ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ বাদ দিয়ে ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’ দেখেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী
খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি নিজেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ক্রিকেটের ময়দানি লড়াইয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে একসময় সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বলেও মনে করেছেন। কিন্তু এখন দিন পাল্টেছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ এখন আর টানে না সৌরভ গাঙ্গুলীকে। কারণ, প্রতিদ্বন্দ্বিতাই তো নেই!
এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে গাঙ্গুলী যা বলেছেন, সেসব শুনে তাঁর ভক্তরা এমনটা আন্দাজ করে নিতেই পারেন। গত রোববার গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারায় ভারত। পাকিস্তানের ১২৭ রান তাড়া করতে নেমে ভারত জিতেছে ২৫ বল হাতে রেখে। ম্যাচটা যে এতটা একপেশে হবে, সেটা কার জানা ছিল!
সৌরভও তাই বেশ আগ্রহ নিয়েই বসেছিলেন টিভির সামনে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানের অনেকটাই নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ দেখে ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের আর ম্যাচটি দেখতে ইচ্ছা হয়নি। চ্যানেল পাল্টে দেখেছেন ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি।’ শুনুন সৌরভের মুখেই, ‘যা দেখেছি, তাতে আমি আসলে বিস্মিত হইনি। প্রথম ১৫ ওভার দেখার পর আর দেখিনি। এরপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচ দেখেছি।’
দুবাইয়ে জয়ের পর পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলায়নি সূর্যকুমার যাদবের দল। গত এপ্রিলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুতে সংহতি প্রকাশে এ সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের ক্রিকেট দল। পাকিস্তান ক্রিকেট দল এ নিয়ে আইসিসিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে এমন আচরণকে ‘অখেলোয়াড়সুলভ’ বলেছে।
হাত না মেলানো নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে সৌরভ বলেছেন, ‘সন্ত্রাস অবশ্যই বন্ধ করতে হবে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা বিশ্বজুড়ে, শুধু ভারত ও পাকিস্তানে নয়। কিন্তু খেলাধুলা থেমে থাকতে পারে না। সন্ত্রাস অবশ্যই থামাতে হবে।’
বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ মনে করেন, ক্রিকেটের লড়াইয়ে ভারতের সঙ্গে এখন পাকিস্তানের তুলনাই চলে না, ‘পাকিস্তান (ভারতের সঙ্গে) মানানসই নয়। এটা সম্মান দিয়েই বলছি। কারণ, তাদের দল কেমন ছিল, সেটা আমি দেখেছি। দলে ভালো মানের খেলোয়াড়ের অভাব আছে।’
বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ আর নেই বলেও মনে করেন সৌরভ, ‘কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই...এর চেয়ে আমি বরং অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা কিংবা আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের ম্যাচ দেখব। আমি মনে করি না, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়। আমরা এটা নিয়ে আওয়াজ তুলি, কিন্তু গত পাঁচ বছরে প্রতিবারই তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। এটা একপেশে ম্যাচ।’