- বোলিংয়ে বাংলাদেশ
- ৪ পেসারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- বাংলাদেশ একাদশ
- মেডেন ওভারে শুরু টেস্ট সিরিজ
- কে পাবেন উইকেট?
- তাসকিন দিলেন প্রথম উইকেট
- সফট ডিসমিসাল!
- এবারও বেঁচে গেলেন লুইস
- বাংলাদেশের সেশন
- মধ্যাহ্ন বিরতির পর সাবধানী লুইস–হজ
- ফিরলেন হজ
- আকাশে ওঠা বল মাটিতে পড়ল নিরাপদে
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০০
- চা বিরতির আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেটে ১১৬
- ৫০ রানের জুটি...
- তৃতীয় সেশনে রানের গতি বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- অ্যাথানেজের ৫০ এবং মিরাজের ‘বাটার ফিঙ্গার’
- লুইস-অ্যাথানেজ জুটির ১০০
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০০
- সেই মিরাজই ফেরালেন লুইসকে, সেঞ্চুরি হলো না
- সুইপই কাল হলো অ্যাথানেজের, সেঞ্চুরি হলো না
- প্রথম দিনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে ২৫০
- হাসানের প্রথম উইকেট
- রোচ-গ্রিভসের প্রতিরোধ
- সংগ্রহ বড় করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- জীবন পেলেন গ্রিভস
- রোচের বিদায়, গ্রিভসের প্রথম সেঞ্চুরি
- ১০ বছরের মধ্যে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজের
- জীবন পেলেন মাহুমুদুল
- প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
- মাহমুদুল হাসানেরও বিদায়
- বাংলাদেশের সুযোগ হারানোর দিন
- তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ
- বড় জুটির সম্ভাবনা জাগিয়ে আউট মুমিনুল
- সতর্ক লিটন–মিরাজ
- ফিরলেন লিটনও
- মুমিনুল–লিটনে আশাভঙ্গের সেশন
- ফাঁদ পেতে মিরাজ শিকার আলজারি জোসেফের
- জাকের–তাইজুলে প্রতিরোধ
- সপ্তম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
- জাকেরের ফিফটি
- হাসান মাহমুদের বিদায়
- অলআউট হয়নি বাংলাদেশ
- ২৬৯ রানেই ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের
- ব্রাফেটকে জীবন দিলেন শাহাদাত
- রিভিউ না নেওয়ার মূল্য দিল বাংলাদেশ
- প্রথম উইকেট পেল বাংলাদেশ
- তাসকিনের দ্বিতীয় আঘাত
- তৃতীয় উইকেট এনে দিলেন শরীফুল
- হজকে ফেরালেন তাসকিন
- মিরাজের শিকার অ্যাথানেজ
- দুর্দান্ত তাসকিন, এবার বোল্ড গ্রিভস!
- সিলভাকে ফেরালেন তাইজুল
- মিরাজের শিকার আলজারি জোসেফ
- শামার জোসেফকে বোল্ড করে তাসকিনের ৫
- বাংলাদেশকে ৩৩৪ রানের লক্ষ্য দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- প্রথম ওভারেই রোচের শিকার জাকির
- ক্যাচিং অনুশীলন শিখিয়ে ফিরলেন মাহমুদুল
- রিভিউ নিয়ে শাহাদাতকে ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- ২ বার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ মুমিনুল
- ফিল্ডারদের ‘মাখন মাখানো’ হাত
- দুই জোসেফের যুগলবন্দীতে আউট লিটন
- বাংলাদেশকে টানছেন মিরাজ–জাকের
- ‘বাজপাখি’ হয়ে মিরাজকে স্তব্ধ করে দিলেন ডা সিলভাক
- সিলসের বলে বোল্ড তাইজুল
- আলোক স্বল্পতায় চতুর্থ দিনের খেলা শেষ
- রেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- শেষ দিনে কতক্ষণ টিকবে বাংলাদেশ
- চার স্লিপ নিয়ে শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের
- যে ভয় পাওয়া হয়েছিল সেটাই হলো!
- জাকের আউট, আর ১টি উইকেট চাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের
- শরীফুল রিটায়ার্ড হার্ট, ২০১ রানে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- পঞ্চম দিনটা আনুষ্ঠানিকতার, বাংলাদেশ হেরেছে তো চতুর্থ দিনেই!
বোলিংয়ে বাংলাদেশ
অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টে স্বাগতম!
টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই টেস্টে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই মাঠে সর্বশেষ দুই টেস্টের দুটিরই প্রথম ইনিংসে যথাক্রমে ১০৩ ও ৪৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এবার কী করবে মেহেদী হাসান মিরাজের দল?
৪ পেসারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ক্রেইগ ব্রাফেট (অধিনায়ক), জশুয়া ডি সিলভা, অলিক আথানেজ, কিসি কার্টি, জাস্টিন গ্রেভস, কাভেম হজ, আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, মিকাইল লুইস, কেমার রোচ, জেইডেন সিলস
বাংলাদেশ একাদশ
মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, শাহাদত হোসেন, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম
মেডেন ওভারে শুরু টেস্ট সিরিজ
নতুন বলে শুরুটা করেছেন হাসান মাহমুদ। একের পর এক আউট সুইংয়ে ব্রাফেটকে প্রথম ওভারে কঠিন সময়ও দেওয়া গেছে। অন্য প্রান্ত থেকে নতুন বলে আক্রমণে এসেছেন শরীফুল ইসলাম।
উইকেটবিহীন, তবু দুর্দান্ত শুরু
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের প্রথম বাউন্ডারি পেল পঞ্চম ওভারে। হাসান ও শরীফুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অবশ্য বাউন্ডারি মারার সুযোগই ব্রাফেট ও লুইস পাননি। ভাগ্য সঙ্গ দিলে হাসান–শরীফুল উইকেটও পেতে পারতেন। তবে ব্যাটসম্যানদের বারবার পরাস্থ করেও উইকেট পাননি তারা।
৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান বিনা উইকেটে ৯।
কে পাবেন উইকেট?
নতুন বলের চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছেন ব্রাফেট–লুইস। ভালো বোলিং করলেও ১০ ওভারে বাংলাদেশকে কোনো উইকেট দিতে পারেনি বাংলাদেশের পেসাররা।
১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান বিনা উইকেটে ২২।
তাসকিন দিলেন প্রথম উইকেট
আগের বলটি করেছিলেন শর্ট। এবার তাসকিন করলেন ফুল লেংথে স্টাম্প বরাবর। বলটি কিছুটা ভেতরে ঢুকলে লাগে ব্রাফেটের প্যাডে। আবেদন করতেই আউট দেন আম্পায়ার। ব্রাফেট রিভিউ নিলেও সফল হননি। ৩৮ বলে ৪ রান করেছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১ উইকেটে ২৫।
সফট ডিসমিসাল!
