ফারহান–সাইমের পর মুকিমে আটকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিরিজ পাকিস্তানের

ফ্লোরিডায় তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ৪ উইকেটে ১৮৯ রান তোলার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমেছে ৬ উইকেটে ১৭৬ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে পাকিস্তানএএফপি

শেষ ওভারে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ২৫ রান। ব্যাটিংয়ে ৫১ রান করা শেরফান রাদারফোর্ড, যিনি আগের ওভারেই হারিস রউফকে ছক্কা মেরেছেন। তবে ক্যারিবীয় দর্শকদের আশার বেলুন ফুটো হয়ে গেল হাসান আলীর করা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলেই। প্রথম বল ডট, দ্বিতীয় বলেই রাদারফোর্ড দিলেন বাউন্ডারিতে ক্যাচ।

পরের চার বলে গুড়াকেশ মোতি একটি করে চার আর ছয় মারলেও ম্যাচ আর জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ ফ্লোরিডায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়রা ম্যাচ হেরেছে ১৩ রানে। বিপরীতে শেষ টি–টোয়েন্টির মতো প্রথম টি–টোয়েন্টিতেও জয় থাকায় পাকিস্তান সিরিজ জিতেছে ২–১ ব্যবধানে।

পাকিস্তানের জয়ের পথে শেষ ওভারে হাসান আলীর কাজটা সহজ করে তোলেন সুফিয়ান মুকিম ও হারিস রউফ। পাকিস্তানের ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাওয়ার প্লেতেই তোলে ১ উইকেটে ৫৯।

সুফিয়ান মুকিমের বলে ভুগেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
এএফপি

তবে এমন ভালো শুরুও দলটি ধরে রাখতে পারেনি মাঝের ইনিংসে পাকিস্তানের আঁটসাঁট বোলিংয়ের কারণে। বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনার সুফিয়ান মুকিমই তাদের ভুগিয়েছেন বেশি। তবে রানের গতি কমে এলেও ডেথ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ভালোমতোই টিকেছিল ক্যারিবীয়রা।

আরও পড়ুন

১৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ২৪ বলে ৪৯ রান। শাহিন আফ্রিদির জায়গায় একাদশে ঢোকা রউফ ১৭তম ওভারে দেন মাত্র ৮ রান। এই ওভারের শেষ বলে রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন রোস্টন চেজ, যিনি ১২ বলে করতে পেরেছেন ১৫ রান।

মুকিম ১৮তম ওভার করতে এসে দেন আরও কম—মাত্র ৩ রান। এমনকি বোল্ড করেন আগের ম্যাচে শেষ বলে চার মেরে ম্যাচ জেতানো জেসন হোল্ডারকেও। ২৫ বছর বয়সী মুকিম তাঁর বোলিং শেষ করেন ৪ ওভারে ২০ রানে ১ উইকেটে।

এরপর রউফ ১৯তম ওভারে এক ছক্কা হজমে মোট ১৩ রান খরচ করলে শেষ ওভারে বড় সমীকরণের সামনে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যা কেউ এনে দিতে পারেননি।

সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব গড়েন ১৩৬ রানের জুটি
এএফপি

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। ১৭তম ওভারে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে দুজনের জুটিতে পাকিস্তান পায় ১৩৬ রান। ফিফটিও তুলে নেন দুজনই। ফারহান ৫৩ বলে ৫ ছক্কা আর ৩ চারে করেন ৭৪, সাইম ৪৯ বলে ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৬।

শেষ দিকে হাসান নেওয়াজের ৭ বলে ১৫ ও খুশদিল শাহর ৬ বলে ১১ রানে চড়ে দুই শর কাছাকাছি পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৮৯/৪ (ফারহান ৭৪, সাইম ৬৬, হাসান ১৫; চেজ ১/৩১, হোল্ডার ১/৩৪)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৭৬/৬ (অ্যাথানাজে ৬০, রাদারফোর্ড ৫১, অ্যান্ড্রু ২৪; মুকিম ১/২০, নেওয়াজ ১/৩৩)।

ফল: পাকিস্তান ১৩ রানে জয়ী।

ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ: সাহিবজাদা ফারহান।

সিরিজ: পাকিস্তান ২–১ ব্যবধানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য সিরিজ: মোহাম্মদ নেওয়াজ।