বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর জরিমানা গুনলেন জাদরান
দল পেয়েছে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের ট্রফি, নিজে পেয়েছেন সিরিজসেরার স্বীকৃতি—বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটা মধুরই হয়েছে ইব্রাহিম জাদরানের জন্য। তবে খেলা শেষে আম্পায়ারের প্রতিবেদনে একটি ঘটনায় তিনি ‘দোষী’। ভেঙেছেন খেলোয়াড়দের জন্য অবশ্যপালনীয় আইসিসি আচরণবিধি।
আর তাই আফগান ওপেনারকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি। সঙ্গে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও। আগামী দুই বছরের মধ্যে মোট ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট হলে ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। আজ আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার শারজায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ–আফগানিস্তান তৃতীয় ওয়ানডেতে জাদরান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আউট–পরবর্তী ঘটনায়। আফগানিস্তান ইনিংসের ৩৭তম ওভারে ইকরাম আলীখিলের সঙ্গে ভুল–বোঝাবুঝিতে রান আউট হন জাদরান। তখন তাঁর রান ছিল ৯৫। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও তিনি ৯৫ রান করে আউট হয়েছিলেন।
টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে আউট হওয়াটা কারোরই ভালো লাগার কথা নয়। জাদরানও হতাশা নিয়ে ধীরে ধীরে মাঠ থেকে বেরিয়ে ডাগআউটে গিয়ে রাগে ব্যাট হাত থেকে ছুড়ে ফেলেন। সামনে থাকা একটি চেয়ারে লাথিও দেন। আইসিসি বলছে, জাদরানের এই কাণ্ড খেলোয়াড় ও খেলোয়াড়–সহায়ক কর্মীদের আচরণবিধির ২.২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। এটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন ‘ক্রিকেট সরঞ্জাম বা পোশাক, মাঠের সরঞ্জাম বা স্থাপনা ও ফিটিংসের অপব্যবহারের’ সঙ্গে সম্পর্কিত।
অন-ফিল্ড আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক ও আহমাদ দুররানি, তৃতীয় আম্পায়ার আকবর আলী এবং চতুর্থ আম্পায়ার ইজাতুল্লাহ সাফি জাদরানের বিরুদ্ধে লেভেল ওয়ান অপরাধের অভিযোগ দায়ের করেন। জাদরান অপরাধ স্বীকার করায় ও ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম লাব্রয়ের প্রস্তাবিত শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার হয়নি।
লেভেল ১ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন শাস্তি আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা, আর সর্বোচ্চ শাস্তি হলো খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা ও এক বা দুই ডিমেরিট পয়েন্ট।
যখন কোনো খেলোয়াড় ২৪ মাসের মধ্যে চার বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, তখন সেগুলো সাসপেনশন পয়েন্টে রূপান্তরিত হয় এবং খেলোয়াড় নিষিদ্ধ হন। দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট এক টেস্ট ম্যাচ বা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থেকে নিষেধাজ্ঞার সমান।