মিডল–লেগ স্টাম্পে করা তাসকিনের বলটিতে ফ্লিক করতে চাইলেন কিচি কার্টি। এজ হয়ে বল যায় মিড উইকেটে থাকা তাইজুল ইসলামের হাতে। ফিরলেন ০ রানে। এর আগে ব্রাফেটকেও আউট করেছেন তাসকিন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ২৭।
এবারও বেঁচে গেলেন লুইস
বারবার পরাস্থ হয়েছেন। তবে বল একবারও ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যায়নি। হাসানের বোলিংয়ে এবার হলো এজ, তবে সেটা স্লিপের মাথার ওপর দিয়ে হলো চার। ৩৬ রানে ব্যাটিং করছেন লুইস।
২২ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫০/২।
বাংলাদেশের সেশন
প্রথম সেশনকে দুই অংশে ভাগ করা যায়। যার প্রথমটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। আর দ্বিতীয়টি বাংলাদেশের।
দারুণ বোলিংয়ের পরও প্রথম ঘণ্টায় উইকেট পাননি তাসকিনরা। বারবার ব্যাটসম্যান পরাস্থ করেছেন। তবে ভাগ্য সঙ্গে দেয়নি। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট পেয়েছে ইনিংসের ১৪তম ওভারে। সেই ওভারে ব্রাফেটকে ফেরান তাসকিন। নিজের পরের ওভারে তাসকিন আউট করেন কিচি কার্টিকেও। তিনি ফেরেন খালি হাতে।
প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৩ ওভার। ২ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর সাবধানী লুইস–হজ
দ্বিতীয় সেশনে এরই মধ্যে আরও ৭ ওভার খেলা হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশ আর উইকেট ফেলতে পারেনি। তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ দুই প্রান্ত থেকে দারুণ বোলিং করে চলেছেন। তাঁদের বল বুঝেশুনে সামলিয়ে জুটি বড় করার চেষ্টায় মিকাইল লুইস (৪৬*) ও কাভেম হজ (১৩*)।
৩০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ৬৬।
ফিরলেন হজ
মিরাজের বলটি লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে প্রথম রানটি দ্রুত নিয়ে দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটেছিলেন কেভন হজ। কিন্তু ফাইন লেগ থেকে তাইজুলের থ্রো ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন লিটন দাস। আউট হয়েন ফেরেন হজ, ৬৩ বলে ২৫ রানে তাঁর ইনিংস। একই সঙ্গে ভাঙল ১৩০ বলে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ৮৪।
আকাশে ওঠা বল মাটিতে পড়ল নিরাপদে
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন অ্যালিক অ্যাথানেজ। বল উঠে যায় আকাশে। মিড অনে ক্যাচ ধরার জন্য দৌড়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু অ্যাথানেজের ভাগ্য ভালো, বাতাস বলটি উড়িয়ে নিয়ে যায় তাসকিনের নাগালের বাইরে। বেঁচে যান তিনি।
৪৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ৯৬।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০০
চতুর্থ উইকেটে সাবধানি ব্যাটিং করছেন লুইস ও অ্যাথানেজ। ৭৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ২০ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। এই জুটিতে দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৫১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১০। তাসকিনের করা ৫১তম ওভারের শেষ বলে স্ট্রেট দিয়ে দারুণ চার মারেন লুইস।
চা বিরতির আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩ উইকেটে ১১৬
দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ৩১ ওভার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই সেশনে ৬৬ রান তুলেছে। বাংলাদেশ নিয়েছে ১টি উইকেট। ৩৭.৩ ওভারে কাভেম হজ রান আউট হন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুশি হবে মিকাইল লুইসের ব্যাটিংয়ে। ওপেনিংয়ে নেমে এখন পর্যন্ত ১৬৬ বল খেলে ৭১ রানে অপরাজিত লুইস। চতুর্থ উইকেটে অ্যাথানেজকে সঙ্গে নিয়ে ৯৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩২ রানের জুটি গড়েছেন লুইস। আজ প্রথম দিনে শেষ সেশনেও দুজনের কাছ থেকে জমাট ব্যাটিং চাইবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের বোলাররা এই সেশনে তেমন সাফল্য না পেলেও ভালো লাইন-লেংথে বোলিং করেছেন। এখন পর্যন্ত মোট ৫৪ ওভারের খেলা হয়েছে।
৫০ রানের জুটি...
চা বিরতির পর উইকেটে নিতে তৃতীয় সেশনের শুরুতে শরীফুল ও হাসান মাহমুদকে আক্রমণে নিয়ে এসেছিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু উইকেটের দেখা মেলেনি। উল্টো দ্বিতীয় ওভারে হাসানকে দুটো চার মেরেছেন অ্যাথানেজে। বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে তাঁকে। লুইস অন্য প্রান্তে ঠান্ডা মাথায় সেঞ্চুরির খোঁজ করছেন। চতুর্থ উইকেটে এরই মধ্যে তাঁদের জুটি ‘ফিফটি’ পেরিয়ে গেছে। অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। অ্যাথানেজ ৩৪ ও লুইস ৭৬ রানে ব্যাট করছেন। তবে মিরাজের করা ৬০তম ওভারে অ্যাথানেজে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুললেও বল পড়েছে উইকেটকিপার লিটন দাসের বেশ পেছনে। নিরাপদ!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৪৫।
তৃতীয় সেশনে রানের গতি বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রথম সেশনে ওভারপ্রতি গড়ে ২.১৭ করে রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় সেশনে আরও ধীর গতিতে রান তুলেছে স্বাগতিকেরা। এই সেশনে ওভারপ্রতি গড় রান ২.১২। দেখে মনে হচ্ছিল আশি-নব্বই দশকের টেস্ট ক্রিকেট বুঝি ফিরে এসেছে! কিন্তু তৃতীয় সেশনে পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। এই সেশনে এখন পর্যন্ত খেলা ৯ ওভারে রান উঠেছে ৫২। অর্থাৎ এ সময় ওভারপ্রতি গড়ে রান উঠেছে ৫.৭৭!
লুইস ও অ্যাথানেজ দুজনেই সুযোগ বুঝে আক্রমণাত্বক ব্যাট করছেন। শরীফুল উইকেট নিতে ফুল লেংথে বোলিং করেছেন তৃতীয় সেশনে নিজের প্রথম স্পেলে। চার হজম করতে হয়েছে। মিরাজ বাতাসে বল ভাসিয়েছেন। ফল? লুইস ডাউন দ্য উইকেট এসে ছক্কা মেরেছেন। দুজনের জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ৮৫ রান।
লুইস ৮৬ ও অ্যাথানেজে ৪৮ রানে ব্যাট করছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৬৮।
ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে ইয়ান বিশপ ও কার্টলি অ্যামব্রোসের পরামর্শ, শুধু স্লিপ নয়, গালি ও ব্যাক্ওয়ার্ড পয়েন্ট রেখে বোলিং করা উচিত বাংলাদেশের পেসারদের। তাতে ব্যাটসম্যানরা ফুল লেংথে ড্রাইভ করতে গেলে ক্যাচের সুযোগ বাড়বে।
অ্যাথানেজের ৫০ এবং মিরাজের ‘বাটার ফিঙ্গার’
৬৫তম ওভারে তাইজুলের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে টেস্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন অ্যাথানেজে।
পরের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন লুইস (৯০ রানে)। অধিনায়ক মিরাজ সহজ ক্যাচটি হাতে রাখতে পারেননি। অবিশ্বাস্য! রিফ্লেক্স ভালো না থাকায় বলটি হাতে রাখতে ডাইভ দিয়ে পড়ে গিয়েও পারেননি। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে অ্যামব্রোসেরও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না। ক্যাচটি নেওয়া উচিত ছিল।
এই ওভারের পঞ্চম বলে লুইসের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ক্যাচের আবেদনে মাঠের আম্পায়ার সাড়া দেননি। তৃতীয় আম্পায়ারও ভিডিও রিপ্লে দেখে একই মত দেওয়ায় রিভিউটি নষ্ট হলো বাংলাদেশের।
লুইস-অ্যাথানেজ জুটির ১০০
তাইজুলের করা ৬৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ২টি রান নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০০ রান পেরিয়ে গেলেন লুইস ও অ্যাথানেজ। এ পর্যন্ত ১০৩ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৭।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০০
তাসকিনের করা ৭১তম ওভারের প্রথম দুই বলেই চার মেরে দলীয় স্কোর ২০০ পার করলেন অ্যাথানেজ। ক্রিজে তাঁর সঙ্গে জমে গেছেন লুইস। দ্রুত রান তুলছেন দুজনেই। শেষ সেশনে এ পর্যন্ত ১৭ ওভারের খেলা হয়েছে। এ সময়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৮ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। লুইস ও অ্যাথানেজ ওভারপ্রতি গড়ে ৫.১৭ করে রান তুলেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭১ ওভার শেষৈ ৩ উইকেটে ২০৪। লুইস ৯৫ ও অ্যাথানেজ ৭১ রানে ব্যাট করছেন।
সেই মিরাজই ফেরালেন লুইসকে, সেঞ্চুরি হলো না
লুইস ৯০ রানে থাকতে স্লিপে তাঁর ক্যাচ ছেড়েছিলেন মিরাজ। লুইস ৯৭ রানে তাঁকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন সেই স্লিপেই। এবার স্লিপে শাহাদাত হোসেন ক্যাচটি ধরায় প্রায়শ্চিত্ত করতে পারলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৭৫তম ওভারে দ্বিতীয় বলে লুইসের উইকেটটি পেলেন মিরাজ। ২১৮ বল খেলেছেন এই ওপেনার।
লুইস ভুগেছেন নার্ভাস নাইন্টিজের চাপে। ৬৪তম ওভারে এই ওপেনারের রান যখন ৯০, অ্যাথানেজ অন্য প্রান্তে তখন ৪৯ রানে অপরাজিত। লুইস এই পথে নিজের স্কোরে আরও ৭ রান যোগ করার সময় অ্যাথানেজ পৌঁছেছেন ৮৯ রানে! প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য বেশ অধৈর্যই হয়ে পড়েছিলেন লুইস। ৯০ পেরিয়ে বেশ কিছু আলগা শট খেলেছেন। আউটও হলেন তেমন এক শটেই। এর মধ্যে দিয়ে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১৪০ রানের জুটিও ভাঙল। ২২১ বলের এ জুটিতে লুইসের অবদান ১০২ বলে ৪৫। অ্যাথানেজের ১১৯ বলে ৮৯।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান জাস্টিন গ্রিভস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৭ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৭।
সুইপই কাল হলো অ্যাথানেজের, সেঞ্চুরি হলো না
আরেকটি নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার! আরেকটি উইকট! ম্যাচের রং কত দ্রুত পাল্টায়!
