কোহলিকে ফিরিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের উদ্যাপনের ‘শেকড়’ খুঁজলেন গাভাস্কার
বিরাট কোহলির সঙ্গে কী ঘটেছিল, কেউই বলতে পারছেন না। গতকাল মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মুমিনুল হকের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
আউটের পরপরই উদ্দাম উদ্যাপনে মেতে ওঠেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। কিন্তু ভারতীয় তারকা ব্যাপারটি সহজে মেনে নিতে পারেননি। মাথা গরম করে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি শান্ত করতে মধ্যস্থতা করতে হয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ ও বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। বুঝিয়ে-শুনিয়ে কোহলিকে ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠাতে বেশ বেগই পেতে হয়েছে তাঁদের।
উদ্দাম উদ্যাপনের মধ্যেই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার কি কোহলিকে নিয়ে কোনো কটু মন্তব্য করেছিলেন? সেটি কেউই জানেন না। তবে ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি ও ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কারের মতে, ‘পুরো ব্যাপারটির শেকড় চট্টগ্রাম টেস্টের একটি ঘটনায় আছে।’
হিন্দুস্তান টাইমসকে গাভাস্কার সেই ‘শেকড়’-এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে- ‘চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান লিটন দাস আউট হওয়ার পর তাঁকে ব্যঙ্গ করেছিল কোহলি আর মোহাম্মদ সিরাজ। বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা সেটি ভোলেনি। লিটন তাদের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। তাই বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান যখন অল্পতে আউট হলেন, তখন তারা এমন উদ্যাপনে মাতলেন। তারা ব্যাপারটি ভোলেনি।’
গতকাল তৃতীয় দিনের শেষ দিকে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়েছে ভারত। ৪৫ রান তুলতেই হারিয়েছে শুবমান গিল, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি আর চেতেশ্বর পূজারার উইকেট।
মিরাজের বলে ২২ বলে ১ রান করে কোহলি যখন মুমিনুলকে ক্যাচ দিলেন, ঠিক তখনই বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা উদ্দাম উদ্যাপনে মাতেন। এই সময় কোহলি ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে দাঁড়িয়ে যান। সাকিব ও আম্পায়ার শরফুদ্দৌলাকে কিছু একটা অভিযোগ করেন।
খুব সম্ভবত, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য শুনেছিলেন কোহলি, যেটি তাঁর ভালো লাগেনি। প্রথম ইনিংসেও ভালো করতে পারেননি। তাসকিন আহমেদের বলে মাত্র ২৪ রান করেই তিনি ক্যাচ দেন উইকেটকিপার নুরুল হাসানকে।