- আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ
- গ্যালারির ছাদে বল পাঠিয়ে ফিফটি পূরণ সাইফের
- রশিদের মেডেন
- জাকের এলবিডব্লু, শামীম প্রথম বলেই বোল্ড
- সাইফের ছক্কায় বল স্টেডিয়ামের বাইরে
- রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন জাকের
- ‘জীবন’ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ তানজিদ
- জয় দেখছে বাংলাদেশ
- এবার তানজিদের ছক্কা
- রশিদকে টানা দুই চার তানজিদের
- সাইফের আরেকটি ছক্কা
- পারভেজ আউট
- অভিষিক্ত বশির দিলেন ৮
- পারভেজের ছক্কা, তানজিমের চার
- প্রথম ওভারেই মেডেন!
- আফগানদের ধবলধোলাই করতে পারবে কি বাংলাদেশ
- বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৪৪
- জুটি ভাঙলেন সাইফউদ্দিন
- রাসুলির চার ও ছক্কা
- ১০০ পেরোল আফগানিস্তান
- হ্যাটট্রিক হলো না তানজিমের
- ধুঁকছে আফগানিস্তান
- ওমরজাইও আউট
- আতালকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন
- ‘বোনাস’ দিলেন রিশাদ
- সাইফউদ্দিনের ফুল টসে বোল্ড তারাখিল
- গুরবাজও আউট
- জাদরানকে ফেরালেন শরীফুল
- শুরুতেই চড়াও আফগানরা
- বশিরের অভিষেক
- বিশ্রামে মোস্তাফিজ
- টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ–আফগানিস্তান তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে স্বাগতম
এরপর ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
জাকের আলীর নেতৃত্বে টি–টোয়েন্টি সিরিজে শতভাগ সফল বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে এরপর ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামবে দল।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু আগামী ৮ অক্টোবর। শেষ দুই ম্যাচ ১১ ও ১৪ অক্টোবর। সবকটি ম্যাচ হবে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।
ওয়ানডে সিরিজের সরাসরি ধারা বিবরণী, ঘটনাপ্রবাহ, তথ্য ও পরিসংখ্যান নিয়ে আবার হাজির হবে প্রথম আলো ক্রীড়া বিভাগ। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভকামনা!
আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ
আহমেদজাইয়ের ওভারের প্রথম বলে সাইফের ছক্কা, শেষ বলে ছক্কা মারলেন নুরুল হাসান। ব্যস, ২ ওভার বাকি রেখেই জিতে গেল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তানকে ৩–০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করল জাকের আলী দল। আরেকটি বাংলাওয়াশ বলাই যায়।
১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আজ বেশ হিসেবি ব্যাটিং করেছেন। রশিদ–মুজিবদের দেখেশুনে খেলে চড়াও হয়েছেন দুই অনভিজ্ঞ পেসার আবদুল্লাহ আহমেদজাই ও বশির আহমেদের ওপর। আহমেদজাই ও বশির মিলে ৭ ওভারে দিয়েছেন ৮৮ রান। তাঁদের ওপর দিয়ে সবচেয়ে বড় ঝড় বইয়ে দিয়েছেন সাইফ হাসান। টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান করার পথে সাইফ মেরেছেন দুটি চার ও সাতটি ছক্কা।