লুইস-অ্যাথানেজ জুটির ব্যাটিংয়ের সময় ম্যাচে বেশ পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। দুজনেই সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন। কিন্তু ৭৪.২ ওভারে লুইস ৯৭ রানে আউট হওয়ার ১৯ বল পর অ্যাথানেজও ব্যক্তিগত ৯০ রানে আউট হওয়ায় ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ। উল্টো চাপে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৩০ বলে ৯০ রানে আউট হওয়ার আগে সুইপ ও রিভার্স সুইপে বেশ কিছু রান করেন অ্যাথানেজ। নার্ভাস নাইন্টিজের চাপ কাটিয়ে উঠতেই সম্ভবত ৭৭.৪ ওভারে তাইজুলকে সুইপ করার চেষ্টা করেছিলেন অ্যাথানেজ। ঠিকমতো খেলতে পারেননি। বল উইকেটকিপার লিটন দাসের মাথার ওপর ওঠায় সহজ ক্যাচ নিয়েছেন। ক্যারিয়ারের ১০ম টেস্ট খেলতে নামা অ্যাথানেজ তাঁর সর্বশেষ ৪ ইনিংসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন। টেস্টে এখনো প্রথম সেঞ্চুরির অপেক্ষাটা তাঁর বাড়ল।
ক্রিজে গ্রিভসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নতুন ব্যাটসম্যান জশুয়া দা সিলভা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩৫। নতুন বল নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে ২৫০
৮৪তম ওভারের খেলা শেষে হালকা বৃষ্টি নামছিল। মাঠের দুই আম্পায়ার দিনের আলো নিয়ে্ও সন্তুষ্ট ছিলেন না। প্রথম দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন তাঁরা।
প্রথম সেশনে ২৩ ওভারের খেলা হয়েছে। এ সময়ে ২ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় সেশনে খেলা হয়েছে ৩১ ওভারের, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১টি উইকেট হারিয়ে এ সময় তুলেছে ৬৬ রান। শেষ সেশনে ৩০ ওভারে আরও ২টি উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম সেশনে ওভারপ্রতি গড়ে রান উঠেছে ২.১৭। দ্বিতীয় সেশনে ২.১৩ এবং তৃতীয় সেশনে সবচেয়ে বেশি, ওভারপ্রতি গড়ে এ সময় ৪.৪৭ করে রান উঠেছে।
প্রথম দিনটি কোনো দলের একার বলার সুযোগ নেই। জোর দিয়ে বলারও সুযোগ নেই যে, বাংলাদেশ অথবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম দিন শেষে এগিয়ে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুযোগ ছিল প্রথম দিনেই বাংলাদেশকে বেশ পেছনে ফেলার। চতুর্থ উইকেটে ১৪০ রানের জুটি গড়েছিলেন অ্যাথানেজ ও লুইস। দুজনেই সেঞ্চুরি পেতে পারতেন। কিন্তু শেষ সেশনে ২০ বলের মধ্যে লুইস ৯৭ ও অ্যাথানেজ ৯০ রানে আউট হওয়ায় ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। বলা ভালো, ওয়েস্ট ইন্ডিজই সেই সুযোগটা তৈরি করে দিয়েছে। কারণ অ্যাথানেজ ও লুইস দুজনেই বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন, আরও পরিস্কার করে বললে, তাঁরা উইকেট দিয়েছেন। জশুয়া দা সিলভা ১৪ ও গ্রিভস ১১ রানে ক্রিজে অপরাজিত।
প্রথম সেশনের মাঝ পথে নিজের টানা দুই ওভারে বাংলাদেশকে ২টি উইকেট এনে দেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ১৪তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাফেটকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলার পর ১৬তম ওভারে ফিরিয়েছেন কিচি কার্টিকে। মিড অনে তাইজুলের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন কার্টি।
তৃতীয় উইকেটে কাভেম হজ ও লুইস ১৩০ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। ৩৭.৩ ওভারে হজ রান আউট হওয়ায় ভেঙেছে এই জুটি। আগামীকাল দ্বিতীয় দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করতে চাইবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নেন তাসকিন। ১টি করে উইকেট তাইজুল ও মিরাজের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৮৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২৫০ (লুইস ৯৭, অ্যাথানেজ ৯০, হজ ২৫, সিলভা ১৪*, গ্রিভস ১১, ব্রাফেট ৪, কার্টি ০; তাসকিন ২/৪৬, মিরাজ ১/৪৭, তাইজুল ১/৬৭, শরীফুল ০/২৭ ও হাসান ০/৫৪)।---প্রথম দিন শেষে।
হাসানের প্রথম উইকেট
গতকাল টেস্টের প্রথম দিনে দুর্দান্ত বোলিং করেও হাসান মাহমুদ ছিলেন উইকেটশূন্য। আজ অবশ্য দিনের প্রথম ওভারেই উইকেট পেলেন বাংলাদেশের পেসার। এলবিডব্লু করে ফিরিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জসুয়া দা সিলভাকে।
৮৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৬ উইকেটে ২৫৩।
হাসানের আরেকটি উইকেট
নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট নিলেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশের পেসারের বলে গালিতে ক্যাচ তোলেন আলজারি জোসেফ। জাকির হাসান ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৬১/৭।
আম্পায়ার্স কলে বেঁচে গেলেন কেমার রোচ
হাসান মাহমুদের ওভারের শেষ বলটা ছিল ফুলার লেংথে। ফ্লিক করতে চেয়ে পারেননি রোচ, প্যাডে লাগে বল। এলবিডব্লুর জন্য জোরালো আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার না বলে দেওয়ার পর রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। দেখা গেল, বল লেগ স্টাম্পে আঘাত হানত। তবে আম্পায়ার্স কলে বেঁচে গেলেন রোচ।
৮৮ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৭ উইকেটে ২৬৮
রোচ-গ্রিভসের প্রতিরোধ
প্রথম ঘন্টায় ২ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধাক্কা সামলে নিয়েছে কেমার রোচ ও জাস্টিন গ্রিভসের জুটিতে। দুজন মিলে কাটিয়ে দিয়েছেন ১৪ ওভারের বেশি। এরই মধ্যে ৮৮ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩৩৬/৭।
বাংলাদেশকে হতাশ করে ক্যারিয়ার–সর্বোচ্চ রান গ্রিভসের
২ টেস্টের ৪ ইনিংসে ৬৮ রান। অ্যান্টিগায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট এই পরিসংখ্যান নিয়েই খেলতে নেমেছিলেন জাস্টিন গ্রিভস। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অলরাউন্ডার সেই রান ছাড়িয়ে গেলেন এক ইনিংসেই। বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করে ৬৯ রানে ব্যাট করছিলেন গ্রিভস। দিনের প্রথম তিন ওভারে ২ উইকেট হারানোর পর কেমার রোচকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৮১ রান যোগ করে ফেলেছেন গ্রিভস। টেস্টে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ জুটি এটি। আগের রেকর্ড ৫৯ রানের, ২০০৯ সালে গ্রেনাডায় ট্রাভিস ডাউলিন ও রায়ান অস্টিনের। দ্বিতীয় সেশনের তিন ওভার শেষে ক্যারিবীয়দের রান ৩৪২/৭।
সংগ্রহ বড় করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
অ্যান্টিগা টেস্টে দারুণ এক জুটিতে রান বাড়াচ্ছেন জাস্টিন গ্রিভস ও কেমার রোচ জুটি। এই দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১১৮ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৫৮।
জীবন পেলেন গ্রিভস
১১৯তম ওভারে তাসকিনের শর্ট বল গ্রিভসের (৭৮) ব্যাটের কানায় লেগে জমা হয় বদলি উইকেটরক্ষক জাকেরর গ্লাভসে। কিন্তু আপিল করেনি বাংলাদেশ, জীবন পেলেন গ্রিভস। রিভিউ নিয়ে জুটি ভাঙার নিশ্চিত সুযোগ হেলায় নষ্ট করল বাংলাদেশ।
গ্রিভস–রোচ জুটির ১০০ পার
২৬১ রানে ৭ম উইকেটে হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তখন স্বাগতিকদের তিন শ রানও মনে হচ্ছিল দূরের বাতিঘর। কিন্তু এরপরই দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গ্রিভস–রোচ জুটি। এ জুটিতেই ৩৫০ পেরিয়ে গেল উইন্ডিজ। সঙ্গে দুজনের জুটিও পেরোল ১০০। ১২২ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৬৪ রান।
