আম্পায়ার্স কল বাদ দিতে বলছেন স্টোকস

আম্পায়ার্স কল বাদ দেওয়ার পক্ষে বেন স্টোকসরয়টার্স

ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) থেকে আম্পায়ার্স কল বাদ দিতে বলছেন বেন স্টোকস। রাজকোট টেস্টের চতুর্থ দিন জ্যাক ক্রলির এলবিডব্লু তাঁদের বিস্মিত করেছে বলেও জানিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।

ইংল্যান্ডের রান তাড়ায় নবম ওভারে যশপ্রীত বুমরার বলে এলবিডব্লু হন ক্রলি। বেশ সময় নিয়ে তাঁকে আউট দেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। সে সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন ক্রলি। তবে ডিআরএসে দেখায় আম্পায়ার্স কল—বল ছুঁয়ে যেত লেগ স্টাম্পের শীর্ষ। মাঠ ছাড়ার আগে অসন্তোষও প্রকাশ করেন ক্রলি। সিরিজে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন সূক্ষ্ম সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেল ইংলিশ ওপেনারের। এর আগে বিশাখাপট্টনমে কুলদীপ যাদবের বলে তাঁর বিপক্ষে এলবিডব্লুর রিভিউ নিয়ে সফল হয়েছিল ভারত। সে সময় ওই সিদ্ধান্তকে ভুল বলেছিলেন স্টোকস

আজ ম্যাচ হারের পর ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর সঙ্গে কথাও বলতে দেখা গেছে স্টোকস ও কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। এ প্রসঙ্গে ম্যাচের পর স্টোকস বলেছেন, ‘আমরা জ্যাকের ডিআরএস নিয়ে পরিষ্কার হতে চাইছিলাম, যখন ছবি এল। রিপ্লেতে বল পরিষ্কারভাবেই স্টাম্প মিস করে যাচ্ছিল। ফলে যখন আম্পায়ার্স কল হলো এবং বল স্টাম্পে লাগেওনি আদতে, আমরা বিস্মিত হয়েছি। ফলে হক-আইয়ের কাছ থেকে আমরা ব্যাখ্যা চেয়েছি শুধু।’

জ্যাক ক্রলির বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদন করছেন যশপ্রীত বুমরা, রাজকোট টেস্টে
রয়টার্স

ডিআরএসের অন্যতম বল ট্র্যাকিংয়ের প্রযুক্তি সরবরাহকারী হক-আইয়ের কাছ থেকে উত্তরও পেয়েছেন স্টোকসরা। কী, সেটি তিনি জানিয়েছেন এভাবে, ‘বলা হয়েছে, সংখ্যা, তা যা-ই হোক না কেন, বলা হয়েছে এটি স্টাম্পে লাগত কিন্তু প্রজেকশনটা (অনুমানকৃত গতিপথ) ভুল ছিল। আমি জানি না এর অর্থ কী। কিছু একটা ভুল হয়েছে।’

এরপর স্টোকস বলেন, ‘এমন নয় যে এখানে যা (ফল) ঘটেছে, আমি তাতে এর দায় দিচ্ছি, যেমন গত সপ্তাহেও দিইনি। শুধু (বলছি)…হচ্ছেটা কী?’

আরও পড়ুন

এ সিরিজে রাজকোটের প্রথম ইনিংসে ওলি পোপের আউট নিয়েও অসন্তুষ্ট ইংল্যান্ড। মোহাম্মদ সিরাজের বলে তাঁকে শুরুতে আউট না দেওয়া হলেও পরে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। কারণ, লেগ স্টাম্পে ইমপ্যাক্টকে যথেষ্ট মনে করা হয়েছিল। ইংল্যান্ড সে সময় ভেবেছিল, মাঠের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে।

স্টোকস আবারও বলেছেন, এমন হারে সিরিজে পিছিয়ে যাওয়ার কারণ ক্রলির ওই আউট নয়। তবে আম্পায়ার্স কলের এ পদ্ধতি বদলানো উচিত বলে মনে করেন তিনি, ‘এমন কিছুকে আপনি ম্যাচের ফলের কারণ হিসেবে বলবেন না। মাঝেমধ্যে অমন সিদ্ধান্ত বিপক্ষে যাবে, তবে খেলার অংশ সেটি। আপনি চাইবেন এগুলো আপনার পক্ষে আসুক। মাঝেমধ্যে আসবে, মাঝেমধ্যে আসবে না।’

আরও পড়ুন

এরপর স্টোকস বলেন, ‘আপনি একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) চাইবেন। আম্পায়াররা অনেক কঠিন কাজ করেন, বিশেষ করে ভারতে যখন বল ঘুরছে। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, বল যদি স্টাম্পে লাগছে তো লাগছে। সত্যি কথা যদি বলতে বলেন, আম্পায়ার্স কল সরিয়ে নেওয়া উচিত। বেশি কিছু বলতে চাই না। কারণ, শুনে মনে হবে মায়াকান্না করছি যে এ কারণেই টেস্ট ম্যাচটি হেরেছি।’