বোলার ম্যাক্সওয়েলেরও ভূমিকা দেখছে অস্ট্রেলিয়া

ম্যাক্সওয়েলের বোলিংয়েও তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়াছবি: এএফপি

ব্যাট হাতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল কী করতে পারেন, সেটি নিশ্চয়ই সবার জানা। ৭ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাঁর অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংসের গল্প এখন সবার মুখে মুখে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড অবশ্য শুধু ‘ব্যাটসম্যান’ ম্যাক্সওয়েলেই সন্তুষ্ট নন। তিনি ম্যাক্সওয়েলের অফ স্পিনও কাজে লাগাতে চান।

আরও পড়ুন

এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ১৫ সদস্যের দলে স্পিনার মাত্র ২ জন। লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ও ম্যাক্সওয়েল। দুজনের মধ্যে জাম্পা বিশেষজ্ঞ স্পিনার। ম্যাক্সওয়েলকে সাদা বলের ক্রিকেটে সেই অর্থে বিশেষজ্ঞ স্পিনার বলা কঠিন। সাধারণত ক্রিজে দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান থাকলে ম্যাক্সওয়েলের হাতে বল তুলে দেওয়া হয়।

এই বিশ্বকাপে দলীয় সমন্বয়ের কারণে ম্যাক্সওয়েলকে বিশেষজ্ঞ স্পিনারের ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে। আর ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও দলের প্রয়োজনে সবটা নিংড়ে দিচ্ছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ভিক্টোরিয়ান। ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব পালন করছে। আমরা ওর ব্যাটিং নিয়ে অনেক কথা বলছি। কিন্তু আমি মনে করি, তার বোলিং দল হিসেবে আমাদের ভালো করার পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে।’

অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনে ম্যাক্সওয়েল
ছবি: এএফপি

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচ খেলে ৬ ইনিংসে বল করে ম্যাক্সওয়েল ৫ উইকেট নিয়েছেন। তবে দলে বোলার হিসেবে তাঁর দায়িত্ব উইকেট নেওয়া নয়, প্রতিপক্ষের রান থামানো তাঁর মূল দায়িত্ব। যে কাজটা তিনি অন্য সব অস্ট্রেলিয়ান বোলারের তুলনায় ভালো করছেন। এ বিশ্বকাপে ১০–এর বেশি ওভার বোলিং করা অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে একমাত্র ম্যাক্সওয়েলের ইকোনমি ৫–এর কম (৪.৯৫)।

আরও পড়ুন

চোটের কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা খেলেননি অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথ। বিশ্বকাপের লিগ পর্বে অস্ট্রেলিয়া তাদের শেষ ম্যাচটা খেলবে ১১ নভেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে। সে ম্যাচ দিয়ে স্মিথের একাদশে ফেরার সম্ভাবনা আছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘সে ভালো অনুভব করছে। আফগানিস্তান ম্যাচটা ২৪ ঘণ্টা পর হলে তাকে পাওয়া যেত। আজ সে কিছু কিছু নির্দিষ্ট শট খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিল না। সেটা হয়তো অনুশীলন উইকেটের কারণে।’

চোট থেকে ফিরে আফগানিস্তানের ম্যাচটা খেলেছেন আরেক অস্ট্রেলীয় মার্কাস স্টয়নিস। ওদিকে ১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা লড়বে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। সে ম্যাচের আগে চোটপ্রবণ খেলোয়াড়দের বাংলাদেশের বিপক্ষে না খেলিয়ে বিশ্রাম দেওয়ার আলোচনা আছে। এ নিয়ে ম্যাকডোনাল্ডের কথা, ‘সেটা কি আদর্শ হবে? হয়তো কয়েকজনের জন্য। অন্যরা হয়তো ম্যাচটা খেলেই দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য প্রস্তুতি নিতে চাইবে।’

আরও পড়ুন