হতাশা নিয়েই ড্রিংকস বিরতিতে বাংলাদেশ
লাঞ্চের পরের সময়টা হতাশাতেই কাটছে বাংলাদেশের। গ্রিভস–রোচ জুটি অনেক চেষ্টা করেও ভাঙতে পারছেন না তাসকিন–মিরাজরা। এর মধ্যে অবশ্য নিজেরা বড় ভুলও করেছেন। তাসকিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন গ্রিভস। কিন্তু আউটের জন্য আবেদনই করেনি বাংলাদেশ। বিরতিতে যাওয়ার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১২৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৭০। গ্রিভস ৮৩ ও রোচ ৩১ রানে অপরাজিত আছেন।
বিরতির পর বৃষ্টি
ড্রিংকসের পরপরই অ্যান্টিগায় বৃষ্টির আগমন। মাত্র ১ ওভার পরেই বন্ধ হয়ে গেছে খেলা। এই ওভারে কেবল ১ রান যোগ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১২৫ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৭১।
ক্ষণিকের বৃষ্টি
বৃষ্টি এল আর গেল। কয়েক মিনিটের পর আবার শুরু খেলা। সংগ্রহ বাড়িয়েই চলেছেন গ্রিভস–রোচ জুটি। স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১২৬ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৭৬।
মিরাজের ব্যর্থ রিভিউ
১৩০তম ওভারে গ্রিভসের বিপক্ষে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়েছিলেন মিরাজ। যদিও সেই রিভিউ কাজে লাগেনি। হতাশাই সঙ্গী হলো বাংলাদেশের। ১৩০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৮৬।
সেঞ্চুরির পথে গ্রিভস, ফিফটির পথে রোচ
তিন ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে জাস্টিন গ্রিভস, ৮৩ ম্যাচের ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি থেকে রোচও ৩ রান দূরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০০/৭।
রোচের বিদায়, গ্রিভসের প্রথম সেঞ্চুরি
কেমার রোচকে বোল্ড করে রেকর্ড ১৪০ রানের জুটি ভেঙেছেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে অষ্টম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ জুটি। গ্রিভস–রোচ ভেঙেছেন জিম্বাবুয়ের ট্র্যাভিস ফ্রেন্ড ও হিথ স্ট্রিকের রেকর্ড। ২০০১ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ১০৮ করেছিলেন ফ্রেন্ড–স্ট্রিক জুটি।
রোচ ৩ রানের জন্য ফিফটি না পেলেই তাঁর ফেরার পরের ওভারের প্রথম বলেই তাইজুল ইসলামকে ৪ মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন গ্রিভস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৪০৮/৮।
বাংলাদেশের হতাশার সেশনে, গ্রিভসের সেঞ্চুরির আনন্দ
৮ উইকেটে ৪১৫ রান তুলে অ্যান্টিগা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে জাস্টিন গ্রিভস ১০৯ ও কেমার রোচ ফেরার পর উইকেটে আসা জেইডেন সিলস অপরাজিত ১ রানে।
সেশনে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য এনে দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। কেমার রোচকে বোল্ড করে ইনিংসে নিজের তৃতীয় উইকেট পেলেন এই পেসার। ৩টি উইকেটই হাসান পেয়েছেন আজ।
১০ বছরের মধ্যে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজের
৮ উইকেটে ৪২৮ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৪ সালের পর ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়রদের এটাই দলীয় সর্বোচ্চ। ১০ বছর আগে সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশের বিপক্ষেই ৪৮৪ রান করে ইনিংস ছেড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মিরাজের দ্বিতীয় শিকার সিলস
ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কা মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসটা পেয়ে গিয়েছিলেন জেইডেন সিলস। ১৮ রান করা সিলস পরে আবারও উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাসান মাহমুদের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হন। অনেকটা পেছনে দৌঁড়ে কাউ কর্নারে ক্যাচটি নিয়েছেন হাসান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৪০/৯।
৪৫০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের
৫ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ ১১ রান যোগ করতেই হারিয়ে ফেলে আরও ২ উইকেট। এরপর বাংলাদেশকে হতাশ করে সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস ঘোষণা করেছে ৯ উইকেটে ৪৫০ রান তুলে। ২০১৪ সালের পর ঘরের মাঠে ক্যারিবীয়দের এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস।
জাস্টিন গ্রিভস ও কেমার রোচের রেকর্ড অষ্টম উইকেট জুটিই মূলত ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। ১৪০ রান এসেছে তাঁদের জুটিতে। রোচ ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে হাসান মাহমুদের তৃতীয় শিকার হলেও তিন টেস্টের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করার পর ১১৫ রানে অপরাজিত থেকে ড্রেসিংরুমে ফেরেন।
জীবন পেলেন মাহুমুদুল
৫ রানের মাথায় জীবন পেলেন মাহমুদুল হাসান। আলজারি জোসেফের বলে গালিতে ক্যাচ তুলেছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার। মিকাইল লুইস ফেলেন দেন ক্যাচটি। সাবধানে শুরু করা বাংলাদেশের স্কোর ২০/০।
প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
জেইডেন সিলসকে তিনটি চার মারার পর বাংলাদেশের ওপেনার জাকির হাসান কাটা পড়লেন সিলসের বলেই। সিলসের করা লাফিয়ে ওঠা একটি বল জাকিরের ব্যাটে লেগে ভেঙে দেয় উইকেট। ৩৪ বলে ১৫ রান করেছেন জাকির। বাংলাদেশের স্কোর ১০ ওভারে ২০/১।
মাহমুদুল হাসানেরও বিদায়
আলজারি জোসেফের করা আগে ওভারে গালিতে ক্যাচ তুলেও মিকাইল লুইয়ের ব্যর্থতায় বেঁচে গিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান। আলজারির পরের ওভারে আর পার পেলেন না বাংলাদেশ ওপেনার। এবার দ্বিতীয় স্লিপে অ্যালিক অ্যাথানেজের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় মাহমুদুলের। ৩৩ বলে ৫ রান করেছেন এই ওপেনার। দুই ওভারে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের স্কোর ২১/২।
বাংলাদেশের সুযোগ হারানোর দিন
কী দারুণ শুরুই না এনে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশের পেসার দিনের প্রথম তিন ওভারের মধ্যে তুলে নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২ উইকেট। তাতে ৫ উইকেটে ২৫০ থেকে দেখতে না দেখতেই ২৬১/৭ হয়ে যায় ক্যারিবীয়দের স্কোর। সেখান থেকেই বাংলাদেশকে হতাশ করে ৯ উইকেটে ৪৫০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা। তাতে সবচেয়ে বড় অবদান জাস্টিন গ্রিভসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন ১১৫ রানে। ১৪০ রানের রেকর্ড অষ্টম উইকেটে তাঁর সঙ্গী কেমার রোচও ফিরেছেন ক্যারিয়ার–সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে। বাংলাদেশের পেসার হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাইজুল ইসলাম পেয়েছেন ১ উইকেট।
ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ৪০ রানে। ১৯ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন মুমিনুল হক (৭*) ও শাহাদাত হোসেন (১০*)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৪১০ রানে।
বাংলাদেশের দুই ওপেনারের মধ্যে জাকির হাসান ১৫ রান করে বোল্ড হয়েছেন জেইডেন সিলসের বলে। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জীবন পেয়েও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি, আলজারি জোসেফের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৫ রান করে।
শুভ রাত্রি!