ম্যাচসেরার পুরস্কার সাইফের হাতেই উঠেছে। তিন ম্যাচে ৫.৫৮ ইকোনমি রেটে ৫ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৩/৯ (রাসুলি ৩২, আতাল ২৮, মুজিব ২৩*; সাইফউদ্দিন ৩/১৫, নাসুম ২/২৪, তানজিম ২/২৪, শরীফুল ১/৩৩, রিশাদ ১/৩৯)। বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১৪৪/৪ (সাইফ ৬৪*, তানজিদ ৩৩, পারভেজ ১৪, নুরুল ১০*, জাকের ১০; মুজিব ২/২৬, ওমরজাই ১/১২, আহমেদজাই ১/৫০)। ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাইফ হাসান। ম্যান অব দ্য সিরিজ: নাসুম আহমেদ। সিরিজ: বাংলাদেশ ৩–০ ব্যবধানে জয়ী।
গ্যালারির ছাদে বল পাঠিয়ে ফিফটি পূরণ সাইফের
বাংলাদেশ: ১৬ ওভারে ১২৬/৪
অভিষিক্ত বশির আহমেদের টানা দুই বলে দুই ছক্কা মারলেন সাইফ হাসান। এর মধ্যে ৯৫ মিটার লম্বা ছক্কায় বল গিয়ে পড়ল গ্যালারির ছাদে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি পূরণ হলো সাইফের।
রশিদের মেডেন
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ১০৯/৪
রশিদ খানের শেষ ওভারে বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিলেন না সাইফ হাসান। টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে ওভারটা পার করে দিলেন।
প্রথম ওভারে মুজিবের পর ১৫তম ওভারে মেডেন নিলেন রশিদ।
জাকের এলবিডব্লু, শামীম প্রথম বলেই বোল্ড
বাংলাদেশ: ১৪ ওভারে ১০৯/৪
আফগানিস্তানকে কিঞ্চিৎ আশা দেখাচ্ছেন মুজিব। টানা দুই বলে তিনি ফেরালেন জাকের আলী ও শামীম হোসেনকে।
বারবার সুইপ করতে গিয়ে এবার এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়লেন জাকের (১১ বলে ১০ রান)। মুজিব ওভারের শেষটায় ক্যারম বল করেছিলেন। সেটাকে কাট করতে গিয়ে ব্যাট কিনারে লেগে বোল্ড হয়ে গেলেন শামীম (১ বলে ০ রান)।
সাইফের ছক্কায় বল স্টেডিয়ামের বাইরে
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ১০৬/২
বাংলাদেশের জয় এনে দিতে খুব বেশি সময় নিতে চাইছেন না সাইফ। আজ বাউন্ডারিতেই নিজের ইনিংসটা বড় করছেন। আহমেদজাইয়ের এই ওভারে এল ২২ রান। সাইফ একাই নিলেন ১৫। এর মধ্যে ফ্লিক করে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে মারা তাঁর ৯২ মিটার ছক্কায় বল চলে গেল স্টেডিয়ামের বাইরে।
জিততে বাংলাদেশের দরকার ৪২ বলে ৩৮ রান।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন জাকের
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ৮৪/২
রশিদ খানের ওভারের তৃতীয় বলটা সুইপ করেছিলেন জাকের আলী। কিন্তু বল লেগেছে তাঁর প্যাডে। আফগানরা এবিডব্লুর আবেদন করলে সাড়া দেন আম্পায়ার। জাকের সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচড করেছিল।
‘জীবন’ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ তানজিদ
বাংলাদেশ: ১১ ওভারে ৮২/২
আবদুল্লাহ আহমেদজাইয়ের ওভারের তৃতীয় বলে ‘জীবন’ পেয়েছিলেন তানজিদ। স্কয়ার লেগে তাঁর তোলা সম্ভাব্য সহজতম ক্যাচ ছেড়েছেন দারবিশ রাসুলি।
