মুখে বিশেষ মাস্ক পরে কোহলির বিশেষ অনুশীলন
দৃশ্যটা আইসিসি একাডেমিতে থাকা সবার চোখে পড়ল। বিরাট কোহলির মুখে অদ্ভুত এক মাস্ক। আর তিনি সেটি পরেই দৌড়াচ্ছেন। মাঠের এক মাথা থেকে আরেক মাথা দৌড়ের ফাঁকে ফাঁকে তিনি কিছুক্ষণের জন্য থামছেন, বিশ্রাম নিচ্ছেন। ঘড়িতে বিশ্রামের সময়টা হিসাব করে আবার দৌড় দিচ্ছেন।
মুখে অদ্ভুত এক মাস্ক পরা কোহলির এই খ্যাপাটে দৌড় দেখে ভারতীয় সাংবাদিকেরা আগ্রহী হয়ে উঠলেন। পরে জানা গেল, কোহলির এই অনুশীলনের নাম ‘হাই অ্যালটিটিউড রানিং’। কোহলির মুখের মাস্কটা এ ধরনের অনুশীলনের জন্যই তৈরি। এই মাস্ক পরে দৌড়ালে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। পেশিতে অক্সিজেনের পরিমাণও কমে আসে। ওই চাপের মুহূর্তে দৌড়ানোর অনুশীলনই করছিলেন কোহলি।
অ্যাথলেটরা এ ধরনের অনুশীলন নিয়মিতই করে থাকেন। বিশেষ করে অলিম্পিকের আগে অনেক বিশ্বসেরা অ্যাথলেটই হাই অ্যালটিটিউড রানিংয়ের জন্য নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়েতে যান। আফ্রিকার দেশগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে, তাই সেখানে মাস্ক ছাড়াই দৌড়ে হাই অ্যালটিটিউড রানিং করা যায়। সেটি পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক উচ্চতায় রানিং অনেকটা সহজ করে দেয়।
সমুদ্রপৃষ্ঠের অনেক উঁচুতে থাকা কন্ডিশনে দৌড়ানো বরাবরই কঠিন। বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে পেসার তাসকিন আহমেদও এ বিষয়ের কথা বলছিলেন। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর প্রথম সফরের অভিজ্ঞতার কথা ভাগাভাগি করে নিতে গিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘প্রথমবার এখানে এসে দৌড়ানোর পর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্ত মনে হবে। অনেক সময় আমার নাক দিয়ে রক্তও বের হয়। কিন্তু এটা এখানে খুবই স্বাভাবিক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে, তাই অনেকেরই এটা হয়। পরে অভ্যস্ত হয়ে যায়।’
কোহলিও এ ধরনের কন্ডিশনের জন্য নিজেকে তৈরি করছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অতটা উঁচুতে নয়। কিন্তু মাস্ক পরে দৌড়ে সেই আবহ তৈরি করেন এই ভারতীয় তারকা। আর সেদিকেই ছিল সবার কৌতূহলী দৃষ্টি। প্রায় ৩০ মিনিট কোহলিকে এভাবে দৌড়াতে দেখা গেছে। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা এক ঝাঁক ভারতীয় সমর্থকের কাছে গেছেন। তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন, অটোগ্রাফ দিয়েছেন।