বিশ্বরেকর্ড গড়লেন সাকিব, সঙ্গী ইফতিখার

ফরচুন বরিশালের হয়ে জুটিতে রেকর্ড গড়েছেন সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদছবি: শামসুল হক

৪৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ফরচুন বরিশাল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে এরপর ঝড় তুললেন ইফতিখার আহমেদ ও সাকিব আল হাসান। ইফতিখার অপরাজিত ছিলেন ১০০ রানে, ৯টি ছক্কার সঙ্গে মেরেছেন ৬টি চার। ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে সাকিব মেরেছেন ৯টি চার ও ৬টি ছক্কা।

সাকিব ও ইফতিখারের ১৯২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি বিপিএলের রেকর্ড বইয়ে ছাপ রেখেছে ভালোভাবেই।


টি-টোয়েন্টিতে ইফতিখার ও সাকিবের জুটিই এখন পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ছিল বার্মিংহাম বিয়ারসের অ্যাডাম হোসে ও ড্যান মুসলির। ২০২০ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেছিলেন ১৭১ রান।

বিপিএলে এর আগে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ ছিল ১১৫ রান, গত মৌসুমে খুলনার বিপক্ষে সেটি গড়েছিলেন চট্টগ্রামের মেহেদী হাসান মিরাজ ও চ্যাডউইক ওয়ালটন।

ইফতিখারের সেঞ্চুরির উল্লাস
শামসুল হক

১৯২*
বিপিএলে যেকোনো উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি এখন ইফতিখার আহমেদ ও সাকিব আল হাসানের। এখন পর্যন্ত একটিই ২০০ রানের জুটি দেখেছে বিপিএল, ২০১৭ সালে রংপুর রাইডার্সের ক্রিস গেইল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছিলেন ২০১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি, প্রতিপক্ষ ছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। তালিকায় দুইয়ে আছে ২০১৩ সালে খুলনার বিপক্ষে রাজশাহীর লু ভিনসেন্ট ও শাহরিয়ার নাফীসের ১৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।

টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি

২৩৮/৪
বিপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর এখন এটিই। ফরচুন বরিশাল ছুঁয়ে ফেলল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। ২০১৯ সালে এ মাঠেই কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটেই ২৩৮ রান তুলেছিল চট্টগ্রাম। ৪ উইকেটে ২৩৯ রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে রংপুর রাইডার্স, যাদের বিপক্ষে আজ এ স্কোর গড়ল বরিশাল।

আরও পড়ুন

১৩.৩৯
ষষ্ঠ ওভারে শুরু হয়েছিল সাকিব ও ইফতিখারের জুটি। ৮৬ বলে ১৯২ রানের জুটিতে ওভারপ্রতি উঠেছে ১৩.৩৯ রান। বিপিএলে এর চেয়ে দ্রুতগতির শত রানের জুটি আছে মাত্র একটি। ২০১৯ সালে সিলেটের বিপক্ষে ৪৫ বলে ১০৯ রান তুলেছিলেন রাজশাহীর লরি ইভান্স ও রায়ান টেন ডেসকাটে। ওভারপ্রতি উঠেছিল ১৪.৫৩ রান।

৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব
শামসুল হক


এর আগে ইফতিখার খেলেছেন ১৯৭টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আজকের আগে তাঁর সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ৯০ রান, ২০১৫ সালে অ্যাবোটাবাদের বিপক্ষে করেছিলেন পেশোয়ারের হয়ে। আজ পেলেন প্রথম সেঞ্চুরির দেখা।

১০০*
বিপিএলের এ মৌসুমে তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করলেন ইফতিখার। এবার তিনটি সেঞ্চুরিই এল পাকিস্তানিদের ব্যাট থেকে। ৯ জানুয়ারি মিরপুরে প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন খুলনা টাইগার্সের আজম খান। সে ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের উসমান খানও। সব মিলিয়ে বিপিএলের এটি ২৮তম সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরি ক্রিস গেইলের, দুটি করে সেঞ্চুরি আছে তিনজনের—আন্দ্রে ফ্লেচার, এভিন লুইস ও তামিম ইকবালের।

৮৯*
ইফতিখারের মতো সেঞ্চুরি না পেলেও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস খেললেন সাকিব আল হাসানও। এর আগে ৩৮৭ ইনিংসে সাকিবের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল অপরাজিত ৮৬ রানের। ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে ঢাকার বিপক্ষে সেই ইনিংস খেলেছিলেন খুলনার হয়ে। এ মৌসুমে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ৮০ পেরোলেন সাকিব, ১৪ জানুয়ারি কুমিল্লার বিপক্ষে অপরাজিত ছিলেন ৮১ রান করে।