কিন্তু পরের বলেই উইকেট ছুঁড়ে এলেন তানজিদ। অফ স্টাম্পের বাইরে করা আহমেদজাইয়ের স্লোয়ার বলটা মারতে গিয়ে মিড অফে ধরা পড়লেন ইব্রাহিম জাদরানের হাতে।
তানজিদ আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জাকের আলী।
জয় দেখছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৭৯/১
ইনিংসের অর্ধেক শেষ। এই ওভারে রশিদ খান মাত্র ২ রান দিলেও বাংলাদেশ বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে। তানজিদ (৩৩*) ও সাইফ (২৩*) দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
জিততে বাংলাদেশের দরকার ৬০ বলে ৬৫ রান।
এবার তানজিদের ছক্কা
বাংলাদেশ: ৯ ওভারে ৭৭/১
সাইফ এরই মধ্যে তিন ছক্কা মেরেছেন। তানজিদ বসে থাকবেন কেন? তিনিও মুজিবের ওভারের শেষ বলটা ওড়ালেন মিড উইকেটের ওপর দিয়ে।
বাংলাদেশ সমীকরণ একদম সোজা—৬৬ বলে দরকার ৬৭ রান।
রশিদকে টানা দুই চার তানজিদের
বাংলাদেশ: ৭ ওভারে ৫৭/১
প্রথমবার বোলিংয়ে আসা রশিদ খানের অভিজ্ঞতাও ভালো হলো না। আফগান অধিনায়কের ওভারের শেষ দুই বলেই চার মারলেন তানজিদ হাসান।
বাংলাদেশের জিততে দরকার ৭৮ বলে ৮৭ রান।
সাইফের আরেকটি ছক্কা
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে ৪৭/১
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারটা দারুণভাবে কাজে লাগাল বাংলাদেশ। অভিষিক্ত বশির এই ওভারে দিলেন ১৩ রান। সাইফ হাসান আরেকটি ছক্কা মেরেছেন, তানজিদ মেরেছেন একটি চার।
পারভেজ আউট
বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ৩৪/১
সাবধানী শুরু করেও ইনিংসটা বড় করতে পারলেন না পারভেজ। ওমরজাইয়ের স্লোয়ার বলে মিড অফে সেই রশিদের হাতেই ধরা পড়লেন (১৬ বলে ১৪ রান)।
পারভেজ আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সাইফ হাসান। ওমরজাইয়ের ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরেছেন সাইফ।
অভিষিক্ত বশির দিলেন ৮
বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ২৪/০
আন্তর্জাতিক অভিষেকে নিজের প্রথম ওভার করলেন বশির আহমেদ। আফগানিস্তানের বাঁহাতি এই পেসার দিলেন ৮ রান। তাঁর ওভারে একটি চার মেরেছেন পারভেজ, সিঙ্গেল এসেছে চারটি।
উইকেটও পেতে পারতেন বশির। মিড অনে ক্যাচ তুলেছিলেন তানজিদ। রশিদ খান ডাইভ দিয়ে এক হাতে ক্যাচটা প্রায় নিয়েছিলেন। কিন্তু মুঠোবন্দী করতে পারেননি।
পারভেজের ছক্কা, তানজিমের চার
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে ১৬/০
বাংলাদেশ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার করেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এই ওভারও দেখেশুনে পার করে দিয়েছেন পারভেজ হোসেন ও তাঁর উদ্বোধনী সঙ্গী তানজিদ হাসান।
তবে তৃতীয় ওভারে মুজিবের ওপর চড়াও হয়েছেন তাঁরা। পারভেজ ছক্কা মারার পর তানজিদ চার মেরেছেন।
প্রথম ওভারেই মেডেন!