মুমিনুল–শাহাদাত এগিয়ে নিচ্ছেন
অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম ৮ ওভারে ২৪ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৪ রান। শাহাদাত ১৮ ও মুমিনুল ২১ রানে ব্যাট করছিলেন।
তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ
কেমার রোচের করা অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বলটিতে খোঁচা মেরে প্রথম স্লিপে কেভম হজের ক্যাচ হয়েছেন শাহাদাত হোসেন। ৭১ বলে ১৮ রান করে ফিরলেন এই তরুণ। তাতে ভাঙল ৪৫ রানের জুটি। বাংলাদেশের স্কোর ৬৬/৩। উইকেটে এসেছেন লিটন দাস।
প্রথম সেশনে ৬৫ রান বাংলাদেশের
অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা খারাপ যায়নি বাংলাদেশের। ২ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করা দলটি প্রথম সেশন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১০৫ রান তুলে। এই সেশনে বাংলাদেশ হারিয়েছে শুধু শাহাদাত হোসেনের উইকেট। শাহাদাতের বিদায়ের পর লিটন দাসকে নিয়ে ৩৯ রানের জুটি গড়েছেন মুমিনুল হক। মুমিনুল ৩৮ ও লিটন অপরাজিত ২১ রানে। বাংলাদেশ এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের চেয়ে পিছিয়ে ৩৪৫ রানে।
বড় জুটির সম্ভাবনা জাগিয়ে আউট মুমিনুল
টেস্ট ক্যারিয়ারের ২১তম ফিফটি করার পরের বলেই আউট হয়ে ফিরলেন মুমিনুল হক। সিলসের বলে এলবিডব্লু দিয়েছিলেন আম্পায়ার, রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান।
ভালোই ব্যাটিং করছিলেন। মনে হচ্ছিল লিটন দাসের সঙ্গে বড় জুটি গড়তে যাচ্ছেন। কিন্তু মুমিনুলের আউটে চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙল ৬২ রানে। লিটন দাস অপরাজিত আছেন ৩০ রান করে। তাঁর সঙ্গী জুটি গড়তে এসেছেন এ টেস্টে বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১২৮।
সতর্ক লিটন–মিরাজ
মুমিনুলের আউটের পর একটু বেশিই যেন সতর্ক বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দেখশুনে খেলতে গিয়ে টানা ;;; বলে কোনো রানই নেননি তাঁরা।
৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ১৪১।
ফিরলেন লিটনও
শামার জোসেফের শর্ট লেংথের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে ৭৬ বলে ৩ চারে ৪০ রান করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৪৫। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের চেয়ে পিছিয়ে ৩০৫ রানে।
মুমিনুল–লিটনে আশাভঙ্গের সেশন
৩ উইকেটে ১০৫ রান নিয়ে সেশনটা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। মুমিনুল হক ও লিটন দাসের জুটি আশাই জোগাচ্ছিল। কিন্তু ফিফটি করেই মুমিনুলের বিদায়ে ৬২ রানের জুটি ভাঙার পর লিটন দাসেরও বিদায়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী রানটাকে নিয়ে গেছে ১৬৫ রানে। মিরাজ ২২ ও জাকের ৫ রানে ব্যাট করছেন। বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ২৮৫ রানে।
ফাঁদ পেতে মিরাজ শিকার আলজারি জোসেফের
শর্ট বলের ফাঁদ ফেতেছিলেন আলজারি জোসেফ। বাউন্সার দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ককে বাধ্য করেন শর্ট লেগে ক্যাচ তুলতে। দলকে ১৬৬ রানে রেখে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে মিরাজ করেছেন ২৩ রান। ২৮১ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ফলো অনের শঙ্কায় পড়ে গেছে।
জাকের–তাইজুলে প্রতিরোধ
১৬৬ রানে পড়েছে ষষ্ঠ উইকেট। এরপর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ৫০ ছাড়ানো জুটি গড়েছেন জাকের আলী। জাকের ৩৪ ও তাইজুল অপরাজিত আছেন ২৫ রানে। বাংলাদেশের স্কোর ২২৪/৬।
সপ্তম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
জাকের আলীর সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়ার পর বিদায় নিলেন তাইজুল ইসলাম। আলজারি জোসেফের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৫ রান করেছেন তাইজুল। আলজারি জোসেফের এটি তৃতীয় শিকার। বাংলাদেশের স্কোর ২৩৪/৭।
জাকেরের ফিফটি
দুই টেস্টের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ফিফটি পেয়ে গেলেন জাকের আলী। শামার জোসেফকে চার মেরেই মাইলফলকে পৌঁছেছেন জাকের। গত মাসে মিরপুরে টেস্ট অভিষেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৮ করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের স্কোর ২৪০/৭।
জাকেরের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ
জাস্টিন গ্রিভসকে ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন জাকের আলী। কিন্তু জেইডেন সিলস অনেকটা দৌড়ে এসে ডিপ মিডউইকেটে দারুণ এক ক্যাচ নিলেন। ৫৩ রান করা জাকের অবিশ্বাস্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিছু সময়। বাংলাদেশ অষ্টম উইকেট হারাল ২৪৬ রানে। এরপর হাসান মাহমুদ ও তাসকিন ফলো অন এড়ানোর কাজটা করে ফেলেছেন। বাংলাদেশের স্কোর ২৫১/৮।
হাসান মাহমুদের বিদায়
জাস্টিন গ্রিভসের বলে স্লিপে অ্যালিক অ্যাথানেজের হাতে ক্যাচ তোলেন হাসান মাহমুদ। অ্যাথানেজ ক্যাচটি ঠিকমতো নিয়েছেন কি না সেটি টিভি রিপ্লেতে দেখে হাসানকে আউট দেন টিভি আম্পায়ার। বাংলাদেশের স্কোর ২৫৭/৯।
অলআউট হয়নি বাংলাদেশ
আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে শেষ হওয়া তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৬৯ রান করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে এখনো ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ ১১ ও শরীফুল ইসলাম ৫ রানে অপরাজিত থেকে শেষ করেছেন দিন।
বাংলাদেশ তৃতীয় দিনটা শুরু করেছিল ২ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে। সকালে শাহাদাত হোসেন অল্পেতে ফিরে গিলেও লিটন দাসকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক। মুমিনুল ফেরেন ঠিক ৫০ করে। লিটন করেছেন ৪০। এরপর বাংলাদেশ ফলো অন এড়িয়েছে জাকের আলী ও তাইজুল ইসলামের প্রতিরোধে। সপ্তম উইকেট দুজন যোগ করেন ৬৮ রান। জাকের পেয়েছেন দুই টেস্টের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি।
২৬৯ রানেই ইনিংস ঘোষণা বাংলাদেশের
অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিনটা ৯ উইকেট ২৬৯ রান নিয়ে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ চতুর্থ দিনে আর ব্যাটিংয়ে নামেনি বাংলাদেশ, ইনিংস ঘোষণা করেছে ওই রানেই। বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ১৮১ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৪ বলেই তুলেছে ৯ রান।
ব্রাফেটকে জীবন দিলেন শাহাদাত
তাসকিন আহমেদের করা দিনের তৃতীয় ওভারে স্লিপে ক্যাচ তোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাফেট। কিন্তু সহজ ক্যাচটি নিতে পারলেন না শাহাদাত হোসেন।
রিভিউ না নেওয়ার মূল্য দিল বাংলাদেশ
