদনে আম্পায়ার নীতিন মেনন সারা দেননি। স্মিথ রিভিউ নিতে চাইলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় বল রোহিতের ব্যাটে লেগেছে। ওই মুহূর্তে মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের। প্রথম ওভারেরই চতুর্থ বলে রোহিতের বিরুদ্ধে এলবির আবেদন হয়। স্টার্কের বল রোহিতের ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে চলে যায় কিপারের কাছে। সেই বলেও রিভিউ নেননি স্মিথ। পরে দেখা যায় বল রোহিতের প্যাডে লেগেছে। নিশ্চিতভাবেই এলবিডব্লু হয়ে যেতে পারতেন ভারতীয় অধিনায়ক।

ধারাভাষ্যকার ম্যাথু হেইডেন ধারাভাষ্যেই স্মিথের এই দুটি বাজে সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি পুরো ব্যাপারটিকেই বলেছেন ‘অস্ট্রেলিয়া দল আতঙ্কিত হয়ে আছে। পুরোপুরি আতঙ্কিত!’

রোহিত তো পারেন-ইনি, ভারতও পারেনি স্মিথের বোকামির সুযোগ নিতে। ইন্দোরে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে তারা। ৫৭ রান তুলতেই হারিয়েছে ৫ উইকেট।