বাংলাদেশ: ১ ওভারে ০/০
এই ম্যাচে তো বটেই, এই সিরিজেই প্রথম মেডেন দেখা গেল মুজিব উর রেহমানের সৌজন্য। তাঁর ওভার থেকে কোনো রান নিতে পারেননি বাংলাদেশ ওপেনার পারভেজ হোসেন।
আফগানদের ধবলধোলাই করতে পারবে কি বাংলাদেশ
২০১৮ সালে ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করেছিল আফগানিস্তান। ৭ বছর পর সেই প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের।
শারজায় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়া বাংলাদেশ আজ শেষ ম্যাচটা জিতলেই আফগানদের ৩–০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করবে।
টি–টোয়েন্টি সিরিজে ২০২৩ সালেও রশিদ খানের দলকে ধবলধোলাই করেছিল লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে সিলেটে অনুষ্ঠিত সেই সিরিজ ছিল ২ ম্যাচের।
বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৪৪
মুজিব খেললেন আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টির ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস (২৩*)। রাসুলি করলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৩২)। এ দুজনের সৌজন্যই ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তান পুরো ২০ ওভার খেলল, বাংলাদেশকে দিল ১৪৪ রানের লক্ষ্য।
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৩/৯ (রাসুলি ৩২, আতাল ২৮, মুজিব ২৩*; সাইফউদ্দিন ৩/১৫, নাসুম ২/২৪, তানজিম ২/২৪, শরীফুল ১/৩৩, রিশাদ ১/৩৯)।
জুটি ভাঙলেন সাইফউদ্দিন
আফগানিস্তান: ১৯ ওভারে ১৩৫/৯
ধুঁকতে থাকা আফগানদের টেনে তোলার চেষ্টায় কিছুটা সফল হয়েছেন দারবিশ রাসুলি ও মুজিব উর রেহমান। দুজন মিলে নবম উইকেটে গড়েছেন ৩৪ রানের জুটি, যা ইনিংসে সর্বোচ্চ।
নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে রাসুলিকে আউট করে এই জুটি ভাঙলেন সাইফউদ্দিন।
রাসুলির চার ও ছক্কা
আফগানিস্তান: ১৭ ওভারে ১১৯/৮
মাঝের দুই ওভার ভালো করলেও প্রথম আর শেষটা ভালো হলো না রিশাদের। তাঁর শেষ ওভারে এল ১৩ রান। দারবিশ রাসুলি একটি করে চার ও ছক্কা মারলেন।
১০০ পেরোল আফগানিস্তান
আফগানিস্তান: ১৬ ওভারে ১০৬/৮
বোলিংয়ে ফিরেছেন শরীফুল ইসলাম। তাঁর ইয়র্কারে চার মেরে আফগানদের সংগ্রহ ১০০–এর ওপারে নিয়ে গেছেন মুজিব।
হ্যাটট্রিক হলো না তানজিমের
আফগানিস্তান: ১৫ ওভারে ৯৮/৮
নাসুমকে ছক্কা মারার পর রিশাদকে চার মেরেছিলেন রশিদ খান। এরপর তানজিম হাসানকে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আফগান অধিনায়ক ফাইন লেগে ধরা পড়লেন নাসুমের হাতে।
পরের বলেই আবদুল্লাহ আহমেদজাইকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছেন তানজিম। কিন্তু দশে নামা মুজিব উর রেহমান সেই বলটা ঠেকিয়ে দেওয়ায় হ্যাটট্রিক হলো না।
ধুঁকছে আফগানিস্তান
আফগানিস্তান: ১৩ ওভারে ৯০/৬
মোহাম্মদ নবীও টিকতে পারলেন না। নাসুম আহমেদ বোলিংয়ে ফিরে নবীকে করলেন বোল্ড (৪ বলে ১ রান)। ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগানিস্তান।
নবী আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন রশিদ খান। আফগান অধিনায়ক নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই নাসুমকে ছক্কা মেরেছেন।
ওমরজাইও আউট
আফগানিস্তান: ১২ ওভারে ৮২/৫
নিজের প্রথম ওভারে ১৬ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন রিশাদ হোসেন। ফেরালেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। বলটা একটু দূরে করেছিলেন রিশাদ, টার্নও পেয়েছেন। ওমরজাই ছক্কা মারার ঝুঁকি নিয়েছিলেন। কিন্তু বল ব্যালের কিনারায় লেগে গেল নুরুল হাসানের হাতে (৬ বলে ৩ রান)।
আতালকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন
আফগানিস্তান: ১১ ওভারে ৭৯/৪
আফগানিস্তানকে জুটি গড়তে দিচ্ছে না বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বড় ইনিংস খেলার আভাস দিয়েছেন শুধু সেদিকউল্লাহ আতাল। তবে তাঁকেও বেশি দূর এগোতে দিলেন না সাইফউদ্দিন। তাঁর শর্ট বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন তানজিদ হাসানের হাতে।
‘বোনাস’ দিলেন রিশাদ
আফগানিস্তান: ৮ ওভারে ৬১/৩
নিজের প্রথম ওভারে এলোমেলো বোলিং করলেন রিশাদ হোসেন। দিলেন ১৬ রান। এর মধ্যে ওয়াইডেই এল ৬ রান। বোনাস নয়তো কী!