ব্রাফেটের ক্যাচ ছাড়ার পরের বলেই মিকাইল লুইয়ের প্যাডে আঘাত হানে বল। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশও রিভিউ নেয়নি। পরে টিভি রিপ্লে দেখায় রিভিউ নিলে আউট হতেন লুই।
প্রথম উইকেট পেল বাংলাদেশ
এলবিডব্লুর আবেদনে বেঁচে গেলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মিকাইল লুই। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রান করা ক্যারিবীয় ওপেনার এবার ফিরলেন ৮ রানে। তাসকিন আহমেদের বলেই উইকেটকিপার লিটন দাসকে ক্যাচ দিলেন লুই। রিভিউ নিলেও সফল হননি। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২৫/১। দলটি এগিয়ে ২০৬ রানে।
তাসকিনের দ্বিতীয় আঘাত
মিকাইল লুইয়ের পর কিসি কার্টিকেও ফেরালেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ পেসারের বলে তৃতীয় স্লিপে মাহমুদুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়েছের ১ রান কার্টি। ৩৫ রানে ২ উইকেট খোয়ানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে ২২০ রানে।
তৃতীয় উইকেট এনে দিলেন শরীফুল
তাসকিনের পর উইকেটশিকারে যোগ দিলেন শরীফুল ইসলাম। বাঁহাতি পেসার ফিরিয়েছেন ক্রেইগ ব্রাফেটকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কও স্লিপে মাহমুদুল হাসানের ক্যাচ হয়েছেন। ২৩ রান করেছেন ব্রাফেট। ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম সেশনটা বাংলাদেশের
দিনের শুরুতেই চমক। ৯ উইকেটে ২৬৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করা বাংলাদেশ সেখানেই ইনিংস ঘোষণা করে চমকে দিল। ১৮১ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস ঘোষণার ‘সাহসী’ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বল হাতেও প্রথম দুই ঘণ্টা দারুণ কেটেছে বাংলাদেশের। তাসকিন আহমেদ ও শরীফুল ইসলামরা ৩৯ রানেই তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩ উইকেট। এরপর অ্যালিক আথানেজ (১৬*) ও কাভেম হজ (১০*) ২২ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত আছেন। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৬১ রান তুলে। দলটি এগিয়ে গেছে ২৪২ রানে।
চতুর্থ উইকেট পেয়েও হারাল বাংলাদেশ, নষ্ট হলো রিভিউও
তাসকিনের বলে অ্যালিক অ্যাথানেজকে এলবিডব্লু দিয়েছিলেন আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যান। বল স্টাম্পের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যেত। পরের ওভারে রিভিউ নষ্ট করেছে বাংলাদেশ। কেভাম হজের বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদন করে ব্যর্থ হয়ে রিভিউ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। বল ট্র্যাকিং দেখায় স্টাম্প মিস করত বল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭১/৩।
হজকে ফেরালেন তাসকিন
৩১তম ওভারে কাভেম হজকে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন তাসকিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় শিকার তাসকিনের। ১৫ রান করে ফিরলেন হজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস : ৩১ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৮৯। দুই ইনিংস মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৭০ রানে এগিয়ে।
মিরাজের শিকার অ্যাথানেজ
৫ বলের মধ্যে আরও একটি উইকেট পেল বাংলাদেশ! এবার মিরাজের শিকার অ্যাথানেজ।
৩২তম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজের বলে এলবিডব্লু হলেন অ্যাথানেজ। ৪২ রানে ফিরলেন তিনি। ক্রিজে জাস্টিন গ্রিভস ও জশুয়া দা সিলভা। দুজনেই নতুন ব্যাটসম্যান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: ৩২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৩।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৭৪ রানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দুর্দান্ত তাসকিন, এবার বোল্ড গ্রিভস!
ভালো লেংথে বোলিং করে যাওয়ার পুরস্কার পাচ্ছেন তাসকিন। ৩৩তম ওভারের চতুর্থ বলে তাঁর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড গ্রিভস। ২ রানে ফিরলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪র্থ শিকার তাসকিনের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১০১। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৮২ রানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিলভাকে ফেরালেন তাইজুল
৩৭তম ওভারে জশুয়া দা সিলভাকে ফেরালেন তাইজুল ইসলাম। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডাইভ দিয়ে তাঁর ক্যাচ নেন বদলি নামা ফিল্ডার হাসান মুরাদ। ২২ রানে ফিরলেন সিলভা।
ক্রিজে রয়েছেন কেমার রোচ ও আলজারি জোসেফ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৭ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩০৫ রানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মিরাজের শিকার আলজারি জোসেফ
ওভারের শুরু থেকেই আলজারি জোসেফকে বড় শট খেলতে প্রলুব্ধ করে যাচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পঞ্চম বলে এল সাফল্য। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুললেন জোসেফ। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে গিয়ে দারুণ দক্ষতায় বল গ্লাভসবন্দী করলেন উইকেটকিপার জাকের আলী।
জোসেফের জায়গায় জোসেফ! মানে আলজারি জোসেফ আউট হওয়ার পর নেমেছেন আলজারি জোসেফ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৪৪ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫০। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৩১ রানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শামার জোসেফকে বোল্ড করে তাসকিনের ৫
২০১৪ সালে ওয়ানডে অভিষেকেই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের দিনেও নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারে এই স্বাদ প্রথমবার পেলেন তাসকিন আহমেদ।
স্টাম্প ছেড়ে মারতে গিয়ে তাসকিনের বলে বোল্ড হলেন শামার জোসেফ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমেছেন জেইডেন সিলস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ৪৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫২। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৩৩ রানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশকে ৩৩৪ রানের লক্ষ্য দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ উইকেট ফেলতে খুব বেশি সময় লাগল না বাংলাদেশের। তাসকিন আহমেদ ওভারের প্রথম বলেই ফেরালেন কেমার রোচকে। এই উইকেটের জন্য একটা ধন্যবাদ পেতেই পারেন অধিনায়ক মিরাজ।
স্লোয়ার করেছিলেন তাসকিন। রোচ খেলতে চেয়েছিলেন মিড অফের ওপর দিয়ে। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেন। বলটা মিরাজের মাথার ওপর দিয়ে প্রায় চলে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় লাফিয়ে উঠে এক হাতে বল তালুবন্দী করেন মিরাজ।
৬/৬৪—তাসকিনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে মাত্র ১৫২ রানে শেষ হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস। বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩৩৪ রান।
প্রথম ওভারেই রোচের শিকার জাকির
প্রথম ইনিংসে তবু ১৫ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো রানই করতে পারলেন না জাকির হাসান। আগেরবার বোল্ড হয়েছিলেন জেইডেন সিলসের বলে। এবার তাঁর ‘ঘাতক’ কেমার রোচ।
অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেংথের বল করেছিলেন রোচ। শরীর থেকে বেশ খানিকটা দূরের সেই বল খেলতে গিয়েছিলেন জাকির। কিন্তু বল ব্যাটের কিনারায় লেগে প্রথম তাঁর ঊরুতে, এরপর স্টাম্পে আঘাত হানে।
টেস্টে এ নিয়ে সর্বশেষ ১০ ইনিংসের ৬টিতেই এক অঙ্কের ঘরের আউট হলেন জাকির। তিনি আউট হওয়ার পর নেমেছেন মুমিনুল হক।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১ রান। জিততে দরকার আরও ৩৩৩ রান।
ক্যাচিং অনুশীলন শিখিয়ে ফিরলেন মাহমুদুল
অ্যান্টিগা টেস্টে মাহমুদুল হাসান বোধ হয় স্লিপে দাঁড়ানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিল্ডারদের ক্যাচিং অনুশীলন করাতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। প্রথম ইনিংসে আলজারি জোসেফের বলে অ্যালিক অ্যাথানেজকে ক্যাচ দিয়েছেন দ্বিতীয় স্লিপে। সেই ভুল থেকে যে কোনো শিক্ষা নেননি, সেটার প্রমাণ দ্বিতীয় ইনিংস। এবার জেইডেন সিলসের বলে তৃতীয় স্লিপে ধরা পড়লেন মাহমুদুল। করতে পারলেন মাত্র ৬ রান।
জাকিরের মতো মাহমুদুলেরও দুঃসময় চলছে। এ নিয়ে সর্বশেষ ১৩ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই তাঁর। ব্যাটিংয়ে মুমিনুলের সঙ্গী এখন শাহাদাত হোসেন।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৭ রান। জিততে দরকার আরও ৩২৭ রান।
রিভিউ নিয়ে শাহাদাতকে ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
কেমার রোচের ভেতরে ঢুকে যাওয়া বলটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ উইকেটকিপার জোশুয়া ডা সিলভার গ্লাভসে জমা পড়ার আগে শাহাদাত হোসেনের গ্লাভসে লেগেছিল। শাহাদাত নিজেও তা জানতেন। ক্যারিবীয়রাও জোরালো আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আবেদনে সাড়া দেননি।
ধর্মসেনা ভুল সিদ্ধান্ত দিলেও প্রযুক্তিকে ফাঁকি দেওয়া যায়নি। আলট্রা এজে স্পষ্ট দেখা গেছে, শাহাদাতের গ্লাভস ছুঁয়ে ডা সিলভার কাছে গেছে বল।
শাহাদাত ফেরার পর ক্রিজে এসেছেন লিটন দাস।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১১ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২১ রান। জিততে দরকার আরও ৩১৩ রান।
২ বার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ মুমিনুল
শামার জোসেফের করা আগের ওভারেই টানা ২ বলে ২ বার আউট হতে হতে বেঁচে গেছেন মুমিনুল হক। একবার ক্যাচ ফসকেছেন উইকেটকিপার ডা সিলভা, আরেকবার চতুর্থ স্লিপে দাঁড়ানো মিকাইল লুইস।
কিন্তু সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হলেন মুমিনুল। রোচের ওভারের দ্বিতীয় বলটা স্ট্রেটে পুশ করেছিলেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। কিন্তু ফলো থ্রুর সময় বাঁ পাশে নিচু হয়ে চমৎকার এক রিটার্ন ক্যাচ নিলেন রোচ। মুমিনুলকে থামতে হলো ১১ রানে।
জয়ের স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এখন বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে।
মুমিনুল আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন অধিনায়ক মেহেদীয় হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৩ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২৯ রান। জিততে দরকার আরও ৩০৫ রান।
ফিল্ডারদের ‘মাখন মাখানো’ হাত
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররা নিজেদের দোষারোপ করতেই পারেন। সুযোগগুলো হাতছাড়া না করলে যে এতক্ষণে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যেত স্বাগতিকেরা। আউট হওয়ার আগে টানা ২ বলে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন মুমিনুল হক।
এবার শামার জোসেফের ওভারে বেঁচে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। ওভারের দ্বিতীয় বলে মিরাজ দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন অ্যালিক অ্যাথানেজকে, চতুর্থ বলে লিটনের শটে বল গিয়েছিল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো জেইডেন সিলসের কাছে। তাঁদের ‘মাখন মাখানো’ হাতের কারণে শামার জোসেফের উইকেট পাওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৪৮ রান। জিততে দরকার আরও ২৮৬ রান।
দুই জোসেফের যুগলবন্দীতে আউট লিটন
পুল শট খেলতে ভালোবাসেন লিটন দাস, তা ভালো করেই জানা শামার জোসেফের। সেই অনুযায়ীই ফিল্ডার সাজিয়ে শামার ওভারের চতুর্থ বলটা করলেন খাটো লেংথে। লিটনও ফাঁদে পা দিলেন। ডিপ ফাইন লেগ ও ডিপ স্কয়ার লেগে ফিল্ডার আছে জেনেও পুল করতে গেলেন। তবে এবার আর ক্যাচ মিস নয়। বলটাকে সহজেই তালুবন্দী করলেন আলজারি জোসেফ।
দারুণ কিছুর আভাস দিয়েও লিটন ফিরলেন ১৮ বলে ২২ রান করে। লিটনের আউটের পর নেমেছেন জাকের আলী।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৮ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৫৯ রান। জিততে দরকার আরও ২৭৫ রান।
বাংলাদেশকে টানছেন মিরাজ–জাকের
৫৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। মনে হচ্ছিল, আরেকটি পরাজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এখন পর্যন্ত ৪৩ রান যোগ করে বাংলাদেশের স্কোর কিছুটা সুশ্রী বানানোর চেষ্টায় অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান জাকের আলী।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৭ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১০২ রান। জিততে দরকার আরও ২৩২ রান।
‘বাজপাখি’ হয়ে মিরাজকে স্তব্ধ করে দিলেন ডা সিলভাক
ক্যাচটা দেখে থাকলে জোশুয়া ডা সিলভাকে ‘বাজপাখি’ ডা সিলভা ডাকতে চাইবেন কেউ কেউ। ভালো খেলতে খেলতে উইকেটের পেছনে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ক্যাচ দেওয়ার যে বদভ্যাস, তা থেকে মিরাজও বেরোতে পারলেন না। অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে সিলসের করা বলটা টোকা দিয়েছিলেন মিরাজ। বল যাচ্ছিল প্রথম স্লিপে থাকা কাভেম হজ বরাবর। কিন্তু বাজপাখির মতো ডান দিকে লাফিয়ে এক হাতে ক্যাচ নিলেন ডা সিলভা। তাঁকে ঘিরে সতীর্থদের উদ্যাপন দেখে কে!
মিরাজের আউটে বাংলাদেশের হারের শঙ্কা আরও বাড়ল। জাকের ছাড়া আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই। এখন জাকেরের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৮ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১০২ রান। জিততে দরকার আরও ২৩২ রান।
সিলসের বলে বোল্ড তাইজুল
দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে টুকটাক অবদান রাখতে পারেন তাইজুল। কিন্তু সিলসের বলে যে শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হলেন, তা একদম ‘টিপিক্যাল টেলএন্ডার’–এর মতো। ফুল লেংথের বলটা সোজা ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন তাইজুল। কিন্তু ব্যাটে–বলে হয়ে ওঠেনি। বল আঘাত হানল তাঁর মিডল স্টাম্পে।
তাইজুলের আউটের পর জাকেরকে সঙ্গ দিতে এসেছেন হাসান মাহমুদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় থেকে মাত্র ৩ উইকেট দূরে।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১০৮ রান। জিততে দরকার আরও ২২৬ রান।
আলোক স্বল্পতায় চতুর্থ দিনের খেলা শেষ
মাঠের দুই আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও নিতিন মেনন লাইট মিটার বের করে দেখলেন ম্যাচ চালিয়ে নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত আলো নেই। তাই ১০ ওভারের মতো বাকি থাকতেই চতুর্থ দিনের খেলার ইতি টানলেন।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩১ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১০৯ রান।
জাকের অপরাজিত ৪৫ রানে, হাসান ৬ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রোচ ও সিলস। অন্য উইকেটটি শামার জোসেফের।
আজ রাতে শুরু হতে চলা শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার আরও ২২৫ রান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাই ৩ উইকেট।
রেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
চতুর্থ দিনের শুরুটা হয়েছিল চমক দিয়ে। হাতে ১ উইকেট রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ।
মূলত কন্ডিশনের সুবিধা নিতেই মিরাজের এ সিদ্ধান্ত। তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। তাসকিনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে (৬/৬৪) ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৫২ রানে। বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৪ রান।
কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় এখন আরেকটি টেস্ট হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ। মিরাজের দলকে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে।
নিজেদের টেস্টে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে গ্রেনাডা টেস্টে ২১৭ রান তাড়া করে জিতেছিল সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দল। বিদেশের মাটিতে সেটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়।
এবার অ্যান্টিগা টেস্ট জিততে হলে বাংলাদেশকে ১৫ বছর আগের গ্রেনাডা টেস্টের চেয়ে ১১৭ রান বেশি করতে হবে। স্বীকৃতি ব্যাটসম্যান বলতে শুধু জাকের আলীই আছেন।
বাংলাদেশ কি পারবে?
শেষ দিনে কতক্ষণ টিকবে বাংলাদেশ
চতুর্থ দিন শেষে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জাকের আলী ও হাসান মাহমুদ আজ কতক্ষণ টিকতে পারবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। স্মরণ করিয়ে দেওয়া যায়, কাল জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিং বিপর্যয়ে না পড়লে আজ পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা হয়তো জমেই যেত। কিন্তু সেটি হয়নি।
জাকের ১৫ ও হাসান শূন্য রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেন।
শেষ দিনের খেলা শুরুর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের এক্স হ্যান্ডলে কিংবদন্তি পেসার কার্টলি অ্যামব্রোস বলেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের সুবাস পাওয়ার অন্যতম কারণ ‘বোলারদের শৃঙ্খলা। এই ম্যাচে সব ফাস্ট বোলারদের শৃঙ্খলাপূর্ণ বোলিং বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
নিশ্চয়ই জানেন, গতকাল ৩টি করে উইকেট নেন দুই পেসার কেমার রোচ ও জেইডেন সিলস। ১ উইকেট নেন শামার জোসেফ। পঞ্চম দিনের খেলা শুরুর আগে শামার বলেছেন, ‘ফাস্ট বোলারদের গ্রুপ হিসেবে আমরা ক্রিকেটটা উপভোগ করি।’ সে তো বটেই! এই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন!
তবে ঝলক দেখিয়েছেন বাংলাদেশের এক পেসারও। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
চার স্লিপ নিয়ে শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের
পঞ্চম দিনের প্রথম ওভারে কোনো বিপদ হয়নি। জাকেরের সৌজন্যে প্রথম ওভারে ফাইন লেগ দিয়ে একটি চার পেয়েছে বাংলাদেশ।
স্লিপে চার ফিল্ডার নিয়ে জেইডেন সিলসের করা প্রথম ওভারে সবগুলো বলই খেলেছেন জাকের। অর্থাৎ পরের ওভারে স্ট্রাইকে নয়ে নামা পেসার হাসান।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৩২ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৩।
যে ভয় পাওয়া হয়েছিল সেটাই হলো!
জাকের আলী পঞ্চম দিনের প্রথম ওভারে সবগুলো বল খেলায় পরের ওভারে স্ট্রাইক নিতে হয় নয়ে নামা পেসার হাসানকে। ভয়টা ধরাই স্বাভাবিক। ওয়েস্ট ইন্ডিজও এই ওভারে তাঁকে আউট করার সুযোগটা নিয়েছে। আলজারি জোসেফের করা ৩৩তম ওভারের শেষ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন হাসান। ১২ বল খেলে শূন্য রানে আউট হলেন তিনি।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৩। ক্রিজে জাকেরর নতুন সঙ্গী তাসকিন। ২২১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
জাকের আউট, আর ১টি উইকেট চাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের
৩৭তম ওভারের চতুর্থ বলে আলজারি জোসেফের বলে এলবিডব্লু জাকের আলী। রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি। পরিস্কার আউট বুঝেই আঙুল তুলেছিলেন মাঠের আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। ৩১ রানে আউট হলেন জাকের।
জয়ের জন্য আর ১ উইকেট চাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ক্রিজে তাসকিনের শেষ সঙ্গী শরীফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৭ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৯। জয়ের লক্ষ্য থেকে ২০৫ রান পিছিয়ে বাংলাদেশ।
শরীফুল রিটায়ার্ড হার্ট, ২০১ রানে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৩৮তম ওভার খেলার পর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত মেলালেন শরীফুল ও তাসকিন। কারণ? আলজারি জোসেফের করা আগের ওভারে কাঁধের পেছনের অংশে আঘাত পান শরীফুল। বাংলাদেশের ফিজিও মাঠে ঢুকে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। শরীফুল এরপর এক ওভার ক্রিজে থাকলেও তারপর আর ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি। নাকি চাননি?
রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে শরীফুল ড্রেসিংরুমে ফেরায় ৯ উইকেটে ১৩২ রানে থামল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। অর্থাৎ ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০১ রানে হারল বাংলাদেশ।
দুই ম্যাচের সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী শনিবার জ্যামাইকায় শুরু দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
পঞ্চম দিনটা আনুষ্ঠানিকতার, বাংলাদেশ হেরেছে তো চতুর্থ দিনেই!
অবশ্যই তাই।
জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। এরপর সফরকারিদের জন্য ম্যাচে আর কিছু থাকে? অবশ্যই না।
আজ পঞ্চম দিনটা তাই হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় তুলে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সারার। সেই কাজে প্রত্যাশানুযায়ীই পারফর্ম করল দুই দল। ৭ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট এবং শরীফুল রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ায় ২০১ রানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ সময় ২৩ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২টি উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবিয়ান পেসার আলজারি জোসেফ।
অ্যান্টিগা টেস্ট থেকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা একটি প্রাপ্তিই খুঁজে নিতে পারেন। কোনো ইনিংসেই বোলারদের সব উইকেট দিয়ে অলআউট হতে হয়নি!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪৫০ রান তুলে ডিক্লেয়ার করেছিল। এরপর বাংলাদেশ তাঁদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৬৯ রানে ডিক্লেয়ার করে চমকে দিয়েছিল। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিনের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ১৫২ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। ৬ উইকেট নেন তাসকিন। এরপর জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে পড়েছিল মোট ১৭ উইকেট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ১৮১ রানের লিড পাওয়াই ম্যাচটা খুব কঠিন করে তুলেছে বাংলাদেশের জন্য।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো ফিফটিও নেই। সর্বোচ্চ ৪৫ রান অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন রোচ ও সিলস। ২টি উইকেট আলজারি জোসেফের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৫০/৯ (ডি.) ও ১৫২
বাংলাদেশ: ২৬৯/৯ (ডি.) ও ৩৮ ওভারে ১৩২ (মিরাজ ৪৫, জাকের ৩১, লিটন ২২; রোচ ৩/২০, সিলস ৩/৪৫, আলজারি ২/৩২)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: জাস্টিন গ্রিভস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।
সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে।