যে পাকিস্তানকে আফগানিস্তান কখনো হারাতে পারেনি, এবার শারজায় সেটিই দুবার করে দেখিয়েছে রশিদ খানের দল। তিন ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজও জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান।

আফগানদের এই সাফল্যের প্রশংসা করতে গিয়ে পাঠান ও বাঙালি জাতিকে টেনে এনেছেন শোয়েব আখতার। তাঁর মতে, উপমহাদেশের এ দুটি জাতি নিজেদের ভেতরকার শক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করলে বিশ্বসেরা হতে পারবে।

ক্রিকেটবিশ্বে জাতি–প্রধান দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান অন্যতম। পাকিস্তান ও ভারতের কেউ কেউ এ দুই দেশের ক্রিকেট দলকে জাতির নামে ডেকে থাকেন।

আরও পড়ুন

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় পাকিস্তানকে নিরাশ করে সিরিজ জিতল আফগানিস্তান

পাকিস্তান–আফগানিস্তান দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টির পর ইউটিউব চ্যানেলে পৌনে তিন মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন শোয়েব।

পাকিস্তানকে ১৩০ রানে আটকে দিয়ে আফগানিস্তানের ১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের জয়ের প্রসঙ্গ টেনে সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আফগানিস্তান শক্তিশালী দল। তাদের স্পিনাররাও দুর্দান্ত। মোহাম্মদ নবী ভালো বোলিং করেছে। তাদের স্পিনাররাও রহস্যময়ী। এ ধরনের রহস্যময় স্পিনার নিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা দল হতে যাচ্ছে আফগানিস্তান। আমি খুবই খুশি।’

আফগানদের প্রশংসার সূত্র ধরে শোয়েব যোগ করেন, ‘আমি সব সময়ই বলি, পাঠান আর বাঙালিরা যদি নিজেদের কর্মশক্তি ঠিকমতো কাজে লাগায়, তারা বিশ্বের শীর্ষ জাতি হয়ে উঠবে। কারণ, এ দুই জাতির মধ্যেই তীব্র তাড়না আছে। এই তীব্রতা ইতিবাচকভাবে, পরিপক্বতার সঙ্গে কাজে লাগালে ওরা বিশ্বসেরা হয়ে উঠতে পারবে। আমাদের পাঠান ভাইরা জেতায় আমি খুশি।’

আরও পড়ুন

সিরিজ হারের পর শাদাব, ‘বাবর–রিজওয়ানকে এখন শ্রদ্ধা করবে মানুষ’

এর আগে গত বছরের এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন শোয়েব।

শারজায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচে মাঠে আফগান ক্রিকেটারদের আচরণ ও গ্যালারিতে সমর্থকদের ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘তোমরা ক্রিকেট খেল। নিজেদের আবেগ দেখিও। তবে এ ধরনের ঔদ্ধত্য দেখিয়ো না। এ জন্যই স্রষ্টা তোমাদের শাস্তি দিচ্ছেন। আর এ কারণেই স্রষ্টা এক পাঠানের (নাসিম শাহ) ছক্কায় আরেক পাঠানকে হারিয়ে দিয়েছেন। তোমরা লজ্জিত হয়েছ এবং কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছ।’

তবে এ যাত্রায় পাঠান আফগানদের নিয়ে দিয়েছেন ইতিবাচক বার্তা। সেই সঙ্গে বাঙালিদের নিয়েও।

আরও পড়ুন

১৭ রানে ৫ উইকেট মাশরাফির, ৮০ রানে অলআউট মোহামেডান