সাইফউদ্দিনের ফুল টসে বোল্ড তারাখিল
আফগানিস্তান: ৬ ওভারে ৩৯/৩
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ডেলিভারিটা হালকা সুইং করলেও হয়েছিল ফুল টস। সেটিই সামলাতে ব্যর্থ অনভিজ্ঞ ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল। পাওয়ারপ্লের শেষ বলে তিনি বোল্ড হলেন (১৩ বলে ১১ রান)।
পাওয়ারপ্লের প্রথম ২ ওভারে ২০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিল বাংলাদেশ। পরের ৪ ওভারে বোলাররা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৯ রান নিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
গুরবাজও আউট
আফগানিস্তান: ৪ ওভারে ২৮/২
আফগানিস্তানের দুই ওপেনারকে দ্রুতই বিদায় করল বাংলাদেশ। জাদরানের পর আউট হলেন গুরবাজ (৯ বলে ১২ রান)। নাসুমের ওভারের প্রথম বলে কাট করেছিলেন গুরবাজ। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন শামীম হোসেন।
গুরবাজের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল।
জাদরানকে ফেরালেন শরীফুল
আফগানিস্তান: ৩ ওভারে ২৪/১
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন নাসুম আহমেদ। তাঁর ওভারে ইব্রাহিম জাদরান সিঙ্গেল নেওয়ার পর রহমানউল্লাহ গুরবাজ মেরেছেন দুটি চার।
তবে শরীফুল আবার বোলিংয়ে এসেই বাংলাদেশকে ‘ব্রেকথ্রু’ এনে দিলেন। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে নুরুল হাসানের হাতে ধরা পড়লেন জাদরান (৬ বলে ৭ রান)।
জাদরান আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন সেদিকউল্লাহ আতাল।
শুরুতেই চড়াও আফগানরা
আফগানিস্তান: ১ ওভারে ১১/০
ম্যাচের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন শরীফুল ইসলাম। দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়া শরীফুল আজ ১ ওভারেই দিলেন ১১ রান। আফগান ব্যাটসম্যানদের এ ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মনে হচ্ছে।
বশিরের অভিষেক
আফগানিস্তানও একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে। বাদ পড়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নুর আহমেদ। তাঁর পরিবর্তে অভিষেক হচ্ছে বাঁহাতি পেসার বশির আহমেদের।
আফগানিস্তানের একাদশ: সেদিকউল্লাহ আতাল, ইব্রাহিম জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, দারবিশ রাসুলি, ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, আবদুল্লাহ আহমেদজাই, মুজিব উর রেহমান, বশির আহমেদ।
বিশ্রামে মোস্তাফিজ
বাংলাদেশ এরই মধ্যে সিরিজ জিতে যাওয়ায় আজ নিয়মরক্ষার ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। একাদশে পরিবর্তন এই একটিই। মোস্তাফিজের জায়গা নিয়েছেন আরেক পেসার তানজিম হাসান।
বাংলাদেশের একাদশ: তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, জাকের আলী (অধিনায়ক), নুরুল হাসান, শামীম হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান ও শরীফুল ইসলাম।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতো আজ শেষ ম্যাচেও পরে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী। আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান জানিয়েছেন, তিনি টসে জিতলে আগে ব্যাটিংই করতেন।
বাংলাদেশ–আফগানিস্তান তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে স্বাগতম
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। শারজায় তবু আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য নিছকই আনুষ্ঠানিকতা নয়। আজ যে টি–টোয়েন্টিতে প্রথমবার আফগানদের ধবলধোলাই করার উপলক্ষ। আজ জিতে গেলে জাকের আলীর দল টি–টোয়েন্টিতে প্রথমবার টানা চার ম্যাচও জিতবে আফগানদের বিপক্ষে।