৪৮ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙ্গল শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথম ইনিংসে ফিফটি করেছেন ৬ জনপ্রথম আলো

অম্ল-মধুর এক রেকর্ডই গড়ল শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। দলের রান পাঁচ শ ছাড়িয়ে গেলেও শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটসম্যানই সেঞ্চুরি করতে পারেননি। টেস্ট ইতিহাসে এটিই সেঞ্চুরি ছাড়া সর্বোচ্চ দলীয় রান। শ্রীলঙ্কার রেকর্ডে পেছনে পড়ে গেছে ভারতের ৪৮ বছরের পুরোনো কীর্তি। ১৯৭৬ সালের নভেম্বরে কানপুর টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত ৯ উইকেটে ৫২৪ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। বিষেন সিং বেদির নেতৃত্বাধীন দলের হয়ে সেদিন কেউই তিন অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মহিন্দর অমরনাথ। ফিফটি করেছিলেন সুনীল গাভাস্কারসহ আরও ৫ জন।

চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার হয়েও ফিফটি করেছেন ৬ জন। তবে ভারতের মতো সবাই ৭০ রানের মধ্যে আটকে থাকেননি। দুই মেন্ডিস—কুশল আর কামিন্দু নব্বইয়ের ঘরেও পা রেখেছিলেন। কিন্তু কুশল আটকা পড়ে যান ৯৩ রানে, সাকিব আল হাসানের স্পিনে স্লিপে মিরাজের ক্যাচে। কামিন্দু অবশ্য আটকা পড়েননি, সঙ্গীর অভাবেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে অপরাজিত ৯২ রানে।

সিরিজের প্রথম টেস্টে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করা এই বাঁহাতি আজও তিন অঙ্কের ভালো সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ ব্যাটসম্যান আসিতা ফার্নান্দোকে নন স্ট্রাইকে ধরে রাখার চেষ্টা করতে গিয়ে রানআউটের ক্ষেত্র তৈরি করে দেন। তাইজুল আসিতাকে রানআউট করলে ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।

শ্রীলঙ্কার হয়ে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গেছেন দিমুথ করুনারত্নেও। সাবেক অধিনায়ক প্রথম দিনে আউট হন ১২৯ বলে ৮৬ রান করে। অন্যদের মধ্যে অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৭০, দিনেশ চান্ডিমাল ৫৯ এবং নিশান মাদুশকা ৫৭ রান করেন। তবে একজনেরও ইনিংসও বড় না হওয়ার আক্ষেপ শ্রীলঙ্কার থেকেই গেল।

কারও সেঞ্চুরি না পাওয়া যদি শ্রীলঙ্কার জন্য ‘অম্ল’ অভিজ্ঞতা হয়, এতগুলো ব্যাটসম্যানের রান পাওয়া তবে ‘মধুর’ই। ক্রিকেট দলীয় খেলা, একই ম্যাচে বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের অবদান রাখার চিত্র তো আর প্রতি ম্যাচে দেখা যায় না।

ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তো স্বল্প রানের দলীয় ইনিংসেও দেখা যায়। ১৯৭৬ সালে ভারত যে ম্যাচে সেঞ্চুরি ছাড়া ৫২৪ রান তুলেছিল, একই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেই যেমন ২ উইকেটে ২০৮ রানের মধ্যে গুনদাপ্পা বিশ্বনাথ অপরাজিত ছিলেন ১০৩ রানে! ম্যাচটা অবশ্য ড্র হয়েছিল। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্টের ভবিষ্যৎ অবশ্য বোঝা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন