টানা পাঁচ মৌসুম ব্যর্থতার পর সাফল্য, পরাগের বদলে যাওয়ার রহস্য কী

পরাগের এমন বদলে যাওয়ার রহস্য কীএক্স/ রাজস্থান রয়্যালস

আইপিএল খেলছেন সেই ২০১৯ সাল থেকে। সফলতা পাননি। রাজস্থান রয়্যালস অবশ্য রিয়ান পরাগের ওপর থেকে ভরসা হারায়নি। বছরের পর বছর সুযোগ দিয়ে গেছে। পারফরম্যান্সের বিচারে এই মৌসুমের আগের ৫ মৌসুমের মধ্যে তাঁর সেরা মৌসুম ছিল ২০২২ সাল। তা–ও ১৪ ইনিংসে রান করেছিলেন ১৮৩।

অথচ চলতি মৌসুমে ৩ ম্যাচেই এরই মধ্যে রান করেছেন ১৮১। আউট হয়েছেন মাত্র একবার। সেটাও এই মৌসুমে রাজস্থানের প্রথম ম্যাচে ৪৩ রান করে। পরাগের এমন বদলে যাওয়ার রহস্য কী? এমন প্রশ্নে পরাগ কোনো রহস্যের জট খুললেন না, বললেন বেশি কিছু করতে না চাওয়ার সহজ ভাবনাই তাকে বদলে দিয়েছে।

এই মৌসুমে ভিন্ন কী করছেন, এই প্রশ্নে ম্যাচ শেষে পরাগ বলেছেন, ‘কিছুই না, সত্যি বলতে। আসলে অনেক কিছু করতে না চেয়ে সবকিছু সহজ করেছি। এর আগে যখন রান পাচ্ছিলাম না, এই প্রসঙ্গে অনেক বেশি কিছু ভাবছিলাম, ভিন্ন কিছু করতে চাইতাম, যে কারণে কাজ হয়নি। এ বছরে লক্ষ্য ছিল সহজ—বল দেখো ও মারো।’

পরাগের মূলত বদলে যাওয়ার গল্পের শুরু সর্বশেষ সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে। সেই টুর্নামেন্টে ৮৫ গড় আর ১৮২.৭৯ স্ট্রাইকরেটে ৫১০ রান করেছিলেন পরাগ, যা ছিল টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ। সেই টুর্নামেন্টের ফর্মই আইপিএলে নিয়ে এসেছে পরাগ। পরাগ ৫১০ রান করেছিলেন নম্বর চারে নেমে, এবার রাজস্থানও তাকে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছে। যার ফলও তারা পাচ্ছে হাতেনাতে। প্রথম ম্যাচে ২৯ বলে ৪৩ রান করেছেন, এরপরের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৪৫ বলে অপরাজিত ৮৪, ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৪।

আরও পড়ুন

গতকাল ৫৪ রানের ইনিংস খেলার পথে চার নম্বরে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে পরাগের, ‘যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি—এ ধরনের পরিস্থিতেই ব্যাট করতে যাই। যখন জস বাটলার ভাই আউট হন, এরপর অ্যাশ ভাইও ফিরে যান, আমি ভেবেছি এটাই তো আমার কাজ, এটাই তো গত ছয় মাস ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে করে আসছি।’

৩ ম্যাচে পরাগের রান ১৮১
এক্স/রাজস্থান রয়্যালস

বিরাট কোহলির সঙ্গে এখন যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পরাগ। ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের এমন পারফরম্যান্স কঠোর পরিশ্রমের ফলই বলেই জানিয়েছেন তিনি, ‘তিন–চার বছর পর এমন ছিল, পারফর্ম করতে পারিনি। আপনি যখন জানেন আপনি পারেন, কিন্তু পারফরম্যান্স আসছে না। তখন আপনি নতুন করে ভাববেন। খোঁজার চেষ্টা করেছি, কী ভুল ছিল। পরে বুঝতে পেরেছি, এই পর্যায়ের অনুশীলন আমি করছি না। তাই গত মৌসুমের পর কঠোর অনুশীলন করা শুরু করি। আমার মনে হয় তার ফল এখন দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের দ্রুতগতির বলে আমি অনুশীলন করেছি, এমন পরিস্থিতিতে খেলেছি, এরপরই এমন পারফরম্যান্স।’

রাজস্থান রয়্যালসের সহকারী কোচ শেন বন্ডের তো রিয়ান পরাগকে সূর্যকুমার যাদবের মতো মনে হচ্ছে, ‘সে আমাকে কয়েক বছর আগে মুম্বাইয়ে আসা সূর্যকুমার যাদবের কথা মনে করিয়ে দেয়। ও ঠিক সে রকমই—অমিত প্রতিভাধর। খেলোয়াড় হিসেবেও পরিপক্ক হয়েছে, যদিও ওর বয়স মাত্র ২২।’

আরও পড়ুন